যেতে যেতে দেখা গেল by মিঠুন চৌধুরী
পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহাসমাবেশ। তাই গতকাল বুধবার সকাল থেকেই মিছিলে মুখর ছিল নগরের রাজপথ। চট্টগ্রামের সব উপজেলা, তিন পার্বত্য জেলা, কক্সবাজার ও ফেনী থেকে বাস, ট্রাক, টেম্পো পিকআপযোগে নেতা-কর্মীরা আসেন দুপুরের আগেই। সমাবেশ ঘিরে প্রচারণাও ছিল নজরকাড়া।
নেচে-গেয়ে, ঢোল বাজিয়ে সমাবেশস্থল পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রবেশ করেন নেতা-কর্মীরা। তবে মিছিলে মিছিলে পথঘাট অচল হয়ে যাওয়ায় যানজটের কারণে ভোগান্তিতেও পড়েছেন নগরবাসী।
ঢোল বাদকের পাওনা দাবি
দেওয়ানহাট ব্রিজ ধরে প্রায় পাঁচ শ জনের একটি মিছিল এগিয়ে আসছিল পলোগ্রাউন্ডের দিকে। টাইগার পাস মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারীদের নজর কাড়ে মিছিলটি। কারণ মিছিলে সবার মাথায় ছিল লাল-সবুজ টুপি। মিছিলে বাজছিল বাংলার ঢোল। বন্দরটিলা ছাত্রলীগের মিছিলটি টাইগার পাস মোড়ে পৌঁছালে ঢোলের তালে নেচে ওঠেন মিছিলের সবাই। এ সময় তাঁদের হাতে থাকা ব্যানারটি গাছে ঝোলানো অন্য একটি ব্যানারে আটকে গেলে মিছিলের গতি একটু কমে যায়। তখন ঢোল বাদকেরা বাজনা থামিয়ে মাঠে ঢোকার আগেই তাঁদের পাওনা দাবি করেন। কিন্তু মিছিলের লোকজন মাঠে ঢোকার আগে পাওনা দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। এ নিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে বাদকদের হালকা বাগিবতণ্ডাও হয়। আশপাশের মানুষজনের মধ্যে বিষয়টি হাস্যরসের সৃষ্টি করে।
সৌজন্যে: এস এম এন করিম!
মহাসমাবেশ ঘিরে অভিনব প্রচারণায়ও নেমেছিলেন কেউ কেউ। বোয়ালখালী থেকে আসা নেতা-কর্মীদের দেওয়া হচ্ছিল হলুদ রঙের কাগজের হাতপাখা। হাতপাখার ওপরের অংশে লেখা ‘মহাসামাবেশ সফল করুন’। এ লেখার নিচেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছবি। নিচে ছিল সাংসদ মঈন উদ্দিন খান বাদল ও এস এম এন করিম নামের এক ব্যক্তির ছবি। হাতপাখার নিচের অংশে লেখা ‘চট্টগ্রামের উন্নয়ন বাংলাদেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত’। সৌজন্যে: এস এম এন করিম। কে এই এস এম এন করিম? তাঁর কোনো পদবি বা দলীয় পরিচয় উল্লেখ নেই হাতপাখায়। এ রকম পরিচয়বিহীন ডিজিটাল ব্যানার ও পোস্টার দেখা গেছে নগরজুড়েই।
আবদুচ ছালামের ‘টেলিগ্রাম’
টাইগার পাস মোড়ে গতকাল বুধবার সকালে বিলি করা হচ্ছিল ট্যাবলয়েড আকারের একটি চার পৃষ্ঠার পত্রিকা। টেলিগ্রাম নামের ওই পত্রিকাটির শেষ পৃষ্ঠায় লেখা ছিল ‘প্রচারে—আবদুচ ছালাম, চেয়ারম্যান সিডিএ’। এতে ‘মহাজোট সরকারের সাফল্যের তিন বছর’ ও ‘সিডিএ’র নেতৃত্বে চট্টগ্রামের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ’ শিরোনামের দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। শেষ প্রতিবেদনে চলমান উড়ালসড়ক নির্মাণ, চট্টগ্রাম-ঢাকা ও চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের উন্নয়ন প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিং, কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প, কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্পকে বর্তমান সরকারের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরা হয়।
মহিউদ্দিনের প্রচারণায় মহিউদ্দিন!
নগরে মহাসমাবেশের প্রচারণায় সবচেয়ে বেশি যাঁদের ব্যানার ও পোস্টার চোখে পড়েছে তাঁদের একজন মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু। মুরাদপুর মোড়, ষোলশহর, দুই নম্বর গেইট, টাইগার পাস মোড়, দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন সড়কে তাঁর পক্ষে ও তিনি নিজে মহাসমাবেশ সফল করার আহ্বান জানিয়ে ডিজিটাল ব্যানার লাগিয়েছেন। নগরের দুই নম্বর গেইট থেকে জিইসি মোড় এলাকা পর্যন্ত সড়ক বিভাজকের ওপর বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থার ছোট আকারের বোর্ড এক সপ্তাহ আগে থেকেই ঢেকে যায় ব্যানারে। এসব ব্যানারে ছিল নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছবি। প্রচারে মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু।
ভোগান্তিতে নগরবাসী
গতকাল বুধবার সকাল ১০ টার পর থেকেই নগরের বিভিন্ন সড়কে শুরু হয় যানজট। এ সময় সিডিএ এভিনিউয়ের দেওয়ান হাট অংশে কিছু সময় যান চলাচল বন্ধ ছিল। ঈদগাঁ এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জামালখানে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। সাড়ে ১০টার দিকে দেওয়ান হাট মোড়ে পৌঁছে দেখি যান চলাচল বন্ধ। পরে ডিটি রোড হয়ে বিআরটিসি দিয়ে এনায়েত বাজার মোড়ে যাই। সেখানে বৌদ্ধ মন্দিরমুখী সড়কেও যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে কাজীর দেউড়ি মোড় হয়ে জামালখান পৌঁছাই। ততক্ষণে পৌনে ১২টা বেজে গেছে। নগরের বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করায় সিডিএ এভিনিউর জিইসি মোড়, ওয়াসা, গোলপাহাড় মোড়, কাজীর দেউড়ি, দেওয়ানহাট, নিউমার্কেট, জামালখানসহ নগরের বিভিন্ন অংশে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী।
বদলে যাওয়া বৌদ্ধ মন্দির মোড়
প্রায় ১৫ দিন আগে থেকেই নগরের সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ডিজিটাল ব্যানার লাগানো শুরু হয়। গত মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই সব প্রধান সড়কের আশপাশের বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড ঢেকে যায় সমাবেশের ব্যানারে।
বৌদ্ধ মন্দির মোড়টিকে প্রচারের ব্যানারে পুরোপুরি ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। ওই এলাকায় চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই এই মোড়েই যেন প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের মরিয়া চেষ্টা। মোড়ের চারপাশে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির পক্ষ থেকে চারটি তোরণ তৈরি করা হয়। এসব তোরণের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী, এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, ড. হাছান মাহমুদ, আ জ ম নাছির উদ্দিনের ছবি সংবলিত বড় আকারের ব্যানারও ছিল। এসব ব্যানারে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানো, মহাসমাবেশ সফল করার আহ্বানের পাশাপাশি ছিল নেতাদের প্রচারণাও। এর একটিতে লেখা ছিল ‘চট্টগ্রামের সৎ, যোগ্য ও ত্যাগী নেতা আ জ ম নাছির উদ্দিনকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চাই।’
ঢোল বাদকের পাওনা দাবি
দেওয়ানহাট ব্রিজ ধরে প্রায় পাঁচ শ জনের একটি মিছিল এগিয়ে আসছিল পলোগ্রাউন্ডের দিকে। টাইগার পাস মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারীদের নজর কাড়ে মিছিলটি। কারণ মিছিলে সবার মাথায় ছিল লাল-সবুজ টুপি। মিছিলে বাজছিল বাংলার ঢোল। বন্দরটিলা ছাত্রলীগের মিছিলটি টাইগার পাস মোড়ে পৌঁছালে ঢোলের তালে নেচে ওঠেন মিছিলের সবাই। এ সময় তাঁদের হাতে থাকা ব্যানারটি গাছে ঝোলানো অন্য একটি ব্যানারে আটকে গেলে মিছিলের গতি একটু কমে যায়। তখন ঢোল বাদকেরা বাজনা থামিয়ে মাঠে ঢোকার আগেই তাঁদের পাওনা দাবি করেন। কিন্তু মিছিলের লোকজন মাঠে ঢোকার আগে পাওনা দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। এ নিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে বাদকদের হালকা বাগিবতণ্ডাও হয়। আশপাশের মানুষজনের মধ্যে বিষয়টি হাস্যরসের সৃষ্টি করে।
সৌজন্যে: এস এম এন করিম!
মহাসমাবেশ ঘিরে অভিনব প্রচারণায়ও নেমেছিলেন কেউ কেউ। বোয়ালখালী থেকে আসা নেতা-কর্মীদের দেওয়া হচ্ছিল হলুদ রঙের কাগজের হাতপাখা। হাতপাখার ওপরের অংশে লেখা ‘মহাসামাবেশ সফল করুন’। এ লেখার নিচেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছবি। নিচে ছিল সাংসদ মঈন উদ্দিন খান বাদল ও এস এম এন করিম নামের এক ব্যক্তির ছবি। হাতপাখার নিচের অংশে লেখা ‘চট্টগ্রামের উন্নয়ন বাংলাদেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত’। সৌজন্যে: এস এম এন করিম। কে এই এস এম এন করিম? তাঁর কোনো পদবি বা দলীয় পরিচয় উল্লেখ নেই হাতপাখায়। এ রকম পরিচয়বিহীন ডিজিটাল ব্যানার ও পোস্টার দেখা গেছে নগরজুড়েই।
আবদুচ ছালামের ‘টেলিগ্রাম’
টাইগার পাস মোড়ে গতকাল বুধবার সকালে বিলি করা হচ্ছিল ট্যাবলয়েড আকারের একটি চার পৃষ্ঠার পত্রিকা। টেলিগ্রাম নামের ওই পত্রিকাটির শেষ পৃষ্ঠায় লেখা ছিল ‘প্রচারে—আবদুচ ছালাম, চেয়ারম্যান সিডিএ’। এতে ‘মহাজোট সরকারের সাফল্যের তিন বছর’ ও ‘সিডিএ’র নেতৃত্বে চট্টগ্রামের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ’ শিরোনামের দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। শেষ প্রতিবেদনে চলমান উড়ালসড়ক নির্মাণ, চট্টগ্রাম-ঢাকা ও চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের উন্নয়ন প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিং, কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প, কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্পকে বর্তমান সরকারের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরা হয়।
মহিউদ্দিনের প্রচারণায় মহিউদ্দিন!
নগরে মহাসমাবেশের প্রচারণায় সবচেয়ে বেশি যাঁদের ব্যানার ও পোস্টার চোখে পড়েছে তাঁদের একজন মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু। মুরাদপুর মোড়, ষোলশহর, দুই নম্বর গেইট, টাইগার পাস মোড়, দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন সড়কে তাঁর পক্ষে ও তিনি নিজে মহাসমাবেশ সফল করার আহ্বান জানিয়ে ডিজিটাল ব্যানার লাগিয়েছেন। নগরের দুই নম্বর গেইট থেকে জিইসি মোড় এলাকা পর্যন্ত সড়ক বিভাজকের ওপর বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থার ছোট আকারের বোর্ড এক সপ্তাহ আগে থেকেই ঢেকে যায় ব্যানারে। এসব ব্যানারে ছিল নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছবি। প্রচারে মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু।
ভোগান্তিতে নগরবাসী
গতকাল বুধবার সকাল ১০ টার পর থেকেই নগরের বিভিন্ন সড়কে শুরু হয় যানজট। এ সময় সিডিএ এভিনিউয়ের দেওয়ান হাট অংশে কিছু সময় যান চলাচল বন্ধ ছিল। ঈদগাঁ এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জামালখানে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। সাড়ে ১০টার দিকে দেওয়ান হাট মোড়ে পৌঁছে দেখি যান চলাচল বন্ধ। পরে ডিটি রোড হয়ে বিআরটিসি দিয়ে এনায়েত বাজার মোড়ে যাই। সেখানে বৌদ্ধ মন্দিরমুখী সড়কেও যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে কাজীর দেউড়ি মোড় হয়ে জামালখান পৌঁছাই। ততক্ষণে পৌনে ১২টা বেজে গেছে। নগরের বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করায় সিডিএ এভিনিউর জিইসি মোড়, ওয়াসা, গোলপাহাড় মোড়, কাজীর দেউড়ি, দেওয়ানহাট, নিউমার্কেট, জামালখানসহ নগরের বিভিন্ন অংশে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী।
বদলে যাওয়া বৌদ্ধ মন্দির মোড়
প্রায় ১৫ দিন আগে থেকেই নগরের সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ডিজিটাল ব্যানার লাগানো শুরু হয়। গত মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই সব প্রধান সড়কের আশপাশের বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড ঢেকে যায় সমাবেশের ব্যানারে।
বৌদ্ধ মন্দির মোড়টিকে প্রচারের ব্যানারে পুরোপুরি ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। ওই এলাকায় চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই এই মোড়েই যেন প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের মরিয়া চেষ্টা। মোড়ের চারপাশে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির পক্ষ থেকে চারটি তোরণ তৈরি করা হয়। এসব তোরণের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী, এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, ড. হাছান মাহমুদ, আ জ ম নাছির উদ্দিনের ছবি সংবলিত বড় আকারের ব্যানারও ছিল। এসব ব্যানারে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানো, মহাসমাবেশ সফল করার আহ্বানের পাশাপাশি ছিল নেতাদের প্রচারণাও। এর একটিতে লেখা ছিল ‘চট্টগ্রামের সৎ, যোগ্য ও ত্যাগী নেতা আ জ ম নাছির উদ্দিনকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চাই।’
No comments