বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখতে হবে-৮৪ ছাত্রীর ভর্তি-জটিলতা
বেগম রোকেয়া মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগে স্নাতক সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিলেন ১০৩ জন ছাত্রী। কিন্তু এক বছর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানিয়ে দেওয়া হলো, এঁদের ৮৪ জনেরই ইংরেজি বিভাগে পড়ার যোগ্যতা নেই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বেগম রোকেয়া মহিলা কলেজে গত বছরের মার্চ মাসে ১৪০ জন ছাত্রী ভর্তি হন।
পরে তাঁরা নিবন্ধন ফরমও পূরণ করেন। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথমে ৩৭ জনের নিবন্ধন কার্ড পাঠায়। পরে বাদ পড়া ১০৩ জনের মধ্যে আরও ২৯ জনের নামে নিবন্ধন কার্ড পাঠানো হয়। স্বভাবতই এতে ছাত্রীরা ক্ষুব্ধ হন এবং তাঁরা বুধবার কলেজের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। কেন এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হলো?
এ ব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং তদন্ত শেষ হলেও এখনো কোনো প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি। কমিটির প্রধান জানিয়েছেন, শিগগিরই তাঁরা প্রতিবেদন দেবেন। এখানে একটি বিষয় পরিষ্কার যে এই ভর্তি-জটিলতায় ছাত্রীদের কোনো ত্রুটি বা অপরাধ নেই। ভর্তি পরীক্ষার পর তাঁদের যে কোড নম্বর দেওয়া হয়েছে, তার ভিত্তিতে তাঁরা পছন্দসই বিষয় বেছে নিয়েছেন। তাঁরা যদি সেই বিষয়ে ভর্তির যোগ্য না হবেন, তাহলে ভর্তি করা হলো কেন? আর ভর্তির এক বছর পরই বা কেন তাঁদের কারও নামে নিবন্ধন কার্ড পাঠানো হলো এবং কারও ভর্তি বাতিল করা হলো? এটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা ছাড়া কিছু নয়। এক বছর ধরে ছাত্রীরা একটি বিষয়ে ক্লাস করার পর তাঁদের ভর্তি বাতিল করা কেবল অনৈতিক নয়, অমানবিকও। অতএব, বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখতে হবে। ৮৪ জন ছাত্রীর শিক্ষাজীবনকে কোনোভাবেই অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া যাবে না।
আমরা আশা করব, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৮৪ জন ছাত্রীর ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে এবং তাঁরা যাতে ইংরেজি বিভাগেই পড়তে পারেন, সেই ব্যবস্থা করবে। কেননা, রোকেয়া মহিলা কলেজ কিংবা জাতীয় বিশ্বদ্যািলয়—এই দুইয়ের মধ্যে কারও বা উভয়ের ভুলে যদি এই ঘটনা ঘটে থাকে, তার দায় কেন ছাত্রীদের ওপর বর্তাবে? কোনো অজুহাতেই তাঁদের ভর্তি বাতিল করা চলবে না।
এ ব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং তদন্ত শেষ হলেও এখনো কোনো প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি। কমিটির প্রধান জানিয়েছেন, শিগগিরই তাঁরা প্রতিবেদন দেবেন। এখানে একটি বিষয় পরিষ্কার যে এই ভর্তি-জটিলতায় ছাত্রীদের কোনো ত্রুটি বা অপরাধ নেই। ভর্তি পরীক্ষার পর তাঁদের যে কোড নম্বর দেওয়া হয়েছে, তার ভিত্তিতে তাঁরা পছন্দসই বিষয় বেছে নিয়েছেন। তাঁরা যদি সেই বিষয়ে ভর্তির যোগ্য না হবেন, তাহলে ভর্তি করা হলো কেন? আর ভর্তির এক বছর পরই বা কেন তাঁদের কারও নামে নিবন্ধন কার্ড পাঠানো হলো এবং কারও ভর্তি বাতিল করা হলো? এটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা ছাড়া কিছু নয়। এক বছর ধরে ছাত্রীরা একটি বিষয়ে ক্লাস করার পর তাঁদের ভর্তি বাতিল করা কেবল অনৈতিক নয়, অমানবিকও। অতএব, বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখতে হবে। ৮৪ জন ছাত্রীর শিক্ষাজীবনকে কোনোভাবেই অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া যাবে না।
আমরা আশা করব, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৮৪ জন ছাত্রীর ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে এবং তাঁরা যাতে ইংরেজি বিভাগেই পড়তে পারেন, সেই ব্যবস্থা করবে। কেননা, রোকেয়া মহিলা কলেজ কিংবা জাতীয় বিশ্বদ্যািলয়—এই দুইয়ের মধ্যে কারও বা উভয়ের ভুলে যদি এই ঘটনা ঘটে থাকে, তার দায় কেন ছাত্রীদের ওপর বর্তাবে? কোনো অজুহাতেই তাঁদের ভর্তি বাতিল করা চলবে না।
No comments