নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল ভাড়াটের ঘরে ব্যাগের ভেতর
রাজধানীর দারুস সালামে আট বছর বয়সী শিশু সিফাত আলীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ কাপড়ের ব্যাগে ঢুকিয়ে রেখেছিলেন তাদের বাড়ির এক ভাড়াটে। ওই ভাড়াটে জহিরুল ইসলামের ঘর থেকে গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে ডিবি পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
পাইকপাড়ার মডেল একাডেমির দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র সিফাত গত সোমবার বেলা ১১টা থেকে নিখোঁজ ছিল। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, গ্রেপ্তার করা জহিরুল সিফাতকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে সোমবার রাতে সিফাতকে হত্যা করে লাশ ওই ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখা হয়।
সিফাতের মা শাকিলা বেগম জানান, সোমবার বেলা ১১টা থেকে সিফাত নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও তার সন্ধান মেলেনি। বেলা তিনটা ৩৪ মিনিটে তাঁর মুঠোফোনে ফোন করে এক নারীকণ্ঠ জানান, সিফাত তাঁর কাছে আছে। মুক্তিপণ হিসেবে আট লাখ টাকা দিতে হবে। পরে যোগাযোগের চেষ্টা করে ওই সিম বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর বিষয়টি দারুস সালাম থানা, র্যাব ও ডিবিকে জানানো হলে তারা বাসায় আসে। তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অন্য একটি নম্বর থেকে তাঁর মুঠোফোনে কল আসে। তবে তিনি ধরলে লাইন কেটে দেওয়া হয়। পরে ফোন করে বেলা তিনটার মধ্যে মুক্তিপণের টাকা চাওয়া হয়। এরপর ওই সিম বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেলা তিনটার পর ওরা যোগাযোগ করে ছয় লাখ টাকায় রফা করে। টাকা নিয়ে সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে গাজীপুর বাসস্ট্যান্ডে যেতে বলা হয়। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করায় তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়। তিনি টাকা জোগাড় করতে পারেননি। নিখোঁজের ব্যাপারে তাঁর স্বামী সোমবার বিকেলে থানায় অপহরণের মামলা করেন।
শাকিলা বেগম বলেন, সিফাতের সঙ্গে এক সেকেন্ডের জন্যও কথা বলতে দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার পর ডিবি পুলিশ তাঁর বাড়িতে আসে এবং তাঁর কাছ থেকে জহিরুলের মুঠোফোন নম্বর নিয়ে মেলায়। পরে নিচতলায় জহিরুলদের ভাড়া নেওয়া ঘর থেকে তাঁকে আটক করে দুটি মুঠোফোন জব্দ করে পুলিশ। এরপর জহিরুলকে নিয়ে দ্বিতীয় তলায় তাঁর ভাড়া নেওয়া অপর ঘরের সামনে গেলে প্রথমে তিনি তালা খুলতে চাননি।
জহিরুলের ফাঁসি দাবি করে শাকিলা বলেন, তিনি বুঝতেই পারেননি জহিরুলই খুনি। সিফাত নিখোঁজ হওয়ার পর সেও তাঁদের সঙ্গে তাকে খুঁজতে বেরিয়েছিল।
সিফাতের বাবা দর্জি দোকানের মালিক হযরত আলী প্রথম আলোকে বলেন, পোশাক কারখানার যন্ত্রের মিস্ত্রি জহিরুল ছয় বছর ধরে তাঁর বাড়িতে ভাড়া থাকেন। মাস পাঁচেক আগে জহিরুলদের দাম্পত্য কলহ মেটাতে তিনি তাঁকে চড় দিয়েছিলেন।
দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সিফাতকে সোমবার রাতে জহিরুল দোতলায় তাঁর ঘরে হত্যা করেন। কিন্তু লাশ সরানোর সুযোগ পাননি। ওই ঘর তিনি তালাবদ্ধ করে রাখেন। হত্যার পরও তিনি মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টায় বাড়ির বাইরে গিয়ে ফোন করেন। অপহরণের মামলা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার মধ্যরাতে ডিবির একটি দল ৮৯/১ দারুস সালামে সিফাতদের বাড়িতে যায়। ডিবি মুঠোফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে নিশ্চিত হয়, ঘটনার সঙ্গে জহিরুল জড়িত। পরে ডিবি জহিরুলকে আটক করে দোতলার ঘর খুলে সেখানে ব্যাগের ভেতর সিফাতের লাশ পায়।
ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাগের চেইন খোলার পর প্লাস্টিকের রশি দিয়ে বাঁধা সিফাতের দুই পা বেরিয়ে আসে। লাশ বের করার পর দেখা যায়, হাত ও গলাও প্লাস্টিকের রশি দিয়ে বাঁধা। মাথা ছিল পলিথিনে মোড়ানো। দারুস সালাম থানার পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। ওই বাসা থেকে জহিরুল, তাঁর তিন ভাই ও ওই বাড়ির গৃহপরিচারককে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
মনিরুজ্জামান বলেন, ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে জহিরুল মুক্তিপণ দাবি ও শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনার সঙ্গে আটক অন্যদের সম্পৃক্ততা প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া যায়নি।
দুপুরে সিফাতদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সান্ত্বনা দিতে আসা স্বজন ও উৎসুক মানুষের ভিড়। নিচতলায় খাটে বসে সিফাতের মা শাকিলা বিলাপ করছেন। প্রতিবেশী ও স্বজনেরা তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। পুত্রশোকে প্রায় নির্বাক হযরত আলী।
সিফাতের মা শাকিলা বেগম জানান, সোমবার বেলা ১১টা থেকে সিফাত নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও তার সন্ধান মেলেনি। বেলা তিনটা ৩৪ মিনিটে তাঁর মুঠোফোনে ফোন করে এক নারীকণ্ঠ জানান, সিফাত তাঁর কাছে আছে। মুক্তিপণ হিসেবে আট লাখ টাকা দিতে হবে। পরে যোগাযোগের চেষ্টা করে ওই সিম বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর বিষয়টি দারুস সালাম থানা, র্যাব ও ডিবিকে জানানো হলে তারা বাসায় আসে। তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অন্য একটি নম্বর থেকে তাঁর মুঠোফোনে কল আসে। তবে তিনি ধরলে লাইন কেটে দেওয়া হয়। পরে ফোন করে বেলা তিনটার মধ্যে মুক্তিপণের টাকা চাওয়া হয়। এরপর ওই সিম বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেলা তিনটার পর ওরা যোগাযোগ করে ছয় লাখ টাকায় রফা করে। টাকা নিয়ে সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে গাজীপুর বাসস্ট্যান্ডে যেতে বলা হয়। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করায় তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়। তিনি টাকা জোগাড় করতে পারেননি। নিখোঁজের ব্যাপারে তাঁর স্বামী সোমবার বিকেলে থানায় অপহরণের মামলা করেন।
শাকিলা বেগম বলেন, সিফাতের সঙ্গে এক সেকেন্ডের জন্যও কথা বলতে দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার পর ডিবি পুলিশ তাঁর বাড়িতে আসে এবং তাঁর কাছ থেকে জহিরুলের মুঠোফোন নম্বর নিয়ে মেলায়। পরে নিচতলায় জহিরুলদের ভাড়া নেওয়া ঘর থেকে তাঁকে আটক করে দুটি মুঠোফোন জব্দ করে পুলিশ। এরপর জহিরুলকে নিয়ে দ্বিতীয় তলায় তাঁর ভাড়া নেওয়া অপর ঘরের সামনে গেলে প্রথমে তিনি তালা খুলতে চাননি।
জহিরুলের ফাঁসি দাবি করে শাকিলা বলেন, তিনি বুঝতেই পারেননি জহিরুলই খুনি। সিফাত নিখোঁজ হওয়ার পর সেও তাঁদের সঙ্গে তাকে খুঁজতে বেরিয়েছিল।
সিফাতের বাবা দর্জি দোকানের মালিক হযরত আলী প্রথম আলোকে বলেন, পোশাক কারখানার যন্ত্রের মিস্ত্রি জহিরুল ছয় বছর ধরে তাঁর বাড়িতে ভাড়া থাকেন। মাস পাঁচেক আগে জহিরুলদের দাম্পত্য কলহ মেটাতে তিনি তাঁকে চড় দিয়েছিলেন।
দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সিফাতকে সোমবার রাতে জহিরুল দোতলায় তাঁর ঘরে হত্যা করেন। কিন্তু লাশ সরানোর সুযোগ পাননি। ওই ঘর তিনি তালাবদ্ধ করে রাখেন। হত্যার পরও তিনি মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টায় বাড়ির বাইরে গিয়ে ফোন করেন। অপহরণের মামলা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার মধ্যরাতে ডিবির একটি দল ৮৯/১ দারুস সালামে সিফাতদের বাড়িতে যায়। ডিবি মুঠোফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে নিশ্চিত হয়, ঘটনার সঙ্গে জহিরুল জড়িত। পরে ডিবি জহিরুলকে আটক করে দোতলার ঘর খুলে সেখানে ব্যাগের ভেতর সিফাতের লাশ পায়।
ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাগের চেইন খোলার পর প্লাস্টিকের রশি দিয়ে বাঁধা সিফাতের দুই পা বেরিয়ে আসে। লাশ বের করার পর দেখা যায়, হাত ও গলাও প্লাস্টিকের রশি দিয়ে বাঁধা। মাথা ছিল পলিথিনে মোড়ানো। দারুস সালাম থানার পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। ওই বাসা থেকে জহিরুল, তাঁর তিন ভাই ও ওই বাড়ির গৃহপরিচারককে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
মনিরুজ্জামান বলেন, ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে জহিরুল মুক্তিপণ দাবি ও শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনার সঙ্গে আটক অন্যদের সম্পৃক্ততা প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া যায়নি।
দুপুরে সিফাতদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সান্ত্বনা দিতে আসা স্বজন ও উৎসুক মানুষের ভিড়। নিচতলায় খাটে বসে সিফাতের মা শাকিলা বিলাপ করছেন। প্রতিবেশী ও স্বজনেরা তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। পুত্রশোকে প্রায় নির্বাক হযরত আলী।
No comments