সাধারণ মানুষের তাহলে কী হবে?-আওয়ামী লীগ নেতাদের নিরাপত্তাহীনতা
এবার গলাচিপার আওয়ামী লীগের নেতারা স্বয়ং নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা চাইলেন! পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলন করে পটুয়াখালী-৩ আসনের সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। সাংসদের অনুসারীরাও অভিযোগকারীদের সন্ত্রাসী লালনের পাল্টা অভিযোগ করেছেন। হাঁড়ি নিয়ে কাড়াকাড়িরও একটা নিয়ম হলো, হাটে হাঁড়ি না ভাঙা।
গলাচিপার আওয়ামী লীগের নেতারা সেটাই করেছেন; হাটে হাড়ি ভেঙে দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ কিছুটাও যদি সত্যি হয়, তাহলে কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগের অন্তর্দ্বন্দ্ব কতটা সহিংস হয়ে উঠেছে, গত মঙ্গলবারে প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদ তারই ইঙ্গিত।
গলাচিপার ঘটনায় এরই মধ্যে উভয় পক্ষে জখমের ঘটনাও ঘটেছে। যখন খোদ আওয়ামী লীগের নেতারাই নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে সন্দিহান, তখন সাধারণ মানুষের অবস্থা অনুমান করা কঠিন হয় না। এর আগে ভোলায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষ টেন্ডারবাজি নিয়ে ব্যাপক হানাহানিতে লিপ্ত হয়েছিল। প্রায়ই দেশের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখার মধ্যে এবং একই সংগঠনের বিভিন্ন উপদলের মধ্যে সংঘাত-হানাহানি ঘটতে দেখা যায়।
সংসদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং সরকারি ক্ষমতার সুবাদে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো এখন প্রতিপক্ষহীন। এমন পরিস্থিতিতে অন্য দলের সঙ্গে প্রকট দ্বন্দ্ব তৈরি না হলেও তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে। বলা বাহুল্য, অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই দ্বন্দ্বের কারণ ক্ষমতা ও সুযোগের ভাগাভাগি। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব হলেও এসব ঘটনা সাধারণভাবে রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করে এবং অনেক ক্ষেত্রে জনজীবনেও অশান্তি সৃষ্টি করে। এসব ঘটনা রাজনীতি ও দল সম্পর্কে মানুষের আস্থা নষ্টের জন্য যথেষ্ট।
সাংসদসহ বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি এবং দলীয় নেতাদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতাই অনেক ক্ষেত্রে উপদলীয় কোন্দলের কারণ হয়। দলের ভেতর গণতন্ত্রের চর্চা থাকলে এ ধরনের সমস্যা কমিয়ে আনা যায়। সার্বিকভাবে এ ধরনের কোন্দল ও রেষারেষি ঘরের শত্রু বিভীষণের মতো। সন্ত্রাসী আচরণ, কোন্দল ও পারস্পরিক হানাহানির এই বৃত্ত ছিন্ন করার দায়িত্ব দলের নীতিনির্ধারকদের। অন্যদিকে সরকার ও প্রশাসনের কাজ কাউকে ছাড় না দিয়ে চলা। এ দুটো শর্ত রক্ষিত হলে অনভিপ্রেত ঘটনা এড়িয়ে চলা যায়।
গলাচিপার ঘটনায় এরই মধ্যে উভয় পক্ষে জখমের ঘটনাও ঘটেছে। যখন খোদ আওয়ামী লীগের নেতারাই নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে সন্দিহান, তখন সাধারণ মানুষের অবস্থা অনুমান করা কঠিন হয় না। এর আগে ভোলায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষ টেন্ডারবাজি নিয়ে ব্যাপক হানাহানিতে লিপ্ত হয়েছিল। প্রায়ই দেশের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখার মধ্যে এবং একই সংগঠনের বিভিন্ন উপদলের মধ্যে সংঘাত-হানাহানি ঘটতে দেখা যায়।
সংসদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং সরকারি ক্ষমতার সুবাদে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো এখন প্রতিপক্ষহীন। এমন পরিস্থিতিতে অন্য দলের সঙ্গে প্রকট দ্বন্দ্ব তৈরি না হলেও তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে। বলা বাহুল্য, অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই দ্বন্দ্বের কারণ ক্ষমতা ও সুযোগের ভাগাভাগি। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব হলেও এসব ঘটনা সাধারণভাবে রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করে এবং অনেক ক্ষেত্রে জনজীবনেও অশান্তি সৃষ্টি করে। এসব ঘটনা রাজনীতি ও দল সম্পর্কে মানুষের আস্থা নষ্টের জন্য যথেষ্ট।
সাংসদসহ বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি এবং দলীয় নেতাদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতাই অনেক ক্ষেত্রে উপদলীয় কোন্দলের কারণ হয়। দলের ভেতর গণতন্ত্রের চর্চা থাকলে এ ধরনের সমস্যা কমিয়ে আনা যায়। সার্বিকভাবে এ ধরনের কোন্দল ও রেষারেষি ঘরের শত্রু বিভীষণের মতো। সন্ত্রাসী আচরণ, কোন্দল ও পারস্পরিক হানাহানির এই বৃত্ত ছিন্ন করার দায়িত্ব দলের নীতিনির্ধারকদের। অন্যদিকে সরকার ও প্রশাসনের কাজ কাউকে ছাড় না দিয়ে চলা। এ দুটো শর্ত রক্ষিত হলে অনভিপ্রেত ঘটনা এড়িয়ে চলা যায়।
No comments