প্রতি মাসে সরকার হারাচ্ছে শতকোটি টাকার রাজস্বঃ চিনি আমদানিকারক সিন্ডিকেটের পোয়াবারো
বাজার নিয়ে মন্ত্রীরা অনেক ইতিবাচক কথা বলে থাকেন। কিন্তু সেসব কথা মূল্যহীন প্রমাণ করে বাজারে পণ্যমূল্যের অস্থিরতায় বেসামাল সাধারণ মানুষ। এজন্য অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের দায়ী করা হলেও সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার গরজ দেখায় না।
মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা নীতিবিরুদ্ধ—এমন কথা প্রায়ই শোনা যায় মন্ত্রীদের মুখে। ফলে ব্যবসায়ীদের পোয়াবারো। তারা ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করে তুলতে দ্বিধা করে না। এ কাজে সংশ্লিষ্ট সরকারি মহলের সহায়তারও অভাব নেই মোটেই। জনগণের পকেট কাটা মুনাফার টাকা কীভাবে ভাগবাটোয়ারা হয়, সেটা জানা না গেলেও সরকারি নির্দেশের ফাঁক দিয়ে ব্যবসায়ীদের সুবিধা আদায়ের কথা মাঝে মধ্যেই প্রকাশ হয়ে পড়ে। গতকালের আমার দেশ-এ চিনি আমদানিকারকদের দ্বারা প্রতি মাসে প্রায় শতকোটি টাকার রাজস্ব লুটে নেয়ার এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
চিনির অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে গত রমজান মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দু’মাসের জন্য চিনির ওপর থেকে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের কথা জানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরকে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এনবিআরের জারি করা এসআরওতে সময়সীমার উল্লেখ না থাকায় এখনও বিনাশুল্কে চিনি আমদানি অব্যাহত রয়েছে। এতে করে সরকার বিশাল অঙ্কের রাজস্ব হারালেও জনগণ আশানুরূপ সুবিধা পাচ্ছে না। কারণ বাজারে চিনির দাম কমছে না। জনগণ বঞ্চিত হলেও পকেট মোটা হচ্ছে আমদানিকারক-ব্যবসায়ীদের। সরকারের সিদ্ধান্তমতে, গত আগস্ট মাস থেকে অপরিশোধিত চিনির ওপর থেকে শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়, যা ছিল টনপ্রতি ৪ হাজার টাকা। আর পরিশোধিত চিনির শুল্ক হার ৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে টনপ্রতি ৩ হাজার টাকা করা হয়। দু’ধরনের মিলে মাসে গড়ে প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি হয়ে থাকে। এই উভয় ধরনের চিনির ওপর থেকে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার হয়েছে গড়ে প্রতি টনে ৮ হাজার টাকা; অর্থাত্ সরকার প্রতি মাসে চিনি আমদানি থেকেই ৮০ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব হারাচ্ছে। এ থেকে জনগণ লাভবান না হলেও বিষয়টি খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেই কারও। শুল্ক প্রত্যাহারের ফলাফল নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। এভাবে পণ্যমূল্য কমানোর কোনও নজির অতীতে না থাকলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কেন এমন উদ্যোগ নিয়েছে, সে প্রশ্নের জবাব দেয়ার কেউ নেই। রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়ানো এনবিআরের প্রধান কাজ হলেও তারাই বা কেন শতকোটি টাকার রাজস্ব প্রত্যাহারে সম্মতি দিয়েছে, তাও আবার সময়সীমা উল্লেখ ছাড়া, তারও সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।
মানুষ এখনও ভুলে যায়নি, আওয়ামী মহাজোটের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল দ্রব্যমূল্য কমিয়ে আনা। এক্ষেত্রে সরকারের সফলতার দাবি মানুষকে বিস্মিত করে। চাল, চিনি, ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির উচ্চমূল্য কেউই অস্বীকার করবে না। দ্রব্যমূল্য কমাতে না পারলেও বৃদ্ধির পেছনে সরকারি সংশ্লিষ্টতা খুঁজতে বেশিদূর যেতে হয় না। চিনির ঘটনাই এর প্রমাণ। আমদানিকারক-ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে শতকোটি টাকার রাজস্ব খুইয়েও বাজারে চিনির দাম কমে না আসা সরকারের ব্যর্থতা ছাড়া আর কি! এমন অনেক ব্যর্থতা নিয়েই মহাজোট সরকারের প্রথম বছর শেষ হতে চলেছে। আগামী বছর ভিন্ন কিছু ঘটবে কিনা, সেটা জানার জন্য সবাইকে আরও অপেক্ষা করতেই হবে।
চিনির অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে গত রমজান মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দু’মাসের জন্য চিনির ওপর থেকে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের কথা জানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরকে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এনবিআরের জারি করা এসআরওতে সময়সীমার উল্লেখ না থাকায় এখনও বিনাশুল্কে চিনি আমদানি অব্যাহত রয়েছে। এতে করে সরকার বিশাল অঙ্কের রাজস্ব হারালেও জনগণ আশানুরূপ সুবিধা পাচ্ছে না। কারণ বাজারে চিনির দাম কমছে না। জনগণ বঞ্চিত হলেও পকেট মোটা হচ্ছে আমদানিকারক-ব্যবসায়ীদের। সরকারের সিদ্ধান্তমতে, গত আগস্ট মাস থেকে অপরিশোধিত চিনির ওপর থেকে শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়, যা ছিল টনপ্রতি ৪ হাজার টাকা। আর পরিশোধিত চিনির শুল্ক হার ৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে টনপ্রতি ৩ হাজার টাকা করা হয়। দু’ধরনের মিলে মাসে গড়ে প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি হয়ে থাকে। এই উভয় ধরনের চিনির ওপর থেকে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার হয়েছে গড়ে প্রতি টনে ৮ হাজার টাকা; অর্থাত্ সরকার প্রতি মাসে চিনি আমদানি থেকেই ৮০ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব হারাচ্ছে। এ থেকে জনগণ লাভবান না হলেও বিষয়টি খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেই কারও। শুল্ক প্রত্যাহারের ফলাফল নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। এভাবে পণ্যমূল্য কমানোর কোনও নজির অতীতে না থাকলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কেন এমন উদ্যোগ নিয়েছে, সে প্রশ্নের জবাব দেয়ার কেউ নেই। রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়ানো এনবিআরের প্রধান কাজ হলেও তারাই বা কেন শতকোটি টাকার রাজস্ব প্রত্যাহারে সম্মতি দিয়েছে, তাও আবার সময়সীমা উল্লেখ ছাড়া, তারও সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।
মানুষ এখনও ভুলে যায়নি, আওয়ামী মহাজোটের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল দ্রব্যমূল্য কমিয়ে আনা। এক্ষেত্রে সরকারের সফলতার দাবি মানুষকে বিস্মিত করে। চাল, চিনি, ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির উচ্চমূল্য কেউই অস্বীকার করবে না। দ্রব্যমূল্য কমাতে না পারলেও বৃদ্ধির পেছনে সরকারি সংশ্লিষ্টতা খুঁজতে বেশিদূর যেতে হয় না। চিনির ঘটনাই এর প্রমাণ। আমদানিকারক-ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে শতকোটি টাকার রাজস্ব খুইয়েও বাজারে চিনির দাম কমে না আসা সরকারের ব্যর্থতা ছাড়া আর কি! এমন অনেক ব্যর্থতা নিয়েই মহাজোট সরকারের প্রথম বছর শেষ হতে চলেছে। আগামী বছর ভিন্ন কিছু ঘটবে কিনা, সেটা জানার জন্য সবাইকে আরও অপেক্ষা করতেই হবে।
No comments