এক বছরের অভিজ্ঞতাঃ সামনে আরও বিপদ by হায়দার আকবর খান রনো
বর্ষপূর্তির সঙ্গে সঙ্গে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের এক বছর পূর্ণ হলো। ২০০৮ সালে নির্বাচন হয়েছিল ২৯ ডিসেম্বর। মধ্যে ছিল দুই বছর এক অবৈধ অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার, যা ছিল সেনাসমর্থিত এবং বিদেশি প্রভুদের পরিকল্পনা-মাফিক সৃষ্ট এক অসাংবিধানিক অত্যাচারী গণবিরোধী সরকার।
২০০৭ সালের এক-এগারোর ঘটনা এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এক-এগারোর প্রণেতারা এবং তাদের পেছনে মদদকারী বিদেশি প্রভুরা চেয়েছিলেন বাংলাদেশে এক নতুন ধরনের নিয়ন্ত্রিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করতে, যেখানে জনগণের অধিকার থাকবে সীমিত, যেখানে বহুজাতিক কোম্পানির লুটপাটের বিরুদ্ধে তেমন জোরালো প্রতিরোধ গড়ে উঠবে না, যেখানে ব্যর্থ রাষ্ট্র এই অজুহাতে বিদেশি শক্তিগুলোর অবাধ হস্তক্ষেপের সুযোগ তৈরি হবে।
উদ্দেশ্য যাই থাকুক না কেন, এক-এগারোর নায়করা প্রথম দিকে জনগণকে ধোঁকা দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। প্রথমত, এক-এগারোর পেছনের নায়করা অর্থাত্ উপরতলার কিছু সেনা কর্মকর্তারা সরাসরি সামরিক শাসন জারি না করে বেসামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে দেশ চালিয়েছিলেন। বস্তুত মেরুদণ্ডহীন ফখরুদ্দীন ও ইয়াজউদ্দিন সাহেবরা ছিলেন মইনুদ্দিন গংয়ের ক্রীড়নক মাত্র। সেনা আমলারা যখন প্রক্সিতে দেশ চালান, তখন তা আরও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়। দ্বিতীয়ত, মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীন গং কিছুটা সাংবিধানিক সুবিধা গ্রহণের চেষ্টা করেছিলেন। সংবিধান মতে, তাদের মেয়াদের কাল তিন মাস। যদিও কথাটা সরাসরি এভাবে লেখা নেই—বলা হয়েছে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে; কিন্তু না হলে কী হবে তা স্পষ্টাক্ষরে লিখিত নেই। তবু এটা বোধগম্য যে, তিন মাসের অধিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। আইনের মারপ্যাঁচ যাই হোক, এটাই ছিল সংবিধানের স্পিরিট। কিন্তু ফখরুদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার রয়ে গেলেন দুই বছর। কিছু একটা অজুহাত দাঁড় করিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ভোটার তালিকা ঠিক নেই। অতএব ভোটার তালিকা প্রণয়ন করতে দুই বছর সময় লাগবে। বস্তুত এ যুক্তিও সঠিক ছিল না। ভোটার তালিকা করতে লাগবে সর্বোচ্চ তিন মাস কী বড় জোর ছয় মাস। এখানে একটা অদ্ভুত ধরনের স্ববিরোধিতা লক্ষ্য করা যায়। পুরনো ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে, নাকি নতুন ভোটার তালিকা করা হবে। আগের নির্বাচন কমিশন নতুন ভোটার তালিকার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন ড. কামাল হোসেন প্রমুখ বিজ্ঞ আইন বিশেষজ্ঞরা। শেষে বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। হাইকোর্ট রায় দিলেন যে নতুন ভোটার তালিকা নয়, বরং পুরনো তালিকার হাল-নাগাদ করতে হবে। এক-এগারোর ঘটনার পর ড. শামসুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন নতুন ভোটার তালিকার কাজই শুরু করলেন। এটা কি হাইকোর্টের রায়ের পরিপন্থী ছিল না? আমার তো তাই মনে হয়। আইন বিশেষজ্ঞরা এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সেদিন যারা নতুন তালিকা প্রণয়নের বিরুদ্ধে দারুণভাবে সোচ্চার ছিলেন, সেই কামাল হোসেন প্রমুখ এখন এ প্রশ্নে একেবারে নীরব।
দুই বছর সময় চেয়েছিল ফখরুদ্দীনের সরকার। কারণ ভোটার তালিকার সঙ্গে ছবিসহ জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করতে হবে। হ্যাঁ, সেজন্য দুই বছর লাগতেই পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল যে ন্যাশনাল আইডি কার্ড তৈরির কাজ সমাপ্ত করা যায়নি। তাহলে কেন অতিরিক্ত দেড় বা পৌনে দুই বছর তারা রাজত্ব করেছিলেন? সংবিধানের কোন ধারা বলে? এজন্য কি তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত নয়?
মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীন গংকে এ দীর্ঘ সময় অবৈধভাবে রাজত্ব করার সুযোগ করে দিয়েছিল প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোই। পালাক্রমে দুটি বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যে ক্ষমতায় এসেছিল তারা কেউই গণতান্ত্রিক আচরণ করতে পারেননি। ২০০৬ সালেও দুই প্রধান দল কোনো ধরনের সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেননি। আওয়ামী লীগ নেতা জলিল সাহেব ও বিএনপি নেতা আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার দীর্ঘ আলোচনা যে ব্যর্থ হয়েছিল, তা ভবিষ্যতের বড় ব্যর্থতারই ইঙ্গিত বহন করেছিল। তারপর রাজনৈতিক সহিংসতা বস্তুত এক-এগারোর ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছিল। এখন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পরস্পর পরস্পরকে এক-এগারোর জন্য দোষারোপ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, বিএনপি ২২ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের জন্য জেদ ধরেছিল বলেই এক-এগারোর ঘটনা ঘটেছে। এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিযোগ।
এ অভিযোগের আংশিক সত্যতা আছে। তবে এক-এগারোর ঘটনার জন্য অংশত তার নিজের দায়িত্বও যে রয়েছে তা অস্বীকার করা যাবে না। রাস্তায় রাজনৈতিক সহিংসতার প্রসঙ্গে আমি আলোচনায় আসছি না। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে কিন্তু শেখ হাসিনা ২২ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে সম্মত হয়েছিলেন; যদিও এর আগে তিনি নির্বাচন বয়কোটের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরেই মহাজোটের প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে এমনকি নতুন ঘটনা ঘটল যে মহাজোটের প্রার্থীরা একযোগে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেন? এটি ব্যাখ্যা করা যায় না। এমনকি শেখ হাসিনাসহ মহাজোট নেতারাও এ ব্যাখ্যা দেননি।
এর পরের ঘটনা হলো এই যে, শেখ হাসিনা ফখরুদ্দীনের সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ফখরুদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক গৃহীত সব পদক্ষেপ তিনি অনুমোদন করবেন।
প্রথমদিকে ফখরুদ্দীনের সরকার যে কিছুটা জনপ্রিয় ছিল তা অস্বীকার করা যাবে না। বিগত বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় দলের কর্তাব্যক্তিদের সম্পর্কে জনমনে বিরূপ ধারণা ছিল। সেটাকেই কাজে লাগিয়েছিল মইনউদ্দিন গং। কে দুর্নীতিবাজ বা কে দুর্নীতিবাজ নয়, সেটা তদন্ত ও বিচার-সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ লোকমুখে ছিল। ২০০৫-০৬ সালে মাঠ থেকে দাবি উঠেছিল দুর্নীতিবাজরা যেন নির্বাচনে অংশ না নিতে পারেন। দাবি উঠেছিল কালো টাকার মালিকদের নির্বাচনে প্রার্থী করা যাবে না। এ সুযোগটি নিয়েছিলেন মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীন গং। তারা ৩৮ বছরের জঞ্জাল পরিষ্কারের মহান দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই প্রয়োজন দুর্নীতিমুক্ত সমাজ। এ জন্য কমপক্ষে দুই বছর সময় তো লাগবেই।
এভাবে ফখরুদ্দীনের জরুরি সরকার আর মইনুদ্দিনের প্রক্সি সরকার দুই বছর কাটিয়ে দিল এবং তাদের অবৈধ শাসনের জন্য খোঁড়া হলেও একটা যুক্তি দাঁড় করাতে পেরেছিলেন। এ কথা এখন সবার জানা যে, এ সরকার চেয়েছিল রাজনীতি ও গণতন্ত্রকেই অপসারিত করতে। তারা চেয়েছিলেন সাম্রাজ্যবাদের বশংবদ সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে এবং সে জন্য নতুন ধরনের আপাত চমক লাগানো নিয়ন্ত্রিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম করতে। এ জন্য দরকার ছিল রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং বিশেষভাবে দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে হটিয়ে দেয়া। এ জন্য ফখরুদ্দীন প্রশাসন কয়েকটি হাতিয়ার ব্যবহার করেছিল—দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া। এ ছাড়া বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন, রিমান্ডে নিয়ে দৈহিক নিপীড়ন ইত্যাদি তো ছিলই। এক কথায় এ সরকার ছিল চরমভাবে অত্যাচারী। আর ঠিক এ কারণেই তারা ব্যর্থ হলো। শেষে অবস্থা দাঁড়ালো, ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি।
ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিনের সরকারের বিরুদ্ধে এখন সবাই সোচ্চার। কিন্তু সেদিন খুব কম ব্যক্তিই সমালোচনা করতে সাহস পেয়েছিলেন। টকশোতে কয়েকজন সাহসী ব্যক্তি সমালোচনা করলেও অথবা খবরের কাগজে লেখার চেষ্টা করলেও তাতে ছিল নানা রকম বাধা-নিষেধ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে অপকীর্তি করেছিল সেজন্য তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। এখন এ দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি সরকারদলীয় ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর প্রকাশ্যে এবং সংসদেও এ দাবি তুলেছেন। বর্তমান সরকার প্রতিপক্ষ বিএনপিকে ঘায়েল করার জন্য যতটা তত্পর, মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীন গংদের বিচার করার ব্যাপারে ঠিক ততটাই নীরব।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া উভয়কেই রাজনীতি থেকে বিদায় করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু পারেনি। তারা চেয়েছিলেন খালেদা জিয়াকে জোর করে প্লেনে তুলে দেশ ত্যাগে বাধ্য করতে। খালেদা জিয়া বিভিন্ন ভাবে তা ঠেকাতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার দৃঢ়তা ও অনমনীয় কৌশলের প্রশংসা করতেই হয়। অন্যদিকে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আসতে বাধা দিতে চেয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক মহলের সামনে বিষয়টি জোরালোভাবে উত্থাপন করে সরকারকে বাধ্য করেছিল সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে। তার সেই বলিষ্ঠ ভূমিকারও প্রশংসা করতে হয়। এরপর দুই নেত্রীকে দীর্ঘ সময় কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল। সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের কারাবরণ এবং দেশে প্রত্যাবর্তনে বাধা প্রদানের ঘটনাটি উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু একই ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন খালেদা জিয়া, যিনি এখন বিরোধীদলীয় নেত্রী। উভয়ই দুবার করে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। অতএব বক্তৃতায় খালেদা জিয়ার কারাবরণ এবং দেশত্যাগে বাধ্য করার অন্যায় প্রয়াসের ঘটনাটি উল্লেখ করাও প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় থাকা উচিত ছিল। না করাটা শোভন হয়নি, বরং সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় বহন করে।
একথা সত্য যে, ফখরুদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিশেষ অসত্ উদ্দেশ্যে ঢালাওভাবে রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল এবং অনেকের দীর্ঘমেয়াদি জেলও হয়েছিল। যে পদ্ধতিতে রিমোট কন্ট্রোলের দ্বারা এসব মামলার রায় হয়েছিল তা ছিল বিচারের নামে প্রহসন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিচার বিভাগকে প্রশাসন থেকে পৃথক করার যে কৃতিত্বের দাবি করেছিল, তা যে ছিল সর্বৈব মিথ্যা দাবি, তা আর এখন অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু এতদ সত্ত্বেও এটাও সত্য যে, রাজনীতিবিদদের ও আমলাদের অনেকেই ছিলেন দুর্নীতিবাজ। পাবলিক পারসেপশনও তাই। তাই একদিকে যেমন রাজনীতিবিদ হলেই সাত খুন মাফ করা ঠিক হবে না, অন্যদিকে হয়রানিমূলক মামলাও প্রত্যাহার করা জরুরি। বর্তমান সরকার এক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে পারছে না। স্বদলীয় লোকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে শুধু দলীয় বিবেচনায়। অন্যদিকে বিরোধী দলের হলে তাদের বিরুদ্ধে পুরনো মামলার সঙ্গে নতুন করে মামলা যুক্ত করা হচ্ছে।
এরসঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ক্রসফায়ার, বিচারবহির্ভূত হত্যা, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন, সন্ত্রাস, দলীয় কোন্দলে খুনাখুনি, দুর্নীতি, দলবাজি ও টেন্ডারবাজি। এক কথায় কিছুই বদলায়নি। এত ঘটনার পরও বদলায়নি মানসিকতা। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেনি। নির্বাচিত সরকারের এক বছরের অভিজ্ঞতা তাই শুভ নয়। আরও আশঙ্কার কথা এই যে, এ সুযোগ আবারও নিতে পারে গণতন্ত্রের শত্রুরা। প্রভাবশালী মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও একবার এমন আশঙ্কার কথা বলেছিলেন।
নতুন বছরে সবার বোধোদয় হোক, বিশেষ করে সরকার যেন গণতান্ত্রিক আচরণ করতে শেখে, বিরোধী দলকে ঘায়েল করার সংকীর্ণ মানসিকতার চেয়ে জনগণের কল্যাণ ও গণতান্ত্রিক আচরণ করতে আগ্রহী হয়, সেটাই কামনা করব। অন্যদিকে বিরোধী দলকেও একইভাবে সংসদে যোগদান করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে যতটা পারা যায় কার্যকর করার প্রচেষ্টা নেয়া উচিত। অন্যথায় যেটুকু গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে সবটাই হারানোর আশঙ্কা একেবারে অমূলক নয়।
No comments