বয়স আমার হার মেনেছে by মুজিবুর রহমান
আঙ্গুরবালা বয়সের ভারে খানিকটা ন্যুব্জ। ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারেন না। বয়স ৭৮ পেরিয়ে গেছে। পান না বয়স্ক ভাতা বা বিধবা ভাতা। বেঁচে থাকার কাছে বয়সকে হার মানিয়েছেন। জীবিকা নির্বাহে তিনি এ বয়সে প্রতিদিন টিউশনি (ছাত্র পড়িয়ে) করে চলেছেন। কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নের জনতা নার্সারিতে বসবাসরত বৃদ্ধ আঙ্গুরবালার জীবনসংগ্রামের চিত্র এটি।
আবেগাপ্লুত আঙ্গুরবালার কথায়, তিনি ব্রিটিশ আমলে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছিলেন। পৈতৃক বাড়ি ছিল হবিগঞ্জ জেলার একটি গ্রামে। গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে তিনি। ১২ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল একই জেলার রিচি গ্রামের অশ্বিনীকুমার রায়ের সঙ্গে। স্বামী শ্রীমঙ্গলে তখনকার মাড়োয়ারি দোকানে চাকরির সুবাদে এলাকা ছেড়ে চলে আসেন। ১৫-১৬ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর একমাত্র মেয়ে শিবানী রায়ের সঙ্গে শমশেরনগর জনতা নার্সারিতে চলে আসেন। শিবানীকে সেখানের নিতাই বৈদ্যের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হলেও বছর তিন-চার ধরে তাঁর স্বামী অসুস্থ। শিবানী শমশেরনগর থেকে পার্শ্ববর্তী পতনউষার ইউনিয়নে জনতা নার্সারিতে ১২ বছর ধরে কাজ করে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন। মেয়ের সঙ্গে ১২ বছর ধরে আঙ্গুরবালাও ওই নার্সারিতে বসবাস করে শ্রীসূর্য ধোপাটিলা গ্রামে তিনটি টিউশনি করে কিছু আয় করে মেয়েকে সাহায্য করছেন। আঙ্গুরবালা বলেন, তিনটি টিউশনি করে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করেন।
বৃদ্ধ হয়েও বয়স্কভাতা না পাওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগে ভাতা পাইনি। বর্তমান মেম্বর দুবার ত্রাণের চাল ও একটি স্যানিটেশন ল্যাট্রিন দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সামনে সুযোগ এলে বয়স্ক ভাতায় নাম নিবন্ধন করে দেবেন।’
শিবানী রায় বলেন, মায়ের বয়স্ক ভাতা ও স্বামীর সহযোগিতার জন্য উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে আবেদন করেছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আবদুল করিম জানান, যখন বয়স্কভাতার তালিকা চাওয়া হবে, তখন সর্বপ্রথম আঙ্গুরবালার নাম দেওয়া হবে। কমলগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুরজিৎকুমার পাল আশ্বাস দিয়ে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব বৃদ্ধ আঙ্গুরবালাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রকাশকান্তি চৌধুরী বলেন, সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে তিনি আঙ্গুরবালার জীবনসংগ্রামের কথা শুনেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃদ্ধ হয়েও বয়স্কভাতা না পাওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগে ভাতা পাইনি। বর্তমান মেম্বর দুবার ত্রাণের চাল ও একটি স্যানিটেশন ল্যাট্রিন দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সামনে সুযোগ এলে বয়স্ক ভাতায় নাম নিবন্ধন করে দেবেন।’
শিবানী রায় বলেন, মায়ের বয়স্ক ভাতা ও স্বামীর সহযোগিতার জন্য উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে আবেদন করেছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আবদুল করিম জানান, যখন বয়স্কভাতার তালিকা চাওয়া হবে, তখন সর্বপ্রথম আঙ্গুরবালার নাম দেওয়া হবে। কমলগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুরজিৎকুমার পাল আশ্বাস দিয়ে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব বৃদ্ধ আঙ্গুরবালাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রকাশকান্তি চৌধুরী বলেন, সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে তিনি আঙ্গুরবালার জীবনসংগ্রামের কথা শুনেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
No comments