রাজধানী ঢাকাকে বসবাসযোগ্য করতে হবে-ড্যাপ বাস্তবায়নে সক্রিয় উদ্যোগ
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানী ঢাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিশদ উন্নয়ন পরিকল্পনা (ড্যাপ) বাস্তবায়নে সরকারের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বিপন্ন নগরবাসীর মনে আশার সঞ্চার করেছেন। পরদিনই ড্যাপ পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশ অনুমোদন করে মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশ করেছে।
সুপারিশ অনুযায়ী, ১৫২৮ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত ঢাকা মহানগরের ২১ শতাংশ জায়গা জলাশয় ও জলাভূমি হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে।
সম্প্রতি বেগুনবাড়িতে ভবন উপড়ে পড়ে ২৫ জন ও নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিবিস্ফোরণে ১২১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর প্রশ্ন উঠেছে, এই মহানগরের ভালোমন্দ দেখার কি কেউ নেই? যদি থাকে, তাহলে কীভাবে জলাভূমি দখল করে রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মিত হয়ে চলেছে? কীভাবে আবাসিক এলাকায় দাহ্য পদার্থের বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে? প্রকৃতপক্ষে কিছু বিবেকহীন ভূমি ও আবাসন ব্যবসায়ীর নির্বিচার ও স্বেচ্ছাচারমূলক কার্যক্রমের কাছে নগরবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছে। এই বিশৃঙ্খল তৎপরতা রোধে সরকারের শক্ত অবস্থান গ্রহণ জরুরি হয়ে উঠেছে।
মহানগর ঢাকার মহাবিপদ হলো এর ক্রমবর্ধমান ঘনবসতি ও অপরিকল্পিত আকাশচুম্বী অট্টালিকার ভয়াবহ কেন্দ্রীভবন। ইতিমধ্যেই ঢাকার জনসংখ্যা দেড় কোটি ছাড়িয়ে গেছে। আর অন্যদিকে একশ্রেণীর আবাসন ব্যবসায়ী ঢাকার আশপাশের জলাভূমি গ্রাস করে নির্বিচারে ভরাট করছে। গড়ে তুলছে বহুতল ভবনের বস্তি। এর ফলে যুগ যুগ ধরে যেসব অঞ্চল বর্ষার পানি ধারণ করত, সেগুলো বন্ধ হয়ে রাজধানী ঢাকাকে জলাবদ্ধতার করাল গ্রাসে ঠেলে দিচ্ছে। তাই গেজেটে বর্ণিত ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জলাভূমি ও জলাশয় সংরক্ষণই হলো রাজধানীকে বাঁচানোর আবশ্যকীয় পূর্বশর্ত।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৯৯৭ সালে গৃহীত জলাধার সংরক্ষণ আইন কঠোরভাবে কার্যকর করলে এবং ড্যাপ প্রণয়নের উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকার ও কর্তৃপক্ষ দৃঢ় থাকলে রাজধানীবাসীকে এত দুর্ভোগে পড়তে হতো না। এটা দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার যে বেসরকারি আবাসন প্রকল্পওয়ালারা তো বটেই, সেই সঙ্গে খোদ রাজউক আর সরকারও বিভিন্ন সময় জলাধার সংরক্ষণের বিধি ভঙ্গ করে নানা পরিকল্পনা নিয়েছে। দেশের বিশিষ্ট নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতিদের সমন্বয়ে সরকারের উদ্যোগে গঠিত কমিটি ড্যাপের খসড়া পর্যালোচনা করে যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে, তাতে ১৬টি আবাসন প্রকল্প অনুমোদন না দেওয়া এবং দুই হাজার ৭২৪টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে সরিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ছয়টি সরকারি ও ১০টি বেসরকারি।
উদ্বেগের বিষয় হলো, ঢাকার নির্বাচনী এলাকার সাংসদেরা বলছেন, ড্যাপ কার্যকর করা হলে এলাকার জনসাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে; যে কারণে ড্যাপ নিয়ে জনমত ও বিভিন্ন মহলের মতামত গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটা ভালো উদ্যোগ। কারণ, জনগণের জন্যই ড্যাপ। এখন গণমাধ্যমে মন্ত্রণালয় প্রকাশিত গেজেটের ব্যাপক প্রচার দরকার। তাহলে জনসাধারণ সহজে বুঝতে পারবে, কোন কোন এলাকা জলাভূমি এবং কোথায় আবাসন বা শিল্প প্রকল্প করার সুযোগ নেই।
পাশাপাশি দেখা দরকার, নিজেদের সাংসদেরা যেন সরকারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ান। যেখানে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার চারপাশের জলাশয় ও কৃষিজমি রক্ষার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, সেখানে দলীয় সাংসদদের ভিন্ন অবস্থানে যাওয়ার সুযোগ কোথায়?
সম্প্রতি বেগুনবাড়িতে ভবন উপড়ে পড়ে ২৫ জন ও নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিবিস্ফোরণে ১২১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর প্রশ্ন উঠেছে, এই মহানগরের ভালোমন্দ দেখার কি কেউ নেই? যদি থাকে, তাহলে কীভাবে জলাভূমি দখল করে রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মিত হয়ে চলেছে? কীভাবে আবাসিক এলাকায় দাহ্য পদার্থের বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে? প্রকৃতপক্ষে কিছু বিবেকহীন ভূমি ও আবাসন ব্যবসায়ীর নির্বিচার ও স্বেচ্ছাচারমূলক কার্যক্রমের কাছে নগরবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছে। এই বিশৃঙ্খল তৎপরতা রোধে সরকারের শক্ত অবস্থান গ্রহণ জরুরি হয়ে উঠেছে।
মহানগর ঢাকার মহাবিপদ হলো এর ক্রমবর্ধমান ঘনবসতি ও অপরিকল্পিত আকাশচুম্বী অট্টালিকার ভয়াবহ কেন্দ্রীভবন। ইতিমধ্যেই ঢাকার জনসংখ্যা দেড় কোটি ছাড়িয়ে গেছে। আর অন্যদিকে একশ্রেণীর আবাসন ব্যবসায়ী ঢাকার আশপাশের জলাভূমি গ্রাস করে নির্বিচারে ভরাট করছে। গড়ে তুলছে বহুতল ভবনের বস্তি। এর ফলে যুগ যুগ ধরে যেসব অঞ্চল বর্ষার পানি ধারণ করত, সেগুলো বন্ধ হয়ে রাজধানী ঢাকাকে জলাবদ্ধতার করাল গ্রাসে ঠেলে দিচ্ছে। তাই গেজেটে বর্ণিত ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জলাভূমি ও জলাশয় সংরক্ষণই হলো রাজধানীকে বাঁচানোর আবশ্যকীয় পূর্বশর্ত।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৯৯৭ সালে গৃহীত জলাধার সংরক্ষণ আইন কঠোরভাবে কার্যকর করলে এবং ড্যাপ প্রণয়নের উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকার ও কর্তৃপক্ষ দৃঢ় থাকলে রাজধানীবাসীকে এত দুর্ভোগে পড়তে হতো না। এটা দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার যে বেসরকারি আবাসন প্রকল্পওয়ালারা তো বটেই, সেই সঙ্গে খোদ রাজউক আর সরকারও বিভিন্ন সময় জলাধার সংরক্ষণের বিধি ভঙ্গ করে নানা পরিকল্পনা নিয়েছে। দেশের বিশিষ্ট নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতিদের সমন্বয়ে সরকারের উদ্যোগে গঠিত কমিটি ড্যাপের খসড়া পর্যালোচনা করে যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে, তাতে ১৬টি আবাসন প্রকল্প অনুমোদন না দেওয়া এবং দুই হাজার ৭২৪টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে সরিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ছয়টি সরকারি ও ১০টি বেসরকারি।
উদ্বেগের বিষয় হলো, ঢাকার নির্বাচনী এলাকার সাংসদেরা বলছেন, ড্যাপ কার্যকর করা হলে এলাকার জনসাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে; যে কারণে ড্যাপ নিয়ে জনমত ও বিভিন্ন মহলের মতামত গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটা ভালো উদ্যোগ। কারণ, জনগণের জন্যই ড্যাপ। এখন গণমাধ্যমে মন্ত্রণালয় প্রকাশিত গেজেটের ব্যাপক প্রচার দরকার। তাহলে জনসাধারণ সহজে বুঝতে পারবে, কোন কোন এলাকা জলাভূমি এবং কোথায় আবাসন বা শিল্প প্রকল্প করার সুযোগ নেই।
পাশাপাশি দেখা দরকার, নিজেদের সাংসদেরা যেন সরকারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ান। যেখানে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার চারপাশের জলাশয় ও কৃষিজমি রক্ষার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, সেখানে দলীয় সাংসদদের ভিন্ন অবস্থানে যাওয়ার সুযোগ কোথায়?
No comments