অভিমত ভিন্নমত

তাহলে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সম্পর্ক কী? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দারুণ কথা বলেছেন! ২৭ জুনের হরতালে ছাত্রলীগ বিশৃঙ্খলা করে থাকলে বা হরতাল-সমর্থকদের ওপর হামলা করে থাকলে তার দায় আওয়ামী লীগের নয়।
কারণ, গঠনতন্ত্র অনুসারে ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন নয়, তাই ছাত্রলীগের দায়দায়িত্ব আওয়ামী লীগ নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন সৈয়দ আশরাফ।
এটা অবশ্যই আইনানুগ কথা। আইন মানলে এর চেয়ে বড় সত্য আর নেই। তবে তার পরই প্রশ্ন তুলতে হয়, তাহলে ছাত্রলীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের, বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছাত্রলীগের সম্পর্ক কী? সৈয়দ আশরাফ বলেছেন, ছাত্রলীগ আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে থাকলে তার ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আওয়ামী লীগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে না। কিন্তু ২৭ জুনের হরতালকে কেন্দ্র করে পুলিশ রাজধানী ঢাকায় যে ১৬৭ জন ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ৮৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, তাদের মধ্যে ছাত্রলীগের কেউ কি আছে? বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা হরতাল পালন করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করেছেন বলে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে, আর ছাত্রলীগ যে হরতালকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করেছে, সে জন্য ছাত্রলীগের কাউকে গ্রেপ্তার করা হলো না কেন?
শুধু ২৭ জুনের হরতালেই নয়, ছাত্রলীগের আইনবিরুদ্ধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, যথা-চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর হল দখল, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সংঘাত-সংঘর্ষ এবং নিজেদের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে খুনোখুনি করে ছাত্রলীগ এরই মধ্যে অনেক নাম কুড়িয়েছে! এসব ক্ষেত্রে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে রকম ব্যবস্থা নিয়েছে, গ্রেপ্তার করেছে, মামলা করেছে, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করেছে; ছাত্রলীগের ক্ষেত্রে সে রকম কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বা নেয় না কেন? শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত দল আওয়ামী লীগ বা তার সরকারের সঙ্গে ছাত্রলীগের যদি কোনো সম্পর্কই না থাকে, তাহলে ছাত্রলীগের দুর্বৃত্তপনার ক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগ নেই কেন? সৈয়দ আশরাফ শুধু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নন, বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভারও একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি। আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগের কৃতকর্মের দায়দায়িত্ব নেবে না ঠিক আছে, কিন্তু তার সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কেন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগে তৎপর হয় না?
২৭ জুনের হরতালে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো পিকেটিং করেছিল হরতালকে তথাকথিত সাফল্যমণ্ডিত করার প্রয়াসে। তাদের পক্ষে সেটা ছিল স্বাভাবিক। কারণ, এটা তাদের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু ছাত্রলীগ কেন সেদিন মাঠে নেমেছিল? ছাত্রলীগের কী দায় ছিল? হরতালকারীদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের আপত্তিই বা কিসে, যদি আওয়ামী লীগ বা সরকারের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্কই না থাকে?
ছাত্রলীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই—এমন কথা বলে ছাত্রলীগের অন্যায়-অপরাধের দায় আওয়ামী লীগ ও তার সরকার এড়াতে পারবে না, এমন চেষ্টা করারও কোনো অর্থ হয় না। ছাত্রলীগের অন্যায়-অপরাধের বিরুদ্ধে আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগের ব্যবস্থা করার মধ্য দিয়ে সরকার জনমনে এমন আস্থা সৃষ্টি করতে পারে যে সরকারি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছাত্রলীগের আসলেই কোনো সম্পর্ক নেই।
জালাল আহমেদ
পুরানা পল্টন, ঢাকা।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় গ্রামীণ রেডিও
সম্প্রতি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়-দুর্গত মানুষের পুনর্বাসন কর্মকাণ্ডে সহায়তার লক্ষ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং কৃষি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে ‘গ্রামীণ রেডিও’ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গেছে, স্থানীয় লোকজনই এ রেডিওর বিভিন্ন অনুষ্ঠান করবে।
গ্রামীণ রেডিওর সহায়তায় স্থানীয় লোকজন কৃষি, পশু, মৎস্যসহ বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারবে। এ ছাড়া এ ধরনের রেডিওতে স্থানীয় অধিবাসীরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নিজেদের অভিজ্ঞতা ও মতামত দিতে পারবে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে করণীয় দিকগুলো উঠে আসবে এ রেডিওতে। শুধু দুর্যোগ-পরবর্তীকালেই নয়, দুর্যোগের পূর্বাভাস দেওয়া ও দুর্যোগকালে করণীয় সম্বন্ধে তথ্য জানা যাবে। দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চলের সমস্যাগুলো দ্রুত চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে পরিকল্পিত উপায়ে সমাধান বাতলে দেওয়ার মোক্ষম মাধ্যম হতে পারে গ্রামীণ রেডিও।
শক্তিশালী তথ্য যোগাযোগের ব্যবস্থায় গ্রামীণ জনপদের জানার পরিধি বাড়বে। এতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে অবহেলিত জনপদে। এর আগে কমিউনিটি রেডিও চালু করার বিষয়েও নানা কথা শোনা গেছে। অতিদুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবে গ্রামীণ ও কমিউনিটি রেডিওর মতো জনগণকেন্দ্রিক রেডিও চালু করাটা এখন ভীষণ জরুরি। তাই যত দ্রুত সম্ভব গ্রামীণ ও কমিউনিটি রেডিও চালু করা উচিত।
রানা আব্বাস
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
rana_geographer@yahoo.com

পাট ও সাম্প্রতিক গবেষণা
১৬ জুন প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবরে জানা গেল, পাট গবেষণায় আমাদের বিরাট সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে, আমরা পাটের জন্মরহস্য আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছি। এর ফলে আমাদের পাটকেন্দ্রিক অর্থনীতি বিকশিত হবে। তবে এটি কেবল একটি প্রাথমিক ধাপ, পুরো সুফল পেতে আরও অনেক পথ চলতে হবে এবং সুফল প্রাপ্তি এখনো নিশ্চিত নয়। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে আসার পথে লন্ডনে যাত্রাবিরতির সময় এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন, আপনার ইকোনমিক পলিসি কী হবে? উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেন, আমাদের ইকোনমি হবে জুট ইকোনমি। তাঁর বিশ্বাস ছিল, পাটশিল্প দ্বারাই আমাদের অর্থনীতি গড়ে উঠবে, কিন্তু তা হয়নি। বরং পাটশিল্প একদম ভেঙে পড়ে এবং বিরাট ক্ষতির কারণ হয়ে যায়। বিগত পাটমন্ত্রীরা বহু আশার বাণী শুনিয়েছেন কিন্তু কিছুই করা সম্ভব হয়নি, উল্টো অনেক ঋণের বোঝা টানতে হচ্ছে। অপরদিকে পাটশিল্প চলে গেছে ভারতের হাতে। আমাদের পাট নাকি চলে যায় ভারতীয় বাজারে। পশ্চিম বাংলায় গড়ে উঠেছে বহু পাটকল—তারাই পাট রপ্তানিকারক। যদিও বাংলাদেশ বিশ্বের এক নম্বর পাট উৎপাদনকারী দেশ। পাট চাষ, পাটের ইতিহাস, পাটজাত উন্নয়ন, পাট ব্যবহার, প্রক্রিয়াজাতকরণ ইত্যাদির ওপর পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে বহু গবেষণা হয়েছে এবং অনেক তত্ত্ব ও তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু পাট চাষের কোনো উন্নতি হয়নি।
অতএব ড. মাকসুদুল আলমের গবেষণায় যদি পাটের ভাগ্য ফেরে, অর্থাৎ পাট যদি আমাদের অর্থনীতি চাঙা করতে পারে, তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তব রূপ নেবে। জন্মরহস্য উদ্ভাবন করলেই সব পাওয়া হলো না। কাঙ্ক্ষিত সুফল পেতে হলে আরও অনেক গবেষণা করতে হবে। কোন জিনের কী গুণ, তা শনাক্ত করে কাঙ্ক্ষিত পাটজাত উদ্ভাবন করতে হবে। তাই ড. মাকসুদুল আলম যদি বাংলাদেশে এসে বাঙালি কৃষিবিজ্ঞানীসহ পাট গবেষণায় অভিজ্ঞ বিজ্ঞানীদের সঙ্গে একত্রে গবেষণা করেন, তাহলে পাটশিল্পে বিপ্লবী পরিবর্তন আনা যেতে পারে। তবে অবশ্যই এ জন্য পাটজাতদ্রব্যের ব্যবহার ও পাটকেন্দ্রিক শিল্প গড়ে তুলতে হবে। পাটকল পুনঃস্থাপন করতে হবে।
নুরুল হুদা খান
অধ্যাপক বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।

জাতীয় বৃক্ষমেলা ২০১০
বড় বড় পাতার এটা কী ফুল? ছোট্ট প্রভার জিজ্ঞাসা। বাবার সঙ্গে বৃক্ষমেলায় এসেছে সে। শান্ত দিঘির জলে ফুটে থাকা কাঁসা-পিতলের থালার মতো সবুজ পাতার শ্বেতপদ্ম প্রভা কখনো দেখেনি। কেননা, আবহমান বাংলার শাশ্বত রূপ এখন বিরূপ। কারণ, খাল-বিল, বন-বাদাড় উজাড় করেছে অপরিকল্পিত নগরায়ণ। নগরায়ণের এই বিস্তার যখন রাজধানী ঢাকাজুড়ে, তখন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে সবুজ চত্বরজুড়ে বসেছে মাসব্যপী বৃক্ষমেলা।
‘সবুজ নগর সবুজ দেশ বদলে দেবে বাংলাদেশ’ জাতীয় বৃক্ষমেলা-২০১০ এর মূলমন্ত্র। এ উদ্দেশ্য সামনে রেখে ১ জুন শুরু হয়েছে জাতীয় বৃক্ষরোপণ আন্দোলন। জনগণকে বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করার প্রয়াসে এ আয়োজন। এবারও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ময়মনসিংহ, পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, পাবনা জেলার ঈশ্বরদী, গাজীপুর, সাভার ও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকার নার্সারি সংগঠন, এনজিও ও সরকারের কৃষিবিষয়ক বিভিন্ন সংস্থা অংশ নিয়েছে বৃক্ষমেলায়। মেলায় যেমন এসেছে দিঘির জলে ফোটা শ্বেতপদ্ম, তেমনই এসেছে নানা রকমের অর্কিড, সুইটবিলিয়ম, কসমস, ডেন্টাস, হাসনাহেনা, দোলনচাপা, ঔষধি গাছ আর বিভিন্ন জাতের বনসাই গাছের অপূর্ব সমাহার। পাম চাষ করে কীভাবে স্বাবলম্বী হওয়া যায়, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন পামচাষি সাবের। কিডনি রোগ প্রতিরোধে দেশি ভেষজ চিকিৎসার কথা জানা যাবে বেশ কটি হারবাল গ্রুপের স্টল থেকে। পার্বত্যাঞ্চলে রাবার চাষ করে রাবারজাত পণ্য বাজারজাত করছেন রাবারচাষিরা। রাবারজাত পণ্যের মধ্যে আছে গাড়ির টায়ার। সুগন্ধি চন্দন, কাজু বাদামগাছের চারাসহ বিলুপ্তপ্রায় দুর্লভ প্রজাতির গাছের চারা এসেছে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি থেকে।
‘আমার বাড়ির ছাদে বাগান’ এ উদ্দেশ্য সামনে রেখে আর্থসামাজিক এবং পরিবেশ উন্নয়নমূলক কল্যাণকামী বেসরকারি-স্বেচ্ছাসেবী ও অরাজনৈতিক একটি সংগঠন বাংলাদেশ গ্রিন রুফ মুভমেন্ট (বিজিআরএম) মেলায় এসেছে। শহরে বাস করেও কীভাবে অল্প জায়গায় শাকসবজি ও ফুল-ফলের গাছ লাগানো সম্ভব, তা জানাতেই রুফ মুভমেন্টের এ আন্দোলন। বাড়ির ছাদ ও বেলকনির অল্প পরিসরে অনায়াসেই শাকসবজির বাগান করে দৈনন্দিন তরিতরকারির চাহিদা মেটানো যায় বলে মন্তব্য করেছেন এ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক।
বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিতে গত শতকে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, বিস্তীর্ণ উপকূলীয় অঞ্চল তলিয়ে যাওয়া, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, জীববৈচিত্র্যের বিলুপ্তি ও কৃষিজমিতে বাড়ছে লবণাক্ততা। জানা গেছে, এ বছর বিশ্বব্যাপী ৩০০ কোটি গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর বাংলাদেশের লক্ষ্য, চলতি মৌসুমে ১০ কোটি চারাগাছ উৎপাদন করা। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার লক্ষ্যে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে সারা দেশে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বৃক্ষরোপণ করার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। এই বনায়নের ফলেই মৌসুমি বৃষ্টিপাত হবে ও জীববৈচিত্র্যের বিলুপ্তির প্রবণতা হ্রাস পাবে, নির্মল হবে পরিবেশ।
শেখ আলী
skaly.sangbad@gmail.com

বেকারতন্ত্র!
ক্ষুধার্ত মা-বাবা, ছোট ভাই-বোন গণতন্ত্র বোঝে না। আমি তাদের গণতন্ত্র বোঝাই। বৃদ্ধ বাবা-মা বাজেট বোঝে না। আমি তাদের বাজেট বোঝাই। তারা রাজনীতি বোঝে না। আমি তাদের রাজনীতি বোঝাতে পারি না। আমি বোঝাতে পারি না রাজনীতি মানে শঠতা, রাজনীতি মানে প্রতারণা! সততার অন্য নাম বোকামি। প্রতিনিয়ত আশা, বেকারত্ব আর হতাশায় বসবাস। আছে একটার পর একটা চাকরির পরীক্ষা, ঢাকায় যাওয়া। আছে এসবের খরচ, যা দিয়ে অন্তত নিম্ন-মধ্যবিত্তের পাঁচ দিন সংসার চালানো যায়। আছে বাড়ি বাড়ি টিউশনি করতে যাওয়ার যন্ত্রণা। সে এক অভাবনীয় আচরণ! হোম টিউটরদের সম্মান আছে নাকি এই দেশে! আর আছে মাইক্রো ক্রেডিট। অভাবী ঋণগ্রহীতার কাছে ঋণের টাকা উদ্ধার করতে গিয়ে হতে হয়েছে লাঞ্ছিত। না পেরে হতে হয়েছে চাকরিচ্যুত। আছে দোকানে দোকানে সাবান-শ্যাম্পু বেচার কাজ, সঙ্গে আছে দোকানদার-ব্যবসায়ীদের গালাগাল।
সরকারি চাকরি না পেলে হাজার রকম প্রশ্ন, পেলে আরও হাজার রকম প্রশ্ন। না পেলে প্রশ্ন—‘কী পড়াশোনা করলি যে একটা চাকরি জুটল না!’ কষ্ট করে একটা চাকরি পেলেও প্রশ্ন—‘চাকরিটা কে দিল, কত লাগল?’ না আছে মামা, কাকা, বড় ভাই। না আছে টাকা। আছে শুধু মা-বাবার শুষ্ক অভাবী মুখ আর করুণ চাহনি। অনিয়মের হাত ধরে আর কত দিন চলতে হবে আমাদের? একই সঙ্গে অভাব, হতাশা আর বেকারজীবন চালিয়ে নেওয়া যায় না। অর্থ দিয়ে নয়, মেধা আর যোগ্যতা দিয়ে লাখ লাখ বেকারের চাকরি হবে এমন দেখতে পারার আশা দূরাশা!
মনিরুজ্জামান দিপু, রাজশাহী।
mmdipu2@gmail.com

শিক্ষক প্রশিক্ষণ
নতুন শিক্ষানীতি অনুসারে দেশের মাটি ও মানুষের উপযোগী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বিজ্ঞানমনস্ক নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে সুখী-সমৃদ্ধ আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার উপযোগী দক্ষ নাগরিক-কর্মী তৈরি করতে হলে সর্বাগ্রে তৈরি করতে হবে সুযোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক। প্রতিটি ক্ষেত্রের শিক্ষক থাকা চাই জ্ঞানে, গুণে, যোগ্যতায়, দক্ষতায়, প্রশিক্ষণে, সততায়, নিরপেক্ষতায়, ন্যায়পরায়ণতায়, দেশপ্রেমে, জাতীয় চেতনায়, ত্যাগ-তিতিক্ষায়, সবার ঊর্ধ্বে। অথচ অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, আমিসহ বর্তমানে আমাদের দেশের বেশির ভাগ শিক্ষকের এসব অপরিহার্য গুণাবলি প্রশ্নবিদ্ধ! কারণ, প্রথমত, দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষকদের আর্থিক সুবিধা কম থাকায় তুলনামূলক ভালো শিক্ষার্থীরা আসেনি, থাকেনি এই পেশায়। দ্বিতীয়ত, ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতার দলীয় লোকদের দ্বারা গঠিত ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে থেকে নিয়োগ করেছে তাদের আত্মীয় বা দলীয় অযোগ্য ও ন্যায়নীতিহীন অনেক থার্ড ক্লাস শিক্ষক। এহেন গুরুরা সারা কর্মজীবনে অসংখ্য অনুরূপ শিষ্য দেশ ও জাতিকে উপহার দেবেন—এটাই স্বাভাবিক। এটি তাঁদের দোষ নয়, আমাদের ব্যর্থতা।
এখন তাঁদের নিয়েই বাস্তবায়ন করতে হবে আমাদের দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত সার্বজনীন শিক্ষানীতি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যোগ্য নাগরিক তৈরির চেষ্টা করতে হবে। তাই বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সর্বাগ্রে বাড়ানো প্রয়োজন বিদ্যমান শিক্ষকদের যোগ্যতা ও দক্ষতা। নতুন শিক্ষকের অপরিহার্য যোগ্যতা হতে হবে ভালো ছাত্র ও যথাযথ প্রশিক্ষণ।
কিন্তু আমাদের চাহিদার তুলনায় শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা অনেক কম। মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান ও যোগ্য প্রশিক্ষক দুই-ই বাড়াতে হবে আমাদের। শুধু বিদেশি অর্থ পাওয়ার ওপর নির্ভর করে পরিচালিত অনিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে তেমন বাড়ানো সম্ভব নয় আমাদের শিক্ষক তথা শিক্ষার মান। আমাদের শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য অবশ্যই গড়ে তুলতে হবে নিজস্ব ব্যবস্থা এবং সুনিশ্চিত করতে হবে সব শিক্ষকের নিয়মিত প্রশিক্ষণ। অন্যথায় বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় আধুনিক শিক্ষানীতি। তৈরি করা সম্ভব নয় যোগ্য উত্তরাধিকারী।
মো. রহমত উল্লাহ্, ঢাকা।
md.rahamotullah@yahoo.comr

পেনশনভোগীদের কথা একটু ভাবুন
সঞ্চয়পত্রের সুদ করের আওতায় আসছে এমন খবরে মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষ, বিশেষত পেনশনভোগীরা বড়ই উদ্বিগ্ন। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী নিজেই যেখানে বলেছেন যে সাধারণ মানুষের সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সঞ্চয়পত্রের ভূমিকা অপরিসীম, সেখানে সঞ্চয়পত্রে সুদ কেন করের আওতায় আনা হচ্ছে, তা বোধগম্য নয়।
পেনশনার সঞ্চয়পত্র একটি ব্যতিক্রমী সঞ্চয়পত্র। শুধু অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবীরা এ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে পারেন। এর সুদের হারও অন্যান্য সঞ্চয়পত্রের তুলনায় কিছুটা বেশি। এর উদ্দেশ্য চাকরিজীবীদের অবসরজীবনে কিছুটা আর্থিক স্বস্তি দেওয়া। দেখা যায়, একজন সৎ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তা যিনি সারা জীবন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে গেছেন, যার বিকল্প কোনো আয়ের পথ নেই, অবসর জীবন যাপনে তাঁকে সম্পূর্ণরূপে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপরই নির্ভর করতে হয়। কিন্তু সঞ্চয়পত্রের মুনাফা থেকে যে আয় হয়, তা দিয়ে বর্তমান বাজারে একজন পেনশনভোগীর জীবন-যাপন কঠিন হয়ে পড়ে। মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে পেনশনভোগীদের আর্থিক অবস্থা ক্রমেই দীন থেকে দীনতর হতে থাকে। পেনশনভোগীদের সঞ্চয়পত্রের সুদের কমিয়ে তার ওপর আবার কর আরোপ করা হলে তাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হবে। এভাবে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার চেয়ে আমাদের বরং ক্রসফায়ারে দেওয়া ভালো। অবসর গ্রহণের পর একটি নির্দিষ্ট সময় শেষে যদি ক্রসফায়ার বাধ্যতামূলক করা হয়, তাহলে সব সমস্যা সমাধান হয়ে যেতে পারে। পেনশনারও মুক্তি পাবে এবং সরকারও ঝামেলামুক্ত হবে।
চাকরিজীবীদের অবসর জীবনে যদি আর্থিক নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে কিন্তু কর্মরত অবস্থায়ই তাঁরা আখের গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। তাতে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করা হবে। তা নিশ্চয়ই সরকারের কাম্য নয়।
শিশির কুমার ভট্টাচার্য
রাজশাহী।

শব্দদূষণমুক্ত সুন্দর রাজধানী গড়া সম্ভব
সকালে ঘর থেকে বের হয়ে সময়মতো কর্মস্থলে পৌঁছে দিনের কাজ শেষ করে নিরাপদে নির্দিষ্ট সময়ে বাসায় ফিরে আসা ঢাকাবাসীর কাছে আজ রূপকথার গল্প। রাজধানীর শব্দদূষণ আমাদের অজান্তেই শ্রবণসমস্যা, মাথাব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, হূদরোগসহ আরও অনেক স্বাস্থ্যসমস্যা তৈরি করছে। এমনকি মাতৃগর্ভের অনাগত সন্তানটিও শব্দদূষণের ক্ষতি থেকে নিরাপদ নয়।
দুই দশক আগেও ঢাকা শহরের শব্দদূষণের মাত্রা এত প্রকট ছিল না। মাত্র ১৫-২০ বছরের ব্যবধানে কেন এই পরিবর্তন হলো? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে অনেক গবেষণা হয়েছে এবং হচ্ছে। ২০০৯ সালে টোকিও ইউনিভার্সিটির Acoustic Laboratory পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যানবাহনের হর্নই শব্দদূষণের প্রধান উপাদান। বিআরটিএর হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে রাজধানীতে নিবন্ধিত গাড়ির সংখ্যা নয় লাখের বেশি। এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। গত ১২ বছরে ঢাকায় গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণ।
উন্নত দেশে শব্দদূষণ প্রতিরোধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। শব্দ একটি তরঙ্গ। তরঙ্গ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় বিস্তার লাভ করে বাতাস-মাধ্যমের সাহায্যে। যদি এই তরঙ্গকে বাধা দেওয়া যায় এবং বাধার সঙ্গে এই তরঙ্গ শোষণ করার ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে শব্দ আর বিস্তার লাভ করতে পারে না। উন্নত দেশগুলোতে সড়কব্যবস্থা এমনভাবে করা হয় যে লোকালয়ে রাস্তার যানবাহনের সব শব্দ পৌঁছাতে পারে না। ঢাকার রাস্তাগুলো লোকালয়ের মধ্য দিয়েই চলবে। জাপান, কোরিয়া, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশে বুলেট ট্রেন চলাচলে যে শব্দ হয়, তা বিশেষ ব্যবস্থায় লোকালয়ে পৌঁছানো কমানো গেছে। ঢাকার রাস্তায় তেমন ব্যয়বহুল শব্দ-প্রতিবন্ধক (Sound Barrier) তৈরি করা আর্থিক ও ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতার কারণে সম্ভব নয়। গাছপালা হচ্ছে প্রাকৃতিক শব্দ-প্রতিবন্ধক। মোটরযানে সাইলেন্সার বক্সের ভেতরে যেমন অনেকগুলো শব্দ-প্রতিবন্ধক থাকে, গাছের পাতাগুলো তেমন একেকটা শব্দ-প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে। শহরের রাস্তার দুই ধারে ও মাঝের আইল্যান্ডে গাছ লাগালে শব্দদূষণ কমবে। জর্জিয়া ফরেস্ট্রি কমিশনের শব্দদূষণ নির্দেশিকায় লতাগুল্ম ও বৃক্ষের সমন্বয়ে একটি কার্যকর শব্দ-প্রতিবন্ধক ব্যবস্থার বর্ণনা আছে। আমাদের জন্য তা খুব উপযোগী হতে পারে। দেশে জন্মে এবং দেশীয় আবহাওয়ায় বেড়ে উঠতে পারে এমন তৃণ, লতাগুল্ম ও বৃক্ষের সমন্বয়ে রাস্তার দুই ধারে যতটুকু জায়গা আছে সেখানে শব্দ-প্রতিবন্ধক তৈরি করা যায়। জারুল, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়াসহ অনেক ফুল ফোটানো গাছের সঙ্গে করবী, বাগানবিলাস জাতীয় লতাগুল্মের সমন্বয়ে একদিকে যেমন শব্দ-প্রতিবন্ধক তৈরি হবে, তেমনি রাস্তাগুলো হবে নান্দনিক সৌন্দর্যময়। এই প্রাকৃতিক শব্দ-প্রতিবন্ধকব্যবস্থায় নগরের বায়ুদূষণও লাঘব হবে।
এই পদক্ষেপগুলোর জন্য দরকার সুসমন্বিত পরিকল্পনা ও অর্থ। সমন্বিত পরিকল্পনা থাকলে সীমিত অর্থব্যয়ে ঢাকা হতে পারে শব্দ ও বায়ুদূষণমুক্ত সুন্দর একটি রাজধানী শহর। নগর পরিকল্পনাবিদ ও অর্থায়ন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, বিষয়গুলো বিবেচনায় এনে গবেষণা-সমীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
আলেয়া নাসরিন
প্রভাষক, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি।
aleya.nasrin¦yahoo.com

ফেরিঘাটের বিশৃঙ্খলা
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাট। কোন ফেরিতে কোন বাস বা ট্রাকটি উঠবে, তার কোনো নিয়মশৃঙ্খলা নেই। ওঠা ও নামার রাস্তা দখল করে বাস ও ট্রাকগুলো এলোমেলো দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে ফেরি ঘাটে ভেড়ার পরও গাড়ি নামতে পারে না। ফেরিতে গাড়ি ওঠার সময় ১০-১৫ জন লোক গাড়িগুলো ট্রাকিংয়ের দায়িত্ব পালন করে ও গাড়ি নামার সময় অর্থ আদায় করে। কখনো দেখা যায়, ফেরি ঘাটের কাছে এসেও ভিড়ছে না, সময় নষ্ট করে। গাড়ি ওঠার পরও দায়িত্বরত কর্মচারী ফেরির দড়ি খুলছেন না, ১০-১৫ মিনিট পর দড়ি খুললেও মেশিন স্টার্ট হচ্ছে না। ৫-১০ মিনিট পর স্টার্ট হলেও ছাড়ছে না। এভাবে ফেরি লোড হলেও কেবল রশি খুলতে বা ছাড়তে অহেতুক ১৫-২০ মিনিট চলে যায়। ঘাটে কর্তব্যরত ট্রাফিক হয়তো চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ একটু নজর দিতে পারে। প্রতিটি ফেরিতে যেহেতু স্পেস তথা গাড়ির পরিমাণ নির্ধারিত আছে, তাই কোন ফেরিটি কোন ঘাটে ভিড়ছে ও তাতে যতটি গাড়ি ধরবে (বাস, ট্রাক বা ছোট গাড়ি) ওই ফেরি ও ঘাটের জন্য ততটি ‘টোকেন নম্বর’ দিলে বা ইস্যু করলে ওই নির্ধারিত গাড়িগুলো তাদের জন্য সংরক্ষিত ঘাটে ফেরির জন্য সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করবে। লাইন ভেঙে ঘাটের পথ বন্ধের অহেতুক চেষ্টা করবে না। পরবর্তী সিরিয়ালের গাড়িগুলো দ্বিতীয় ফেরি ও তৃতীয় ঘাটের জন্য এভাবে অপেক্ষা করবে। একই ঘাটের গাড়ি অন্য ঘাটে যেতে পারবে না। গাড়ি লোড হওয়ামাত্র তার রশি খোলা ও তড়িৎ ছাড়ার ব্যবস্থা করবে। এই সংস্কারটির জন্য কোনো কাউন্সিল দরকার নেই। কেবল সরকারের একটি সার্কুলারই যথেষ্ট।
সুরাইয়া ঝুম, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
surayajhumu@yahoo.com

লিখুন, পাঠিয়ে দিন
প্রিয় পাঠক, প্রথম আলোয় প্রকাশিত সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয়, প্রতিবেদন ইত্যাদি নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া/ভিন্নমত আমাদের লিখে পাঠান। সমসাময়িক অন্যান্য বিষয়েও আপনার অভিমত, চিন্তা, বিশ্লেষণ সর্বোচ্চ ৪০০ শব্দের মধ্যে লিখে পাঠিয়ে দিন ডাকযোগে:
অভিমত, সম্পাদকীয় বিভাগ, প্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা।
ই-মেইলে (এমএস ওয়ার্ড অ্যাটাচমেন্ট):
obhimot@prothom-alo.info

No comments

Powered by Blogger.