পর্যটনের দিক উন্মোচন সময়ের প্রয়োজন-পর্যটনশিল্পের বিকাশে বিল পাস
বছরের পর বছর পর্যটনশিল্পের সম্ভাবনার কথা বিভিন্ন মহলে আলোচিত হলেও, কথাকে কাজে পরিণত করার উদ্যোগের অভাব ছিল। সম্প্রতি সংসদে পর্যটনশিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে বিল পাস হওয়ার অর্থ, সরকার অবহেলিত এই খাতের প্রতি মনোযোগী হয়েছে।
ওই বিলে পর্যটনশিল্পের সম্ভাবনাময় এলাকাগুলোতে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ ও বিশেষ সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণার বিধান রাখা হয়েছে। আশা করা যায়, এতে করে নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এলাকাগুলোর নিজস্বতা রক্ষা পাবে। বিলটি পাসের মাধ্যমে বহুদিনের প্রতিশ্রুতি পূরণের শুভ সূচনা হলো, এখন দরকার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন।
সাবেকি সব ধ্যানধারণা অতিক্রম করে বিশ্বায়িত পৃথিবীতে পর্যটন বিরাট অর্থকরী খাত হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। যোগাযোগের অভূতপূর্ব বিকাশ একে সম্ভবও করে তুলেছে। অনেক দেশই পর্যটন খাত থেকে প্রচুর বিদেশি মুদ্রা আয় করে থাকে। আধুনিক নগরকেন্দ্রিক মানুষের কাছে পর্যটন কেবল আর শখের বিষয় নয়, কর্মক্লান্ত জীবনের একঘেয়েমি থেকে সাময়িক নিস্তার পাওয়া প্রয়োজন। এ কারণেই পশ্চিমা দেশগুলো থেকে নিয়মিতভাবে বিপুল পর্যটকের ঢল এখন পূর্বের দেশগুলোর দিকে ছুটি কাটাতে আসে। এই ঢল থেকে সুবিধা নেওয়ার সুযোগ বাংলাদেশের জন্য অবারিত হলেও, বাংলাদেশ নিজেকে পর্যটনের জন্য আকর্ষণীয় করায় তেমন কিছুই করেনি।
পর্যটকদের প্রথম চাহিদা হলো নিরাপত্তা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ছাড়া পর্যটকেরা নিরাপদ বোধ করবে না। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের নৈসর্গিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদ উপভোগের যোগ্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। পর্যটকেরা ভবন বা শপিং মল দেখতে কোনো দেশে যায় না। তারা চায় মানুষ ও প্রকৃতির আতিথেয়তায় শান্তি আর আনন্দ। অন্যদিকে বাংলাদেশে মধ্যবিত্তদের মধ্যেও বেড়ানোর আকর্ষণ বাড়ছে। দেশের সমুদ্র, বন, পাহাড়, নদী, হাওরসহ প্রকৃতির শোভা উপভোগের তৃষ্ণা তাদেরও কম নয়। পর্যটনশিল্পের বিকাশ তাদের স্বার্থেও দরকার। কোনো দেশ যদি সেই দেশের মানুষকে স্বস্তি ও আনন্দ দেয়, তাহলে অন্য দেশের পর্যটকদেরও তা ভালো লাগার কথা।
একই সঙ্গে খেয়াল করা দরকার, পর্যটনের বিকাশ মানে শুধু পুরো দেশকে বিদেশিদের মনোরঞ্জনের জন্য মেলে ধরা নয়। বরং স্থানীয় প্রাকৃতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য যতটা সুন্দর, অতিথিপরায়ণ ও নিষ্কলুষ থাকবে, ততই তা অপরের চোখে সুন্দর বলে ধরা দেবে। এই চেতনায় পর্যটনশিল্পের নতুন দিক উন্মোচন এখন সময়েরই প্রয়োজন।
সাবেকি সব ধ্যানধারণা অতিক্রম করে বিশ্বায়িত পৃথিবীতে পর্যটন বিরাট অর্থকরী খাত হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। যোগাযোগের অভূতপূর্ব বিকাশ একে সম্ভবও করে তুলেছে। অনেক দেশই পর্যটন খাত থেকে প্রচুর বিদেশি মুদ্রা আয় করে থাকে। আধুনিক নগরকেন্দ্রিক মানুষের কাছে পর্যটন কেবল আর শখের বিষয় নয়, কর্মক্লান্ত জীবনের একঘেয়েমি থেকে সাময়িক নিস্তার পাওয়া প্রয়োজন। এ কারণেই পশ্চিমা দেশগুলো থেকে নিয়মিতভাবে বিপুল পর্যটকের ঢল এখন পূর্বের দেশগুলোর দিকে ছুটি কাটাতে আসে। এই ঢল থেকে সুবিধা নেওয়ার সুযোগ বাংলাদেশের জন্য অবারিত হলেও, বাংলাদেশ নিজেকে পর্যটনের জন্য আকর্ষণীয় করায় তেমন কিছুই করেনি।
পর্যটকদের প্রথম চাহিদা হলো নিরাপত্তা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ছাড়া পর্যটকেরা নিরাপদ বোধ করবে না। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের নৈসর্গিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদ উপভোগের যোগ্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। পর্যটকেরা ভবন বা শপিং মল দেখতে কোনো দেশে যায় না। তারা চায় মানুষ ও প্রকৃতির আতিথেয়তায় শান্তি আর আনন্দ। অন্যদিকে বাংলাদেশে মধ্যবিত্তদের মধ্যেও বেড়ানোর আকর্ষণ বাড়ছে। দেশের সমুদ্র, বন, পাহাড়, নদী, হাওরসহ প্রকৃতির শোভা উপভোগের তৃষ্ণা তাদেরও কম নয়। পর্যটনশিল্পের বিকাশ তাদের স্বার্থেও দরকার। কোনো দেশ যদি সেই দেশের মানুষকে স্বস্তি ও আনন্দ দেয়, তাহলে অন্য দেশের পর্যটকদেরও তা ভালো লাগার কথা।
একই সঙ্গে খেয়াল করা দরকার, পর্যটনের বিকাশ মানে শুধু পুরো দেশকে বিদেশিদের মনোরঞ্জনের জন্য মেলে ধরা নয়। বরং স্থানীয় প্রাকৃতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য যতটা সুন্দর, অতিথিপরায়ণ ও নিষ্কলুষ থাকবে, ততই তা অপরের চোখে সুন্দর বলে ধরা দেবে। এই চেতনায় পর্যটনশিল্পের নতুন দিক উন্মোচন এখন সময়েরই প্রয়োজন।
No comments