বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর নির্মাণের প্রস্তাব মালয়েশিয়ার
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি করতে চায় মালয়েশিয়া। এ বিষয়ে তারা লিখিতভাবে আগ্রহের কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলে এ প্রকল্পে তারা পাঁচ থেকে ছয় বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে পারে।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খানের সঙ্গে ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ায় অবকাঠামো উন্নয়নবিষয়ক মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত দাতো সেরি এস সামি ভেলুর নেতৃত্বে একটি বিশেষ প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করে। এ সময় বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত দাতো জামালুদ্দিন সাবাহ, বিশেষ প্রতিনিধিদলের মুখ্য সচিব ই সিভাবালান ও বাংলাদেশের সমন্বয়কারী মাসুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেই একটি নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করে। বঙ্গবন্ধুর নামে এ বিমানবন্দরের জন্য প্রথমে জায়গা নির্বাচন করা হয় ময়মনসিংহের ত্রিশালে। পরে সেটা মুন্সীগঞ্জের আড়িয়ল বিলে নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের বিরোধিতার মুখে সরকার সরে আসে। এরপর নতুন করে জায়গা খোঁজা শুরু হয়। আড়িয়ল বিলসহ মোট সাতটি জায়গায় বিমানবন্দর হতে পারে বলে সম্প্রতি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে একটি সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অর্থনৈতিক সংকটের কারণে আপাতত বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে সরে আসে। কিন্তু মালয়েশিয়ার আগ্রহে সরকার এ বিমানবন্দর নির্মাণে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।
এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান তাঁদের বলেন, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের বিষয়ে প্রাথমিক জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। সরকার ইতিমধ্যে সাতটি সম্ভাব্য স্থান চিহ্নিত করেছে। প্রয়োজনীয় ফান্ড সংগ্রহ করতে পারলে সরকার এ কাজে হাত দেবে। এ কাজ পিপিপির ভিত্তিতে করা হবে বলে তিনি তাঁদের জানান। চর জানাজাত বা চর বিলাসপুরে নতুন বিমানবন্দর হতে পারে। এ দুটি জায়গায় না হলেও পদ্মা সেতুর আশপাশেই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
বাংলাদেশে আরেকটি আধুনিক মানের বিমানবন্দরের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ বিমান বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যাতায়াত করে। ৩০টির বেশি বিমান সংস্থা বাংলাদেশে এয়ারলাইনস পরিচালনা করছে। উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিমের বিমান রুটের মধ্যস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান। ট্রানজিট ও জ্বালানি সংগ্রহের ভালো স্থান হতে পারে বাংলাদেশ। এ ছাড়া বাংলাদেশের ৭৫ লাখ লোক বিদেশে কর্মরত। সরকার নতুন করে আরো ৫০ লাখ লোকের বিদেশে কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ বিমানযাত্রীর সংখ্যাও বাড়ছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে একটি নতুন বিমানবন্দর খুব প্রয়োজন। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের আধুনিকায়নেরও আগ্রহ প্রকাশ করে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিদল। বাংলাদেশ থেকে আরো ৪০ হাজার শ্রমিক নেওয়া হবে বলে জানান তাঁরা।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেই একটি নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করে। বঙ্গবন্ধুর নামে এ বিমানবন্দরের জন্য প্রথমে জায়গা নির্বাচন করা হয় ময়মনসিংহের ত্রিশালে। পরে সেটা মুন্সীগঞ্জের আড়িয়ল বিলে নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের বিরোধিতার মুখে সরকার সরে আসে। এরপর নতুন করে জায়গা খোঁজা শুরু হয়। আড়িয়ল বিলসহ মোট সাতটি জায়গায় বিমানবন্দর হতে পারে বলে সম্প্রতি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে একটি সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অর্থনৈতিক সংকটের কারণে আপাতত বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে সরে আসে। কিন্তু মালয়েশিয়ার আগ্রহে সরকার এ বিমানবন্দর নির্মাণে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।
এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান তাঁদের বলেন, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের বিষয়ে প্রাথমিক জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। সরকার ইতিমধ্যে সাতটি সম্ভাব্য স্থান চিহ্নিত করেছে। প্রয়োজনীয় ফান্ড সংগ্রহ করতে পারলে সরকার এ কাজে হাত দেবে। এ কাজ পিপিপির ভিত্তিতে করা হবে বলে তিনি তাঁদের জানান। চর জানাজাত বা চর বিলাসপুরে নতুন বিমানবন্দর হতে পারে। এ দুটি জায়গায় না হলেও পদ্মা সেতুর আশপাশেই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
বাংলাদেশে আরেকটি আধুনিক মানের বিমানবন্দরের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ বিমান বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যাতায়াত করে। ৩০টির বেশি বিমান সংস্থা বাংলাদেশে এয়ারলাইনস পরিচালনা করছে। উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিমের বিমান রুটের মধ্যস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান। ট্রানজিট ও জ্বালানি সংগ্রহের ভালো স্থান হতে পারে বাংলাদেশ। এ ছাড়া বাংলাদেশের ৭৫ লাখ লোক বিদেশে কর্মরত। সরকার নতুন করে আরো ৫০ লাখ লোকের বিদেশে কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ বিমানযাত্রীর সংখ্যাও বাড়ছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে একটি নতুন বিমানবন্দর খুব প্রয়োজন। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের আধুনিকায়নেরও আগ্রহ প্রকাশ করে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিদল। বাংলাদেশ থেকে আরো ৪০ হাজার শ্রমিক নেওয়া হবে বলে জানান তাঁরা।
No comments