সম্প্রীতির ঐতিহ্য নিয়েই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী by মেখ্যাইউ মারমা
‘হিংসা নয় মৈত্রী, সংঘাত নয় শান্তি।’ মহামানব গৌতম বুদ্ধের এই ছিল অমৃত বাণী। বর্তমান সরকারও সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক মনোভাব বিলোপ করে শান্তিপূর্ণভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালনের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করেছে।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় নন্দনকাননে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি পরিচালিত চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের পুনর্নির্মাণ এবং সংস্কার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতিকে উপমহাদেশের প্রাচীনতম বৌদ্ধ সংগঠন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, রাজা বিম্বিসার, অশোক, কণিষ্ক সকলেই বৌদ্ধ ধর্ম প্রসারে কাজ করে গেছেন। বিভিন্ন শতাব্দীতে পাল ও মৌর্য বংশের রাজারা বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ ও সংস্কারকাজ করে গেছেন। বর্তমান সরকার প্রাচীনকালে গড়ে ওঠা সেসব বৌদ্ধ নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ করে চলেছে। ক্ষমতায় আসার পর বৌদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্টে এক কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। যাতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বন্দরনগর চট্টগ্রামকে দেশের দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে উল্লেখ করে আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়নকাজ করে যাচ্ছে। একাত্তরে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকলে মিলে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। এই সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ধারণ করে আমরা সামনে এগিয়ে যাব। দেশে কোনো প্রকার সাম্প্রদায়িকতা থাকবে না। বাংলার মাটিতে কোনো জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসের, দুর্নীতির স্থান থাকবে না। আসুন, বুদ্ধের অহিংস বাণী মনে রেখে সমাজের সর্ব ক্ষেত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সুন্দর, দুর্নীতিমুক্ত এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’
এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু সংঘরাজ ধর্মসেন মহাস্থবির। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের স্বপ্নকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। ধর্মের সমান অধিকার দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, সমিতির মহাসচিব আদর্শ কুমার বড়ুয়া। তিনি বলেন, ১২৩ বছর পুরোনো চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারটিতে মহামানব গৌতম বুদ্ধের অতীব দুর্লভ পবিত্র কেশধাতু (চুল) সংরক্ষিত আছে। সভায় আরও বক্তব্য দেন, অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী বিপ্লব বড়ুয়া। আশীর্বাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির, অজিত রঞ্জন বড়ুয়া। আলোচনা সভার আগে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের পুনর্নির্মাণ এবং সংস্কার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতিকে উপমহাদেশের প্রাচীনতম বৌদ্ধ সংগঠন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, রাজা বিম্বিসার, অশোক, কণিষ্ক সকলেই বৌদ্ধ ধর্ম প্রসারে কাজ করে গেছেন। বিভিন্ন শতাব্দীতে পাল ও মৌর্য বংশের রাজারা বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ ও সংস্কারকাজ করে গেছেন। বর্তমান সরকার প্রাচীনকালে গড়ে ওঠা সেসব বৌদ্ধ নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ করে চলেছে। ক্ষমতায় আসার পর বৌদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্টে এক কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। যাতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বন্দরনগর চট্টগ্রামকে দেশের দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে উল্লেখ করে আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়নকাজ করে যাচ্ছে। একাত্তরে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকলে মিলে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। এই সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ধারণ করে আমরা সামনে এগিয়ে যাব। দেশে কোনো প্রকার সাম্প্রদায়িকতা থাকবে না। বাংলার মাটিতে কোনো জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসের, দুর্নীতির স্থান থাকবে না। আসুন, বুদ্ধের অহিংস বাণী মনে রেখে সমাজের সর্ব ক্ষেত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সুন্দর, দুর্নীতিমুক্ত এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’
এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু সংঘরাজ ধর্মসেন মহাস্থবির। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের স্বপ্নকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। ধর্মের সমান অধিকার দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, সমিতির মহাসচিব আদর্শ কুমার বড়ুয়া। তিনি বলেন, ১২৩ বছর পুরোনো চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারটিতে মহামানব গৌতম বুদ্ধের অতীব দুর্লভ পবিত্র কেশধাতু (চুল) সংরক্ষিত আছে। সভায় আরও বক্তব্য দেন, অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী বিপ্লব বড়ুয়া। আশীর্বাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির, অজিত রঞ্জন বড়ুয়া। আলোচনা সভার আগে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের পুনর্নির্মাণ এবং সংস্কার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
No comments