সহিংসতা নয়, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হোক-কারখানা বন্ধ
শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও দাবি আদায়ের একটি স্বীকৃত পন্থা বিক্ষোভ প্রদর্শন। কিন্তু তা প্রায়ই ভাঙচুর ও অবরোধে পরিণত হয়। দেশের বিদ্যমান শ্রমবাস্তবতায় এমন পরিস্থিতিকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া এবং কিছুদিন পর বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের ছাঁটাই করে পুনরায় কারখানা চালু করা একটা রেওয়াজ হয়ে
দাঁড়িয়েছে। ভাঙচুর যেমন সহিংসতা, তেমনি এভাবে অসন্তোষ দূর করার ব্যবস্থাও শ্রমিকদের রুটি-রুজির ওপর আঘাত।
অথচ আজ বহু বছর ধরে পোশাকশিল্পে এই একই কাহিনির পুনরাবৃত্তি ঘটে চলেছে। শিল্প অথবা শ্রমিক—কারও দিক থেকেই এটা মঙ্গলজনক নয়। সম্প্রতি বোনাস নিয়ে বিরোধের জের ধরে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত ইপিক গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিতে। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা ভাঙচুর করতে গেলে পুলিশ আসে। অবশেষে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই গল্পের শেষ কোথায়?
শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা প্রদান নিয়ে ঘন ঘন নানা সমস্যা দেখা দেওয়া বিস্ময়কর। কারখানা বন্ধ না করে শ্রমিক-মালিকের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা যাবে না কেন? সমস্যা সমাধানে নির্বাচিত শ্রমিক প্রতিনিধিদের ভূমিকা সর্বজনস্বীকৃত। তাই শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি যেকোনো দমন-পীড়নের আশ্রয় নেওয়ার আগে ইপিজেডের ক্ষেত্রে প্রচলিত ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা ব্যবস্থা কার্যকর করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা আবশ্যক। পোশাকশিল্প সরকারের নানা ধরনের সহযোগিতা ও ছাড় পেয়ে থাকে। তাহলে শ্রমিক-মালিকের মধ্যে বেতন-বোনাসসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে একটি স্থায়ী ব্যবস্থা দাঁড় করাতে সরকার কেন যথেষ্ট তৎপর নয়?
এ শিল্পে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ইতিহাস এখন বেশ দীর্ঘ। এমনকি বহু শ্রমিককে প্রাণ বিসর্জনও দিতে হয়েছে। এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসে এখনো যদি আমরা ভাঙচুর আর কারখানা বন্ধের মতো ঘটনা ঘটতেই দেখি, তাহলে তার মানে দাঁড়ায়, এ শিল্পের বয়স বাড়লেও পরিপক্বতা আসতে এখনো বাকি। টেকসই শিল্পভিত্তি তৈরি করতে হলে এই পরিপক্বতা আসতেই হবে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বড় খাত হিসেবে এ শিল্পের অব্যাহত সমৃদ্ধি সবার কাম্য। তবে এ জন্য সবচেয়ে জরুরি শ্রমবান্ধব পরিবেশ তৈরি, এমন এক শ্রমসংস্কৃতি গড়ে তোলা যেখানে কোনো ধরনের সহিংসতা নয়, আলোচনার মাধ্যমেই সব সমাধানে পৌঁছা সম্ভব। এ ব্যাপারে সরকারের আরও আন্তরিক হওয়া দরকার।
অথচ আজ বহু বছর ধরে পোশাকশিল্পে এই একই কাহিনির পুনরাবৃত্তি ঘটে চলেছে। শিল্প অথবা শ্রমিক—কারও দিক থেকেই এটা মঙ্গলজনক নয়। সম্প্রতি বোনাস নিয়ে বিরোধের জের ধরে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত ইপিক গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিতে। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা ভাঙচুর করতে গেলে পুলিশ আসে। অবশেষে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই গল্পের শেষ কোথায়?
শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা প্রদান নিয়ে ঘন ঘন নানা সমস্যা দেখা দেওয়া বিস্ময়কর। কারখানা বন্ধ না করে শ্রমিক-মালিকের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা যাবে না কেন? সমস্যা সমাধানে নির্বাচিত শ্রমিক প্রতিনিধিদের ভূমিকা সর্বজনস্বীকৃত। তাই শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি যেকোনো দমন-পীড়নের আশ্রয় নেওয়ার আগে ইপিজেডের ক্ষেত্রে প্রচলিত ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা ব্যবস্থা কার্যকর করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা আবশ্যক। পোশাকশিল্প সরকারের নানা ধরনের সহযোগিতা ও ছাড় পেয়ে থাকে। তাহলে শ্রমিক-মালিকের মধ্যে বেতন-বোনাসসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে একটি স্থায়ী ব্যবস্থা দাঁড় করাতে সরকার কেন যথেষ্ট তৎপর নয়?
এ শিল্পে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ইতিহাস এখন বেশ দীর্ঘ। এমনকি বহু শ্রমিককে প্রাণ বিসর্জনও দিতে হয়েছে। এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসে এখনো যদি আমরা ভাঙচুর আর কারখানা বন্ধের মতো ঘটনা ঘটতেই দেখি, তাহলে তার মানে দাঁড়ায়, এ শিল্পের বয়স বাড়লেও পরিপক্বতা আসতে এখনো বাকি। টেকসই শিল্পভিত্তি তৈরি করতে হলে এই পরিপক্বতা আসতেই হবে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বড় খাত হিসেবে এ শিল্পের অব্যাহত সমৃদ্ধি সবার কাম্য। তবে এ জন্য সবচেয়ে জরুরি শ্রমবান্ধব পরিবেশ তৈরি, এমন এক শ্রমসংস্কৃতি গড়ে তোলা যেখানে কোনো ধরনের সহিংসতা নয়, আলোচনার মাধ্যমেই সব সমাধানে পৌঁছা সম্ভব। এ ব্যাপারে সরকারের আরও আন্তরিক হওয়া দরকার।
No comments