নারী পুলিশ ব্যাটালিয়ন-যাত্রা হোক শুভ ও সার্থক

দেশের প্রথম নারী পুলিশ ইউনিটকে আমরা স্বাগত জানাই। অধিনায়ক থেকে কনস্টেবল_ সব পর্যায়ে নারী নিয়ে গঠিত ১১ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন কেবল নারীর ক্ষমতায়ন নয়, বাহিনীটির আধুনিকায়নের পথেও নিঃসন্দেহে মাইলফলক হয়ে থাকবে।


এমন একটি ইউনিটের প্রয়োজনীয়তা ও প্রত্যাশা অনেক আগে তৈরি হলেও তা পূরণে বিলম্ব হয়েছে_ বলার অবকাশ নেই। আমরা জানি, উন্নত বিশ্ব এ ব্যাপারে স্বভাবতই এগিয়ে থাকলেও প্রতিবেশী দেশ ভারত মাত্র গত বছর সেপ্টেম্বরে তাদের প্রথম মহিলা পুলিশ ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা করেছে। অবশ্য সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে, তড়িঘড়ির কারণে নতুন এ ইউনিটের নতুন আবাসন ও কার্যালয়ের সংস্থান করা সম্ভব হয়নি। আমরা আশা করি, যত দ্রুত সম্ভব, উদ্দীপনায় ভাটা পড়ার আগেই ব্যাটালিয়নটিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলার ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা উদ্যোগী হবেন। অন্যান্য কর্মক্ষেত্রের মতো পুলিশেও নারী কর্মীর প্রতি বৈষম্যের বিষয়টি বহুল আলোচিত। এ জন্য কেবল পুরুষরা দায়ী নয়, ঊর্ধ্বতন নারী কর্মকর্তাদের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবও অনেক সময় দায়ী থাকে। তাদের নিজস্ব ইউনিটে এর পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এটা ঠিক যে, নতুন ব্যাটালিয়ন গঠনের প্রতীকী তাৎপর্য অনেক বেশি। কিন্তু ব্যবহারিক ক্ষেত্রেও নতুন মাত্রা যুক্ত করায় ১১ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সামনে রয়েছে অবারিত সুযোগ ও সম্ভাবনা। অনেক ক্ষেত্রে নারী অভিযুক্ত, এমনকি সেবাপ্রার্থীরাও সাধারণ পুলিশি তৎপরতায় বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুুখীন হয়ে থাকেন। আপদকালীন অবস্থায়ও নারীর প্রয়োজন হয়ে থাকে নারী পুলিশের। সেক্ষেত্রে নতুন ব্যাটালিয়ন নিঃসন্দেহে কাজে দেবে বলে প্রত্যাশা। পুলিশের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ অভিযোগ হচ্ছে, তারা যদি কতর্ব্যনিষ্ঠও হয়, তাতে পুরুষের কাঠিন্য প্রকট থাকে। থাকে মমতার অভাব। নতুন ব্যাটালিয়নের সদস্যরা পুলিশের এই অপূর্ণতা দূর করে কর্তব্যবোধের পাশাপাশি মাতা ও ভগি্নরূপে আবির্ভূত হবেন_ সূচনালগ্নে শুভকামনার পাশপাশি এতটুকুই প্রত্যাশা।
 

No comments

Powered by Blogger.