শ্রদ্ধাঞ্জলি-অন্য রকম গণযোদ্ধা
কর্নেল কাজী নূরুজ্জামান বীর উত্তম, সেক্টর কমান্ডার, ৭ নম্বর সেক্টর, ৬ মে ২০১১ সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি ছিলেন একটি বড় দালানের স্তম্ভ। যত দিন ছিলেন তত দিন তাঁর গুরুত্ব বোঝা যায়নি। স্তম্ভটি নেই, এখন দালানটির অস্তিত্বই প্রশ্নের সম্মুখীন।
কর্নেল নূরুজ্জামানের জন্ম ২৪ মার্চ ১৯২৫, যশোরে। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে পড়াশোনা করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি রয়্যাল ইন্ডিয়ান নেভিতে যোগ দেন। পরে রয়্যাল ইন্ডিয়ান আর্মিতে চাকরি স্থানান্তরিত করে রয়্যাল ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমিতে যোগ দেন। ১৯৪৯ সালে ইংল্যান্ডে আর্টিলারি কোর্স করার জন্য নির্বাচিত হন এবং একই সালে তিনি পাকিস্তানের নওশেরায় আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে প্রশিক্ষক নিয়োজিত হন। ১৯৫০ সালে তিনি অফিসার ট্রেনিং স্কুলের ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৫৬ সালে মেজর পদে পদোন্নতি পান এবং ১৯৫৮ সালে স্টাফ কলেজ সম্পন্ন করেন। ১৯৬২ সালে তিনি প্রেষণে ইস্ট পাকিস্তান ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনে (ইপিআইডিসি) নিয়োজিত হন। ১৯৬৯ সালে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন।
একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যার পরপরই কর্নেল নূরুজ্জামান ঢাকা ত্যাগ করে সপরিবারে ময়মনসিংহ চলে যান। ২৮ মার্চ দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইল হয়ে ময়মনসিংহে পৌঁছে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর কাজী মোহাম্মদ সফিউল্লাহর সঙ্গে দেখা করেন। ১৯৫২ সালে জয়দেবপুরে অবস্থিত ক্যাডেট প্রিপারেটরি স্কুলে মেজর সফিউল্লাহ কর্নেল জামানের ছাত্র ছিলেন। মেজর সফিউল্লাহ কর্নেল জামানকে ব্যাটালিয়নের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানান। কর্নেল জামান বলেন, ‘সফিউল্লাহ, তুমিই কমান্ড করো, আমি তো তোমাদের সঙ্গে আছিই।’ তিনি থেকে যান দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সঙ্গেই। ৪ এপ্রিল হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের ম্যানেজারের বাংলোয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর ও তদূর্ধ্ব পদবির কর্মকর্তাদের প্রথম এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। একাত্তরের মে মাসে তাঁকে সভাপতি করে একটি পর্ষদ গঠন করা হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম ব্যাচ ক্যাডেট নির্বাচনের জন্য। এই ক্যাডেটরা কমিশন লাভ করেন সে বছরের ৯ অক্টোবর। কর্নেল জামান নিয়োগ পান ৭ নম্বর সেক্টর কমান্ডার হিসেবে।
কর্নেল নূরুজ্জামানের স্ত্রী ডা. সুলতানা জামান (সারওয়াত আরা), দুই মেয়ে নায়লা জামান, লুবনা মরিয়ম এবং এক ছেলে নাদিম ওমরসহ ভারতে আশ্রয় নেন। ডা. সুলতানা জামান সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় ৭ নম্বর সেক্টরের মাহদিপুর সাব-সেক্টরে একটি হাসপাতাল গড়ে তোলেন। তাঁকে সাহায্য করেন ডা. মোয়াজ্জেম। দুই মেয়ে নায়লা ও লুবনা দেন তাঁদের শ্রম, মেধা ও সময়। ১৫ বছরের কিশোর ছেলে নাদিমকে পাঠিয়ে দেন লালগোলা সাব-সেক্টরের কমান্ডার ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের (পরবর্তী সময়ে বীরশ্রেষ্ঠ) কাছে। রাইফেল হাতে যুদ্ধ করেছে নাদিম আর দশজন গাঁও-গেরামের গণযোদ্ধার সঙ্গে (নাদিম চলে গেছে ওপারে ১৯৭৯ সালে, বাবার বহু আগে)।
১৯৭৭ সাল। বেইলি রোডের ১ নম্বর নওরতন কলোনিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অফিস। কর্নেল নূরুজ্জামান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান। তখন আমি ‘বীরশ্রেষ্ঠ’দের নিয়ে একটি গবেষণা করছি। প্রাসঙ্গিকভাবেই ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের বিষয়ে কর্নেল নূরুজ্জামানের সাক্ষাৎকার প্রয়োজন। টেলিফোন করে সময় নিলাম। যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে একে একে আমার লিখিত প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করতে লাগলাম। শেষ হলে তিনি বললেন, ‘বাবা, তোমার সব প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে?’ বললাম, জি স্যার। ‘তাহলে আমি কিছু কথা বলি, শোনো। কেননা, তুমি যা-ই লেখো, আমার বলা কথা তুমি না লিখলে তোমার লেখা অসম্পূর্ণ থাকবে।’ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সম্পর্কে তিনি বলতে লাগলেন। এক বীরযোদ্ধা বলে চললেন তাঁর রণাঙ্গনের আরেক বীরযোদ্ধার কথা। তাঁর দেশপ্রেম, অমায়িকতা, সাহস, শৌর্য, মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তাঁর সহমর্মিতা। মোট কথা, মানুষ হিসেবে তাঁর অসাধারণত্বের কথা। কর্নেল জামান স্মৃতির অতলে ডুবে গেছেন। কপোল বেয়ে অবিরত পানি গড়িয়ে পড়ছে তাঁর। চোখের পানি বাঁধ মানছে না আমারও। একপর্যায়ে বললেন, ‘মহিউদ্দিনের মরদেহ এনে রাখলাম মালদহ সার্কিট হাউসের বারান্দায় গোসল দেওয়ার জন্য। ভারতীয়রা বাধা দিল। ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিনের মরদেহ নামিয়ে রাখলাম সামনের লনে। সেখানেও তাঁকে গোসল দেওয়া নিয়ে ভারতীয়দের ঘোর আপত্তি। অনুমতি চাওয়ার জন্য লোক পাঠালাম মালদহ জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। তিনি অফিসে থেকেও আমাদের লোককে বলে পাঠালেন, তিনি অফিসে নেই। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, ভারতের মাটিতে আর না। আমরা ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের গোসল ও কবর দেব বাংলাদেশের ভেতরে সোনামসজিদ এলাকায়। তাই-ই করলাম শেষ পর্যন্ত...।’
কখনো গলার স্বর তিনি উঁচু করেননি, রেগে গেলেও না। তার পরও তিনি ছিলেন দৃঢ়চেতা। যা বিশ্বাস করতেন তা-ই করতেন। তাঁর নেতৃত্ব ছিল অনড় অথচ অমায়িক—কি যুদ্ধের মাঠে, কি মাঠের বাইরে। মুখে কোনো বড়াই নেই। সে জন্যই সবার শ্রদ্ধা ছিল তাঁর জন্য। গণযোদ্ধাদের বীরত্বের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি, তাঁদের আত্মত্যাগের মূল্যায়ন করা হয়নি, তাঁদের সাহস আর শৌর্যের শ্রদ্ধা জানানো হয়নি বলে নিজের উপাধি ‘বীর উত্তম’ নামের শেষে কোনো দিন লেখেননি।
কাগজে লিখতেন গণমানুষের জন্য। বই লিখেছেন:মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতি, বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতি এবং স্বদেশ, একাত্তর ও মুক্তিযুদ্ধ: একজন সেক্টর কমান্ডারের স্মৃতিকথা।
কর্নেল কাজী নূরুজ্জামান বীর উত্তম যেমন সাধারণ ছিলেন মননে, তেমন সাধারণ ছিলেন জীবনে। এমন সাধারণ হতে অসাধারণ গুণাবলির প্রয়োজন। জীবনান্তে দুচোখে জল ভরে আসে তাঁর জন্য, সে জন্যই।
মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া (অব.): মুক্তিযোদ্ধা, গবেষক ও লেখক।
cblws1971@yahoo.com
একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যার পরপরই কর্নেল নূরুজ্জামান ঢাকা ত্যাগ করে সপরিবারে ময়মনসিংহ চলে যান। ২৮ মার্চ দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইল হয়ে ময়মনসিংহে পৌঁছে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর কাজী মোহাম্মদ সফিউল্লাহর সঙ্গে দেখা করেন। ১৯৫২ সালে জয়দেবপুরে অবস্থিত ক্যাডেট প্রিপারেটরি স্কুলে মেজর সফিউল্লাহ কর্নেল জামানের ছাত্র ছিলেন। মেজর সফিউল্লাহ কর্নেল জামানকে ব্যাটালিয়নের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানান। কর্নেল জামান বলেন, ‘সফিউল্লাহ, তুমিই কমান্ড করো, আমি তো তোমাদের সঙ্গে আছিই।’ তিনি থেকে যান দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সঙ্গেই। ৪ এপ্রিল হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের ম্যানেজারের বাংলোয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর ও তদূর্ধ্ব পদবির কর্মকর্তাদের প্রথম এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। একাত্তরের মে মাসে তাঁকে সভাপতি করে একটি পর্ষদ গঠন করা হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম ব্যাচ ক্যাডেট নির্বাচনের জন্য। এই ক্যাডেটরা কমিশন লাভ করেন সে বছরের ৯ অক্টোবর। কর্নেল জামান নিয়োগ পান ৭ নম্বর সেক্টর কমান্ডার হিসেবে।
কর্নেল নূরুজ্জামানের স্ত্রী ডা. সুলতানা জামান (সারওয়াত আরা), দুই মেয়ে নায়লা জামান, লুবনা মরিয়ম এবং এক ছেলে নাদিম ওমরসহ ভারতে আশ্রয় নেন। ডা. সুলতানা জামান সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় ৭ নম্বর সেক্টরের মাহদিপুর সাব-সেক্টরে একটি হাসপাতাল গড়ে তোলেন। তাঁকে সাহায্য করেন ডা. মোয়াজ্জেম। দুই মেয়ে নায়লা ও লুবনা দেন তাঁদের শ্রম, মেধা ও সময়। ১৫ বছরের কিশোর ছেলে নাদিমকে পাঠিয়ে দেন লালগোলা সাব-সেক্টরের কমান্ডার ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের (পরবর্তী সময়ে বীরশ্রেষ্ঠ) কাছে। রাইফেল হাতে যুদ্ধ করেছে নাদিম আর দশজন গাঁও-গেরামের গণযোদ্ধার সঙ্গে (নাদিম চলে গেছে ওপারে ১৯৭৯ সালে, বাবার বহু আগে)।
১৯৭৭ সাল। বেইলি রোডের ১ নম্বর নওরতন কলোনিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অফিস। কর্নেল নূরুজ্জামান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান। তখন আমি ‘বীরশ্রেষ্ঠ’দের নিয়ে একটি গবেষণা করছি। প্রাসঙ্গিকভাবেই ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের বিষয়ে কর্নেল নূরুজ্জামানের সাক্ষাৎকার প্রয়োজন। টেলিফোন করে সময় নিলাম। যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে একে একে আমার লিখিত প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করতে লাগলাম। শেষ হলে তিনি বললেন, ‘বাবা, তোমার সব প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে?’ বললাম, জি স্যার। ‘তাহলে আমি কিছু কথা বলি, শোনো। কেননা, তুমি যা-ই লেখো, আমার বলা কথা তুমি না লিখলে তোমার লেখা অসম্পূর্ণ থাকবে।’ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সম্পর্কে তিনি বলতে লাগলেন। এক বীরযোদ্ধা বলে চললেন তাঁর রণাঙ্গনের আরেক বীরযোদ্ধার কথা। তাঁর দেশপ্রেম, অমায়িকতা, সাহস, শৌর্য, মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তাঁর সহমর্মিতা। মোট কথা, মানুষ হিসেবে তাঁর অসাধারণত্বের কথা। কর্নেল জামান স্মৃতির অতলে ডুবে গেছেন। কপোল বেয়ে অবিরত পানি গড়িয়ে পড়ছে তাঁর। চোখের পানি বাঁধ মানছে না আমারও। একপর্যায়ে বললেন, ‘মহিউদ্দিনের মরদেহ এনে রাখলাম মালদহ সার্কিট হাউসের বারান্দায় গোসল দেওয়ার জন্য। ভারতীয়রা বাধা দিল। ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিনের মরদেহ নামিয়ে রাখলাম সামনের লনে। সেখানেও তাঁকে গোসল দেওয়া নিয়ে ভারতীয়দের ঘোর আপত্তি। অনুমতি চাওয়ার জন্য লোক পাঠালাম মালদহ জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। তিনি অফিসে থেকেও আমাদের লোককে বলে পাঠালেন, তিনি অফিসে নেই। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, ভারতের মাটিতে আর না। আমরা ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের গোসল ও কবর দেব বাংলাদেশের ভেতরে সোনামসজিদ এলাকায়। তাই-ই করলাম শেষ পর্যন্ত...।’
কখনো গলার স্বর তিনি উঁচু করেননি, রেগে গেলেও না। তার পরও তিনি ছিলেন দৃঢ়চেতা। যা বিশ্বাস করতেন তা-ই করতেন। তাঁর নেতৃত্ব ছিল অনড় অথচ অমায়িক—কি যুদ্ধের মাঠে, কি মাঠের বাইরে। মুখে কোনো বড়াই নেই। সে জন্যই সবার শ্রদ্ধা ছিল তাঁর জন্য। গণযোদ্ধাদের বীরত্বের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি, তাঁদের আত্মত্যাগের মূল্যায়ন করা হয়নি, তাঁদের সাহস আর শৌর্যের শ্রদ্ধা জানানো হয়নি বলে নিজের উপাধি ‘বীর উত্তম’ নামের শেষে কোনো দিন লেখেননি।
কাগজে লিখতেন গণমানুষের জন্য। বই লিখেছেন:মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতি, বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতি এবং স্বদেশ, একাত্তর ও মুক্তিযুদ্ধ: একজন সেক্টর কমান্ডারের স্মৃতিকথা।
কর্নেল কাজী নূরুজ্জামান বীর উত্তম যেমন সাধারণ ছিলেন মননে, তেমন সাধারণ ছিলেন জীবনে। এমন সাধারণ হতে অসাধারণ গুণাবলির প্রয়োজন। জীবনান্তে দুচোখে জল ভরে আসে তাঁর জন্য, সে জন্যই।
মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া (অব.): মুক্তিযোদ্ধা, গবেষক ও লেখক।
cblws1971@yahoo.com
No comments