জাতীয় ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন-বিদেশি বন্ধুদের শুভকামনা
আমাদের বিদেশি বন্ধুরা এখনো আমাদের পাশেই রয়েছেন। বাংলাদেশের প্রতি তাঁদের শুভকামনা রয়েছে অটুট। তাঁরা চান বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হোক, দীর্ঘজীবী হোক। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন দেশের যেসব নাগরিক বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছিলেন,
স্বাধীনতার চার দশক পূর্তিতে তাঁদের প্রতি সম্মান জানাতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁরা তাঁদের শুভকামনা ব্যক্ত করেছেন।
ঢাকায় বিভিন্ন দেশ থেকে আমন্ত্রিত ৮৩ জন বিদেশি বন্ধু-শুভাকাঙ্ক্ষীর এই মিলনমেলায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, তাঁদের সম্মাননা জানাতে পারা আমাদের জন্য গৌরবের। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁদের সম্মাননা জানানোর মধ্য দিয়ে আমরা নিজেরাও সম্মানিত হচ্ছি। সত্যিই বাংলাদেশের জনগণের জন্য এটা গৌরব ও সম্মানের বিষয়। কারণ, এই বিদেশি বন্ধুরা ১৯৭১ সালে আমাদের অত্যন্ত কঠিন সময়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন নিঃস্বার্থভাবে; মানবতাবোধ ও ন্যায়বোধের প্রেরণায়। এমনকি, তাঁদের কেউ কেউ নিজ দেশের সরকারের অনুসৃত নীতির বিরুদ্ধে গিয়েও বাংলাদেশের জনগণের ন্যায়যুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করেছেন। তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি জানিয়ে তাঁদের সম্মানিত করা অবশ্যই আমাদের নিজেদের জন্যও সম্মানের বিষয়।
বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষী বিদেশি বন্ধুদের শুভেচ্ছা-শুভকামনার কথা মনে রেখেই আমরা ভেবে দেখতে পারি, ১৯৭১ সালে যে বাংলাদেশকে তাঁরা সমর্থন করেছিলেন, তার স্বাধীন অভ্যুদয়ের জন্য নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা জুগিয়েছিলেন, সেই ঐক্যবদ্ধ, সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গত চার দশকে আমরা নির্মাণ করতে পেরেছি কি না। একাত্তরের সেই জাতীয় ঐক্য কি আজ আছে? না থাকলে কেন নেই? বিদেশি বন্ধুদের সম্মাননা জানানোর এই অনুষ্ঠানে সরকার সংসদে বিরোধীদলীয় নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, কিন্তু বিরোধীদলীয় নেতা অনুষ্ঠানে অংশ নেননি। বিদেশি বন্ধুদের সম্মাননা জানানোর এই পুরো আয়োজনের মধ্যেই প্রধান বিরোধী দলের কোনো অংশগ্রহণ ছিল না; অথচ তাঁরাও জনগণের এক বিরাট অংশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁরাও সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেন।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিভিন্ন মতাদর্শের রাজনৈতিক দল থাকে; দ্বিদলীয় গণতন্ত্রের দেশগুলোতে প্রতিপক্ষ দল দুটোর মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র হয়; কিন্তু মৌলিক কতকগুলো জাতীয় প্রশ্নে তাদের মধ্যে ঐক্য থাকে; স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এবং একটি জাতি-রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয়ের ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে বিভেদ থাকে না। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, বাংলাদেশে বড় দুই দলের বিরোধ যেন একটা জাতীয় বিভেদের রূপ নিয়েছে। এমন বিভেদ, পরস্পরের প্রতি এত বৈরী ও অসহিষ্ণু মনোভাব নিয়ে কোনো দেশের রাজনৈতিক দলগুলো দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করা আর সুখ-সমৃদ্ধি বাড়ানোর পথে এমন বিভেদ বিরাট অন্তরায়। বাংলাদেশকে সুখ ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে হলে উভয় বড় দলকেই বিভেদ ভুলে মৌলিক জাতীয় প্রশ্নগুলোতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। একাত্তরের মতো জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
ঢাকায় বিভিন্ন দেশ থেকে আমন্ত্রিত ৮৩ জন বিদেশি বন্ধু-শুভাকাঙ্ক্ষীর এই মিলনমেলায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, তাঁদের সম্মাননা জানাতে পারা আমাদের জন্য গৌরবের। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁদের সম্মাননা জানানোর মধ্য দিয়ে আমরা নিজেরাও সম্মানিত হচ্ছি। সত্যিই বাংলাদেশের জনগণের জন্য এটা গৌরব ও সম্মানের বিষয়। কারণ, এই বিদেশি বন্ধুরা ১৯৭১ সালে আমাদের অত্যন্ত কঠিন সময়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন নিঃস্বার্থভাবে; মানবতাবোধ ও ন্যায়বোধের প্রেরণায়। এমনকি, তাঁদের কেউ কেউ নিজ দেশের সরকারের অনুসৃত নীতির বিরুদ্ধে গিয়েও বাংলাদেশের জনগণের ন্যায়যুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করেছেন। তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি জানিয়ে তাঁদের সম্মানিত করা অবশ্যই আমাদের নিজেদের জন্যও সম্মানের বিষয়।
বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষী বিদেশি বন্ধুদের শুভেচ্ছা-শুভকামনার কথা মনে রেখেই আমরা ভেবে দেখতে পারি, ১৯৭১ সালে যে বাংলাদেশকে তাঁরা সমর্থন করেছিলেন, তার স্বাধীন অভ্যুদয়ের জন্য নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা জুগিয়েছিলেন, সেই ঐক্যবদ্ধ, সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গত চার দশকে আমরা নির্মাণ করতে পেরেছি কি না। একাত্তরের সেই জাতীয় ঐক্য কি আজ আছে? না থাকলে কেন নেই? বিদেশি বন্ধুদের সম্মাননা জানানোর এই অনুষ্ঠানে সরকার সংসদে বিরোধীদলীয় নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, কিন্তু বিরোধীদলীয় নেতা অনুষ্ঠানে অংশ নেননি। বিদেশি বন্ধুদের সম্মাননা জানানোর এই পুরো আয়োজনের মধ্যেই প্রধান বিরোধী দলের কোনো অংশগ্রহণ ছিল না; অথচ তাঁরাও জনগণের এক বিরাট অংশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁরাও সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেন।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিভিন্ন মতাদর্শের রাজনৈতিক দল থাকে; দ্বিদলীয় গণতন্ত্রের দেশগুলোতে প্রতিপক্ষ দল দুটোর মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র হয়; কিন্তু মৌলিক কতকগুলো জাতীয় প্রশ্নে তাদের মধ্যে ঐক্য থাকে; স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এবং একটি জাতি-রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয়ের ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে বিভেদ থাকে না। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, বাংলাদেশে বড় দুই দলের বিরোধ যেন একটা জাতীয় বিভেদের রূপ নিয়েছে। এমন বিভেদ, পরস্পরের প্রতি এত বৈরী ও অসহিষ্ণু মনোভাব নিয়ে কোনো দেশের রাজনৈতিক দলগুলো দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করা আর সুখ-সমৃদ্ধি বাড়ানোর পথে এমন বিভেদ বিরাট অন্তরায়। বাংলাদেশকে সুখ ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে হলে উভয় বড় দলকেই বিভেদ ভুলে মৌলিক জাতীয় প্রশ্নগুলোতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। একাত্তরের মতো জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
No comments