দেশ ও জনগণের স্বার্থে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন-কয়লা উত্তোলন
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরিষদের (এনএসটিসি) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়লা উত্তোলনে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার ওপর যে গুরুত্ব আরোপ করেছেন, তার সঙ্গে কেউ দ্বিমত করবে না। রাষ্ট্রের হেফাজতকারী হিসেবে সরকারের দায়িত্ব জাতীয় সম্পদ রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো। সে ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয়ের বাস্তবায়নই দেখতে চাইবে দেশবাসী।
এখন যে প্রশ্নটি সামনে এসেছে তা হলো, কোন পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করা হবে।
এ ব্যাপারে রাজনৈতিক বিতর্ক তো আছেই; মতভেদ আছে ভূতাত্ত্বিক তথা বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও। এক পক্ষ বলছে, উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করলে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটবে, খনি এলাকার বিপুলসংখ্যক মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়বে। অন্য পক্ষের দাবি, ভূগর্ভস্থ পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন আমাদের দেশের বিবেচনায় কখনো লাভবান হবে না। এই ব্যবস্থায় মজুদ কয়লার ১০ থেকে ১৫ শতাংশের বেশি কোনোভাবেই উত্তোলন করা যায় না। তাই এ ধরনের পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন অলাভজনক ও অগ্রহণযোগ্য। কিন্তু উন্মুক্ত পদ্ধতিতে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কয়লা উত্তোলন করা যাবে, যা দিয়ে আগামী ১০০ বছর দৈনিক অন্তত তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।
তেল, গ্যাস, জ্বালানি ও বন্দর জাতীয় সম্পদ রক্ষা কমিটি উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। ফুলবাড়িতে কয়লা উত্তোলন নিয়ে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন হয়েছে। অতএব, কয়লা উত্তোলনের আগে নিশ্চিত করতে হবে যে কোন পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন অর্থনৈতিক বিবেচনায় লাভজনক হবে; আবার পরিবেশ, কৃষিজমি ও বিপুল জনগোষ্ঠীকে বাস্তুচ্যুত করার একটি অর্থনৈতিক ক্ষতির দিকও রয়েছে। এই সব কটি দিক বিবেচনায় নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্তে আসতে হবে যে কীভাবে আমাদের দেশের স্বার্থ সর্বোচ্চ রক্ষা করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী বিশেষজ্ঞ দলের জার্মানি সফরের কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে জার্মানির চেয়ে প্রতিবেশী ভারত ও চীনেরই মিল বেশি। সেখানকার জনসংখ্যাও আমাদের মতোই ঘনবসতিপূর্ণ। দুটি দেশই ভূগর্ভস্থ ও উন্মুক্ত দুই পদ্ধতিতেই কয়লা উত্তোলন করে থাকে। এবং দুই ক্ষেত্রেই কিছু বাস্তব সমস্যা রয়েছে। তাদের অভিজ্ঞতাগুলো আমরা বিবেচনায় নিতে পারি। বিষয়টি দেখতে হবে সার্বিকভাবে দেশের স্বার্থ, পরিবেশ, লাভ-ক্ষতি তথা সার্বিক অর্থনীতির দৃষ্টিতে। এ নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক কাম্য নয়।
প্রধানমন্ত্রী কয়লা উত্তোলনের ব্যাপারে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার যে আহ্বান জানিয়েছেন, এর প্রতিও সবার সমর্থন থাকবে। তবে, সেই ভাবনার সময়সীমা নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন। আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন এখন গ্যাসনির্ভর। বর্তমানে গ্যাসের যে মজুদ রয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির সুযোগ নেই। এ অবস্থায় অনেকে কয়লাকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে কার্যকর ভাবছে। ফলে কয়লা উত্তোলন নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘ সময় ধরে ঝুলিয়ে রাখার মতো অবস্থায় আমরা নেই। একই সঙ্গে কয়লা রপ্তানি না করার শর্তও জুড়ে দিয়েছে কেউ কেউ। গ্যাসের ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ স্বার্থ রক্ষা করতে পেরেছি, সে দাবি করা ঠিক হবে না। কিন্তু গ্যাসের মতো কয়লা রপ্তানির চিন্তাও বাদ দিতে হবে। এ ব্যাপারে নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞরা বসে একটি মতৈক্যে আসতে পারেন। তবে যেকোনো প্রকল্প গ্রহণের আগে সংশ্লিষ্ট এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে দেশবাসী উন্নয়নের সুযোগ পাচ্ছে, তাদের বিষয়টি হেলাফেলা করা কোনোভাবেই ঠিক নয়।
এ ব্যাপারে রাজনৈতিক বিতর্ক তো আছেই; মতভেদ আছে ভূতাত্ত্বিক তথা বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও। এক পক্ষ বলছে, উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করলে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটবে, খনি এলাকার বিপুলসংখ্যক মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়বে। অন্য পক্ষের দাবি, ভূগর্ভস্থ পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন আমাদের দেশের বিবেচনায় কখনো লাভবান হবে না। এই ব্যবস্থায় মজুদ কয়লার ১০ থেকে ১৫ শতাংশের বেশি কোনোভাবেই উত্তোলন করা যায় না। তাই এ ধরনের পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন অলাভজনক ও অগ্রহণযোগ্য। কিন্তু উন্মুক্ত পদ্ধতিতে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কয়লা উত্তোলন করা যাবে, যা দিয়ে আগামী ১০০ বছর দৈনিক অন্তত তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।
তেল, গ্যাস, জ্বালানি ও বন্দর জাতীয় সম্পদ রক্ষা কমিটি উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। ফুলবাড়িতে কয়লা উত্তোলন নিয়ে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন হয়েছে। অতএব, কয়লা উত্তোলনের আগে নিশ্চিত করতে হবে যে কোন পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন অর্থনৈতিক বিবেচনায় লাভজনক হবে; আবার পরিবেশ, কৃষিজমি ও বিপুল জনগোষ্ঠীকে বাস্তুচ্যুত করার একটি অর্থনৈতিক ক্ষতির দিকও রয়েছে। এই সব কটি দিক বিবেচনায় নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্তে আসতে হবে যে কীভাবে আমাদের দেশের স্বার্থ সর্বোচ্চ রক্ষা করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী বিশেষজ্ঞ দলের জার্মানি সফরের কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে জার্মানির চেয়ে প্রতিবেশী ভারত ও চীনেরই মিল বেশি। সেখানকার জনসংখ্যাও আমাদের মতোই ঘনবসতিপূর্ণ। দুটি দেশই ভূগর্ভস্থ ও উন্মুক্ত দুই পদ্ধতিতেই কয়লা উত্তোলন করে থাকে। এবং দুই ক্ষেত্রেই কিছু বাস্তব সমস্যা রয়েছে। তাদের অভিজ্ঞতাগুলো আমরা বিবেচনায় নিতে পারি। বিষয়টি দেখতে হবে সার্বিকভাবে দেশের স্বার্থ, পরিবেশ, লাভ-ক্ষতি তথা সার্বিক অর্থনীতির দৃষ্টিতে। এ নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক কাম্য নয়।
প্রধানমন্ত্রী কয়লা উত্তোলনের ব্যাপারে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার যে আহ্বান জানিয়েছেন, এর প্রতিও সবার সমর্থন থাকবে। তবে, সেই ভাবনার সময়সীমা নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন। আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন এখন গ্যাসনির্ভর। বর্তমানে গ্যাসের যে মজুদ রয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির সুযোগ নেই। এ অবস্থায় অনেকে কয়লাকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে কার্যকর ভাবছে। ফলে কয়লা উত্তোলন নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘ সময় ধরে ঝুলিয়ে রাখার মতো অবস্থায় আমরা নেই। একই সঙ্গে কয়লা রপ্তানি না করার শর্তও জুড়ে দিয়েছে কেউ কেউ। গ্যাসের ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ স্বার্থ রক্ষা করতে পেরেছি, সে দাবি করা ঠিক হবে না। কিন্তু গ্যাসের মতো কয়লা রপ্তানির চিন্তাও বাদ দিতে হবে। এ ব্যাপারে নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞরা বসে একটি মতৈক্যে আসতে পারেন। তবে যেকোনো প্রকল্প গ্রহণের আগে সংশ্লিষ্ট এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে দেশবাসী উন্নয়নের সুযোগ পাচ্ছে, তাদের বিষয়টি হেলাফেলা করা কোনোভাবেই ঠিক নয়।
No comments