থানা ছাড়াও ডিএমপি সদর দপ্তরে জিডি করা যাবে by নজরুল ইসলাম
থানায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দূর করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদর দপ্তরে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) গ্রহণে বিশেষ সেল খোলা হচ্ছে। তবে আগের মতো সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে জিডি করার ব্যবস্থাও চালু থাকছে।
এদিকে অনলাইন জিডির ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় এ ব্যবস্থা বন্ধ হতে যাচ্ছে।
এদিকে অনলাইন জিডির ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় এ ব্যবস্থা বন্ধ হতে যাচ্ছে।
সম্প্রতি ডিএমপি সদর দপ্তরে কমিশনারের সঙ্গে সব উপকমিশনারের বৈঠকে আলোচনার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় বলে একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।
এ নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়নে ডিএমপি সদর দপ্তরে পুলিশের আটটি বিভাগের পৃথক বুথ হচ্ছে। ডিএমপির একাধিক উপকমিশনার প্রথম আলোকে আরও জানান, অনলাইন জিডির ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় এ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির কমিশনার বেনজীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক সময় থানায় জিডি করতে গেলে নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। কখনো কখনো পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আসে। এসব বন্ধ করতে শিগগিরই ডিএমপির সদর দপ্তরে জিডি গ্রহণে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু হচ্ছে।’
কমিশনার উল্লেখ করেন, বর্তমানে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের আওতায় ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে নগরবাসী সহজেই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাচ্ছে। বিদেশে যাওয়া বা দেশে চাকরি পাওয়ার মতো বিষয়ে অনেক সময় এ সনদটির প্রয়োজন হয়।
ডিএমপির এ বিশেষ সেলে এর আটটি বিভাগের প্রতিটি বুথে একজন করে উপপরিদর্শক (এসআই) থাকবেন। তিনি অভিযোগ গ্রহণ করে তাতে নম্বর বসাবেন। পরে এসব জিডির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হবে। ডিএমপি সদর দপ্তর এর তদারক করবে।
অনলাইন জিডি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। এতে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, অনলাইন জিডির তথ্য ভুলে ভরা থাকে। যেমন—বাসার ঠিকানা ও ফোন নম্বর সঠিক থাকে না। কেউ কেউ ফোন নম্বরও উল্লেখ করেন না। কেউ কেউ মিথ্যা তথ্য দেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের এপ্রিলে ঘরে বসে সেবা পেতে অনলাইন জিডিব্যবস্থা চালু করা হয়। গত তিন বছরে অনলাইনে রাজধানীর ৪১ থানায় প্রায় পাঁচ হাজার জিডি হয়েছে।
অনলাইন জিডি বন্ধের পরিকল্পনার কারণ তুলে ধরে ডিএমপির একাধিক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, সশরীরে থানায় গিয়ে জিডি করা হলে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার সুযোগ কম থাকে। কারণ, বাদীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়বস্তু সম্পর্কে পুলিশ প্রাথমিক একটা ধারণা পায়। একই সঙ্গে প্রাথমিক তদন্তের কাজ হয়। পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. ইমাম হোসেন প্রথম আলোকে জানান, এখন হয়রানিমূলক জিডিগুলোর বেশির ভাগ হয় অনলাইনে। প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতে তার নামে হুমকি বা চাঁদাবাজির মতো মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়।
এ প্রসঙ্গে ডিএমপির কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেন, অনলাইন জিডিতে বাদীর স্বাক্ষর না থাকায় দায়ের করা জিডি যে তাঁরই, তা প্রমাণিত হয় না। একটি ডেটাবেইসের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও আয়কর (টিআইএন) নম্বর সংযুক্ত থাকলে জিডির বক্তব্য সত্য না মিথ্যা, তা সহজেই প্রমাণ করা যেত।
এ নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়নে ডিএমপি সদর দপ্তরে পুলিশের আটটি বিভাগের পৃথক বুথ হচ্ছে। ডিএমপির একাধিক উপকমিশনার প্রথম আলোকে আরও জানান, অনলাইন জিডির ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় এ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির কমিশনার বেনজীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক সময় থানায় জিডি করতে গেলে নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। কখনো কখনো পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আসে। এসব বন্ধ করতে শিগগিরই ডিএমপির সদর দপ্তরে জিডি গ্রহণে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু হচ্ছে।’
কমিশনার উল্লেখ করেন, বর্তমানে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের আওতায় ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে নগরবাসী সহজেই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাচ্ছে। বিদেশে যাওয়া বা দেশে চাকরি পাওয়ার মতো বিষয়ে অনেক সময় এ সনদটির প্রয়োজন হয়।
ডিএমপির এ বিশেষ সেলে এর আটটি বিভাগের প্রতিটি বুথে একজন করে উপপরিদর্শক (এসআই) থাকবেন। তিনি অভিযোগ গ্রহণ করে তাতে নম্বর বসাবেন। পরে এসব জিডির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হবে। ডিএমপি সদর দপ্তর এর তদারক করবে।
অনলাইন জিডি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। এতে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, অনলাইন জিডির তথ্য ভুলে ভরা থাকে। যেমন—বাসার ঠিকানা ও ফোন নম্বর সঠিক থাকে না। কেউ কেউ ফোন নম্বরও উল্লেখ করেন না। কেউ কেউ মিথ্যা তথ্য দেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের এপ্রিলে ঘরে বসে সেবা পেতে অনলাইন জিডিব্যবস্থা চালু করা হয়। গত তিন বছরে অনলাইনে রাজধানীর ৪১ থানায় প্রায় পাঁচ হাজার জিডি হয়েছে।
অনলাইন জিডি বন্ধের পরিকল্পনার কারণ তুলে ধরে ডিএমপির একাধিক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, সশরীরে থানায় গিয়ে জিডি করা হলে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার সুযোগ কম থাকে। কারণ, বাদীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়বস্তু সম্পর্কে পুলিশ প্রাথমিক একটা ধারণা পায়। একই সঙ্গে প্রাথমিক তদন্তের কাজ হয়। পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. ইমাম হোসেন প্রথম আলোকে জানান, এখন হয়রানিমূলক জিডিগুলোর বেশির ভাগ হয় অনলাইনে। প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতে তার নামে হুমকি বা চাঁদাবাজির মতো মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়।
এ প্রসঙ্গে ডিএমপির কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেন, অনলাইন জিডিতে বাদীর স্বাক্ষর না থাকায় দায়ের করা জিডি যে তাঁরই, তা প্রমাণিত হয় না। একটি ডেটাবেইসের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও আয়কর (টিআইএন) নম্বর সংযুক্ত থাকলে জিডির বক্তব্য সত্য না মিথ্যা, তা সহজেই প্রমাণ করা যেত।
No comments