সমকালীন প্রসঙ্গ-বাঙালির সমুদ্র বিজয় by এমএ হাসান
সবসময় চেয়েছি সেই দেশ এবং সেই অপ্রতিরোধ্য অনমনীয় দৃঢ়চেতা বাঙালির উত্থান। ভিক্ষুক হিসেবে নয়, কিংবা কৃপাপ্রার্থী হিসেবে নয়, আপন শক্তি ও মেধায় বলীয়ান হোক জাতি। নিষ্কলুষ চরিত্রের আলো ছড়াক বাঙালি; নানা অর্জনে এবং
মেধার বিচ্ছুরণে সমগ্র মানবতাকে আলোকিত করুক কয়েক হাজার বছর আগে রচিত 'ঐতরেয় আরণ্যক' গ্রন্থে জাতি ও দেশ হিসেবে যে বঙ্গদেশ ও জাতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা নানাভাবে আপন বৈশিষ্ট্যে ও গুণে ভাস্বর ছিল। জলা ও জঙ্গলে পরিপূর্ণ এই অঞ্চলে যারা বাস করত তারা ছিল স্রোতময়ী নদীর মতো জীবনীশক্তিতে পরিপূর্ণ। এ কারণে তারা যেমন জলের ওপর আধিপত্য বিস্তার করেছে, তেমনি ঝড়ঝঞ্ঝায় জীবন অতিক্রম করেছে। বনের সাপ ও সীমানার শত্রুকে বধ করেছে। এই কারণে কবি কালিদাস আর 'রঘুবংশ' কাব্যে বঙ্গবাসীকে বীর ও সাহসী বলে উল্লেখ করেছেন। এই বীরগণ হস্তীবাহিনী নিয়ে যেমন আর্যসহ বহিঃশত্রুকে পরাভূত করেছে, তেমনি নব নব রণতরী নির্মাণ করে দক্ষিণের সমুদ্রসহ মালয়, ব্রহ্ম, সুমাত্রা, জাভা, ইন্দোচীন, মাদাগাস্কার পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করেছে। খ্রিস্টপূর্ব সময় থেকে বঙ্গদেশ যেমন দেশ-দেশান্তরে রেশম, মসলিন, নানা ধরনের মসলাসহ দুর্লভ রত্ন, স্বর্ণ, কারুশিল্পের বাণিজ্য করেছে তেমনি শুকনো মহুয়া, মৎস্য, গুড়, লবণ, বাঁশ, কাঠ, তাম্র, ও লোহা শিল্প এমনকি পান, সুপারি, অগুরু ও কস্তুরীর মতো দুর্লভ সুগন্ধির বাণিজ্য করেছে। বাণিজ্যে যেমন ব্যবহৃত হয়েছে তাদের নির্মিত বিশাল আকারের নৌযান, তেমনি বাণিজ্যের উপকরণ হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে দু'ধারওয়ালা তরবারিসহ নানা দুর্লভ সামগ্রী। ভারতের এমন অঞ্চল ছিল না, যারা বাংলার ইক্ষু, গুড়, গুবাক. পান, শর্ষের ওপর নির্ভর করত না।
সবসময় চেয়েছি সেই দেশ এবং সেই অপ্রতিরোধ্য অনমনীয় দৃঢ়চেতা বাঙালির উত্থান। ভিক্ষুক হিসেবে নয়, কিংবা কৃপাপ্রার্থী হিসেবে নয়, আপন শক্তি ও মেধায় বলীয়ান হোক জাতি। নিষ্কলুষ চরিত্রের আলো ছড়াক বাঙালি; নানা অর্জনে এবং মেধার বিচ্ছুরণে সমগ্র মানবতাকে আলোকিত করুক। প্রয়োজনে আলোকবর্তিকা নিয়ে সমগ্র মানবজাতির পথপ্রদর্শক হিসেবে হাঁটুক বাঙালি_ সেটাই আমার আশৈশব প্রার্থনা।
বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বাঙালি যেমন চিত্রকলা এবং বৌদ্ধবাণী ছড়িয়ে চীন ও জাপানসহ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে আলোকিত করেছিল, তেমনি সারাবিশ্বকে আলোকিত করুক বাঙালি আবার। বাঙালির এই ইতিহাস এবং ঐতিহ্য নবপ্রজন্মের হৃদয়ে দৃঢ়ভাবে প্রোথিত হোক, অটুট তমসাচ্ছন্ন আত্মপরিচয়ের সংকট কেটে যাক, এ আমার প্রার্থনা। শ্রীজ্ঞান দীপঙ্করের মতো দেশে দেশে তারা অমর বাণী ছড়াক, এ আমার চিরন্তন চাওয়া। শ্রী দীপঙ্করসহ তিব্বতবাসী নানা বাঙালি পণ্ডিতের পাণ্ডিত্য, লংকাবিজয়ী বিজয় সিংহের শৌর্য এবং পঞ্চম শতকের পরিব্রাজক বুদ্ধগুপ্তের মতো সাহস ও গুণাবলি আমাদের চাওয়া। মুক্তিযুদ্ধসহ নানা বিদ্রোহ ও বিপ্লবের নায়কদের মতো অদম্য সাহসী হোক বাঙালি, এটা জাতির প্রার্থনা। শ্রীচৈতন্য, রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ এবং লালনের মতো পরমতসহিষ্ণু মানবতার সেবক, শ্রী জগদীশচন্দ্রসহ আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র, সত্যেন বোস, মেঘনাদ সাহার মতো বিজ্ঞানমনস্ক হোক জাতি, এটাও সবার চাওয়া। শ্রী জয়দেব, চণ্ডীদাসসহ রবীন্দ্র, নজরুল, জীবনানন্দ ও মাইকেলের মতো কবি, কবিতা এবং পদাবলি ধারণ করে যে দেশ, সে আমার দেশ। এমন দেশ ও জাতি, প্রকৃতি বা মনুষ্যসৃষ্ট সংকটে নিশ্চিহ্ন হতে পারে, এটা বিশ্বাস্য নয়।
এই বিশ্বাস নিয়েই একদিন নিজের ভাইসহ '৬৯-এর আন্দোলনে শুধু জড়িয়ে পড়িনি, '৭১-এর বিজয় পর্যন্ত মাঠে-ময়দানে থেকে বিজয়ের সূর্য নিয়ে এসেছি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে। এ দেশের অর্জনের জন্য নিজের ভাইসহ সব নিকটজন ও লাখ লাখ মানুষের আত্মদান এবং কয়েক লাখ নারীর আত্মবিসর্জন যখন স্মরণ করি তখন বিশ্বাস হতে চায় না যে, লুটেরা শক্তির তাণ্ডবে এবং কিছু দল ও গোষ্ঠীর অবিমৃষ্যকারিতায় সামগ্রিকভাবে জাতি পরাভূত হবে। সাম্যের বাণী ও মানবতার মর্যাদা সবসময়ের জন্য এ দেশে ভূলুণ্ঠিত হতে পারে, তা বিশ্বাস করি না।
এমন হতাশা ও অন্ধকারে আলোক জাগালেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং ধীমান যোদ্ধা নববুদ্ধ রিয়াল অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ খুরশেদ আলম। সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা আমাদের সমুদ্রসীমা অধিকার নিয়ে যে লড়াই শুরু করেছিলেন তার বিজয় নিশ্চিত করলেন গত ১৫ মার্চ ২০১২ সালে।
এই মার্চে আমার জন্ম এবং আমার দেশের জন্ম। এই মার্চে জাতির পিতারও জন্ম। বারবার এই মার্চ ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য এবং দেশের জন্য বিজয় বয়ে এনেছে। পরাজয়ের মধ্যে যে বিজয় তা-ও এই মার্চে। বন্ধুপ্রতিম ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বন্ধু জার্মানির মাটিতে যে আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন সংক্রান্ত টাইব্যুনাল (ইটলস) বসে তাতে নিশ্চিত হয়েছে আমাদের বিজয়।
এতে বাংলাদেশ প্রায় এক লাখ এগারো হাজার বর্গকিলোমিটার জলরাশির ওপর আপন অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ প্রায় সমপরিমাণ জলরাশি ছিনিয়ে আনতে পারবে ভারত থেকে, এটা আমাদের বিশ্বাস। ষোলো কোটি মানুষের দেশ যে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছিল, তা থেকে উঠে এসে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর ক্ষেত্র অবমুক্ত হলো।
প্রাণের অভিনন্দন, জনগণের অভিনন্দন বিজয়ের নায়ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং রিয়াল অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ খুরশেদ আলমকে। এই স্বাধীনতার মাসে আমাদের সমুদ্রসীমার মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পদ যেমন দৃশ্যমান হলো, তেমনি অলক্ষ্য অমিত সম্ভবনার দুয়ার খুলে গেল। এই সমুদ্র থেকে আমরা পেতে পারি কোবাল্ট ও স্বর্ণের মতো দুর্লভ ধাতু, তেমনি পেতে পারি মৎস্যসহ নানা জলজ উদ্ভিদ। বিস্তীর্ণ এই সমুদ্র জেগে ওঠা দ্বীপগুলো যেমন ব্যবহার করতে পারবে আমাদের জনগণ ও সরকার তেমনি সৃষ্টি করতে পারবে নতুন নতুন দ্বীপমালা। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিকল্প খাবার হিসেবে নানা রকম শেওলার চাষসহ প্রয়োজনীয় আমিষ নিশ্চিত হবে একই সঙ্গে। ভ্রমণ, আবাসন, স্বপ্ন নির্মাণ_ সবই রইল সামনে। প্রকৃতির নিয়মে সব অর্জন সম্পন্ন হলো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দ্বারা। আক্ষরিক অর্থ 'বীর ভোগ্যা এ বসুন্ধরা'। এ মাহেন্দ্রক্ষণে রাজনৈতিক নেতারা অপরাধী ও লুটেরা সম্প্রদায়কে বর্জন করে ন্যায় ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করে জাতির অহঙ্কার নির্মাণ করবেন, এটাই প্রত্যাশা। জাতি ঐক্যবদ্ধ এবং দৃঢ়চিত্ত হলে উজানের ভূমি, নদী এবং সব অধিকার নিশ্চিত হবেই। অপশক্তি পরাভূত হবে আমাদের সম্মিলিত মেধা এবং শক্তির কাছে।
ডা. এমএ হাসান :কনভেনার ওয়্যার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি
dhasan471@gmail.com
সবসময় চেয়েছি সেই দেশ এবং সেই অপ্রতিরোধ্য অনমনীয় দৃঢ়চেতা বাঙালির উত্থান। ভিক্ষুক হিসেবে নয়, কিংবা কৃপাপ্রার্থী হিসেবে নয়, আপন শক্তি ও মেধায় বলীয়ান হোক জাতি। নিষ্কলুষ চরিত্রের আলো ছড়াক বাঙালি; নানা অর্জনে এবং মেধার বিচ্ছুরণে সমগ্র মানবতাকে আলোকিত করুক। প্রয়োজনে আলোকবর্তিকা নিয়ে সমগ্র মানবজাতির পথপ্রদর্শক হিসেবে হাঁটুক বাঙালি_ সেটাই আমার আশৈশব প্রার্থনা।
বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বাঙালি যেমন চিত্রকলা এবং বৌদ্ধবাণী ছড়িয়ে চীন ও জাপানসহ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে আলোকিত করেছিল, তেমনি সারাবিশ্বকে আলোকিত করুক বাঙালি আবার। বাঙালির এই ইতিহাস এবং ঐতিহ্য নবপ্রজন্মের হৃদয়ে দৃঢ়ভাবে প্রোথিত হোক, অটুট তমসাচ্ছন্ন আত্মপরিচয়ের সংকট কেটে যাক, এ আমার প্রার্থনা। শ্রীজ্ঞান দীপঙ্করের মতো দেশে দেশে তারা অমর বাণী ছড়াক, এ আমার চিরন্তন চাওয়া। শ্রী দীপঙ্করসহ তিব্বতবাসী নানা বাঙালি পণ্ডিতের পাণ্ডিত্য, লংকাবিজয়ী বিজয় সিংহের শৌর্য এবং পঞ্চম শতকের পরিব্রাজক বুদ্ধগুপ্তের মতো সাহস ও গুণাবলি আমাদের চাওয়া। মুক্তিযুদ্ধসহ নানা বিদ্রোহ ও বিপ্লবের নায়কদের মতো অদম্য সাহসী হোক বাঙালি, এটা জাতির প্রার্থনা। শ্রীচৈতন্য, রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ এবং লালনের মতো পরমতসহিষ্ণু মানবতার সেবক, শ্রী জগদীশচন্দ্রসহ আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র, সত্যেন বোস, মেঘনাদ সাহার মতো বিজ্ঞানমনস্ক হোক জাতি, এটাও সবার চাওয়া। শ্রী জয়দেব, চণ্ডীদাসসহ রবীন্দ্র, নজরুল, জীবনানন্দ ও মাইকেলের মতো কবি, কবিতা এবং পদাবলি ধারণ করে যে দেশ, সে আমার দেশ। এমন দেশ ও জাতি, প্রকৃতি বা মনুষ্যসৃষ্ট সংকটে নিশ্চিহ্ন হতে পারে, এটা বিশ্বাস্য নয়।
এই বিশ্বাস নিয়েই একদিন নিজের ভাইসহ '৬৯-এর আন্দোলনে শুধু জড়িয়ে পড়িনি, '৭১-এর বিজয় পর্যন্ত মাঠে-ময়দানে থেকে বিজয়ের সূর্য নিয়ে এসেছি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে। এ দেশের অর্জনের জন্য নিজের ভাইসহ সব নিকটজন ও লাখ লাখ মানুষের আত্মদান এবং কয়েক লাখ নারীর আত্মবিসর্জন যখন স্মরণ করি তখন বিশ্বাস হতে চায় না যে, লুটেরা শক্তির তাণ্ডবে এবং কিছু দল ও গোষ্ঠীর অবিমৃষ্যকারিতায় সামগ্রিকভাবে জাতি পরাভূত হবে। সাম্যের বাণী ও মানবতার মর্যাদা সবসময়ের জন্য এ দেশে ভূলুণ্ঠিত হতে পারে, তা বিশ্বাস করি না।
এমন হতাশা ও অন্ধকারে আলোক জাগালেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং ধীমান যোদ্ধা নববুদ্ধ রিয়াল অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ খুরশেদ আলম। সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা আমাদের সমুদ্রসীমা অধিকার নিয়ে যে লড়াই শুরু করেছিলেন তার বিজয় নিশ্চিত করলেন গত ১৫ মার্চ ২০১২ সালে।
এই মার্চে আমার জন্ম এবং আমার দেশের জন্ম। এই মার্চে জাতির পিতারও জন্ম। বারবার এই মার্চ ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য এবং দেশের জন্য বিজয় বয়ে এনেছে। পরাজয়ের মধ্যে যে বিজয় তা-ও এই মার্চে। বন্ধুপ্রতিম ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বন্ধু জার্মানির মাটিতে যে আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন সংক্রান্ত টাইব্যুনাল (ইটলস) বসে তাতে নিশ্চিত হয়েছে আমাদের বিজয়।
এতে বাংলাদেশ প্রায় এক লাখ এগারো হাজার বর্গকিলোমিটার জলরাশির ওপর আপন অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ প্রায় সমপরিমাণ জলরাশি ছিনিয়ে আনতে পারবে ভারত থেকে, এটা আমাদের বিশ্বাস। ষোলো কোটি মানুষের দেশ যে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছিল, তা থেকে উঠে এসে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর ক্ষেত্র অবমুক্ত হলো।
প্রাণের অভিনন্দন, জনগণের অভিনন্দন বিজয়ের নায়ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং রিয়াল অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ খুরশেদ আলমকে। এই স্বাধীনতার মাসে আমাদের সমুদ্রসীমার মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পদ যেমন দৃশ্যমান হলো, তেমনি অলক্ষ্য অমিত সম্ভবনার দুয়ার খুলে গেল। এই সমুদ্র থেকে আমরা পেতে পারি কোবাল্ট ও স্বর্ণের মতো দুর্লভ ধাতু, তেমনি পেতে পারি মৎস্যসহ নানা জলজ উদ্ভিদ। বিস্তীর্ণ এই সমুদ্র জেগে ওঠা দ্বীপগুলো যেমন ব্যবহার করতে পারবে আমাদের জনগণ ও সরকার তেমনি সৃষ্টি করতে পারবে নতুন নতুন দ্বীপমালা। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিকল্প খাবার হিসেবে নানা রকম শেওলার চাষসহ প্রয়োজনীয় আমিষ নিশ্চিত হবে একই সঙ্গে। ভ্রমণ, আবাসন, স্বপ্ন নির্মাণ_ সবই রইল সামনে। প্রকৃতির নিয়মে সব অর্জন সম্পন্ন হলো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দ্বারা। আক্ষরিক অর্থ 'বীর ভোগ্যা এ বসুন্ধরা'। এ মাহেন্দ্রক্ষণে রাজনৈতিক নেতারা অপরাধী ও লুটেরা সম্প্রদায়কে বর্জন করে ন্যায় ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করে জাতির অহঙ্কার নির্মাণ করবেন, এটাই প্রত্যাশা। জাতি ঐক্যবদ্ধ এবং দৃঢ়চিত্ত হলে উজানের ভূমি, নদী এবং সব অধিকার নিশ্চিত হবেই। অপশক্তি পরাভূত হবে আমাদের সম্মিলিত মেধা এবং শক্তির কাছে।
ডা. এমএ হাসান :কনভেনার ওয়্যার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি
dhasan471@gmail.com
No comments