জিম্মি করে টাকা আদায়-পুলিশে অবক্ষয় আতঙ্কজনক
রাজশাহীতে এক চিকিৎসক পরিবারকে জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে পুলিশের এক লাখ টাকা আদায়ের ঘটনাটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সম্পর্কে বিদ্যমান নেতিবাচক ধারণাকে আরও শক্তিশালী করবে। সহকারী কমিশনার থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের পরিকল্পিত অপরাধের সঙ্গে জড়িত হওয়ার ঘটনা বাহিনীর সামগ্রিক
নৈতিক অবক্ষয়কেই নির্দেশ করে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতাজাত আতঙ্কের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। ইতিমধ্যে পুলিশ সদস্যদের প্রকাশ্যে আসা বেশ কয়েকটি জনস্বার্থবিরোধী অপরাধমূলক ঘটনায় মানুষের মন এমনিতেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ওপর বিষিয়ে আছে। তবে কর্মকর্তা থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত একটি বাহিনীর অধঃপতন শুধু তাদের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে সংঘটিত হয়েছে, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পৌনঃপুনিকভাবে ব্যবহার, তাদের রিত্রুক্রট করার সময় উৎকোচ আদায় এবং অপরাধ করেও অর্থ ও ক্ষমতার জোরে পার পেয়ে যাওয়ার নজির সৃষ্টি হওয়ায় আইন রক্ষাকারীর ভূমিকার পরিবর্তে পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্য সুযোগ পেলেই অপরাধীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে আত্মশ্লাঘা অনুভব করে না। এ অবস্থা সর্বব্যাপী নৈতিক অবক্ষয়েরও স্মারক।
রাজশাহী মহানগরী পুলিশের এক সহকারী কমিশনারকে বৃহস্পতিবার উলি্লখিত অপরাধ সংঘটনের রাতেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই উপ-পরিদর্শক ও পাঁচ কনস্টেবলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। যথাযথ তদন্তের পর অপরাধের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ইদানীংকালে কয়েকটি অপরাধমূলক ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণের ধারা পর্যালোচনা করে আশা করা যায় যে, রাজশাহীতে চিকিৎসক পরিবারকে জিম্মি করে অর্থ আদায়ের সঙ্গে জড়িতরাও রেহাই পাবে না। কিন্তু কেবল কঠোর শাস্তি দিয়ে পুলিশ সদস্যদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে পুরোপুরি নিবৃত্ত করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। এর মনস্তাত্তি্বক ও আনুষঙ্গিক কারণগুলোকেও যথাযথভাবে অ্যাড্রেস করতে হবে। পুলিশ বাহিনীর যেসব সদস্য রাজশাহীতে চিকিৎসক পরিবারকে জিম্মি করে অর্থ আদায় করেছে তাদের কঠোর শাস্তিই প্রাপ্য। তবে পুলিশ বাহিনীর নৈতিক মান বৃদ্ধির উপায়ও বাহিনীর দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ, সমাজবিজ্ঞানী, অপরাধ বিশেষজ্ঞ ও সরকারকে খুঁজতে হবে।
রাজশাহী মহানগরী পুলিশের এক সহকারী কমিশনারকে বৃহস্পতিবার উলি্লখিত অপরাধ সংঘটনের রাতেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই উপ-পরিদর্শক ও পাঁচ কনস্টেবলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। যথাযথ তদন্তের পর অপরাধের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ইদানীংকালে কয়েকটি অপরাধমূলক ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণের ধারা পর্যালোচনা করে আশা করা যায় যে, রাজশাহীতে চিকিৎসক পরিবারকে জিম্মি করে অর্থ আদায়ের সঙ্গে জড়িতরাও রেহাই পাবে না। কিন্তু কেবল কঠোর শাস্তি দিয়ে পুলিশ সদস্যদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে পুরোপুরি নিবৃত্ত করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। এর মনস্তাত্তি্বক ও আনুষঙ্গিক কারণগুলোকেও যথাযথভাবে অ্যাড্রেস করতে হবে। পুলিশ বাহিনীর যেসব সদস্য রাজশাহীতে চিকিৎসক পরিবারকে জিম্মি করে অর্থ আদায় করেছে তাদের কঠোর শাস্তিই প্রাপ্য। তবে পুলিশ বাহিনীর নৈতিক মান বৃদ্ধির উপায়ও বাহিনীর দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ, সমাজবিজ্ঞানী, অপরাধ বিশেষজ্ঞ ও সরকারকে খুঁজতে হবে।
No comments