টমেটো চাষে সফল শাকেরা by রুহুল বয়ান,
পাহাড়ের ঢালে টমেটো চাষ করে লাখপতি হলেন শাকেরা আক্তার। কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার পাহাড়ের ঢালে ২০ শতক জমিতে টমেটো চাষে করেন তিনি। ফলন হয় বাম্পার। লাভবান হওয়ায় মুখে হাসি ফুটেছে শাকেরার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের চারপাশে পাহাড়ঘেরা দুটি গ্রামের নাম উত্তরকুল ও দক্ষিণকুল। এ দুই গ্রামের লোকজন পাহাড়ের ভেতরে পানের বরজ ও ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের চারপাশে পাহাড়ঘেরা দুটি গ্রামের নাম উত্তরকুল ও দক্ষিণকুল। এ দুই গ্রামের লোকজন পাহাড়ের ভেতরে পানের বরজ ও ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।
কিন্তু পাহাড়ের ঢালে গিয়ে সবজির চাষ করার মতো এ গ্রামের কারও চিন্তাভাবনা ছিল না। ১০ বছর আগে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসে উত্তরকুলের বাসিন্দা আবদুর রশিদ নামের একজন যুবক পাহাড়ের ঢালে টমেটো চাষ শুরু করেন। টমেটো চাষ করে লাভবান হন রশিদ। তাঁর কাছ থেকে টমেটো চাষের অভিজ্ঞতা নিয়ে শাকেরা আক্তারসহ অন্যরাও পাহাড়ের ঢালে গিয়ে টমেটো চাষ শুরু করেন। এখন উত্তর ও দক্ষিণকুল এই দুই গ্রাম সবজি গ্রাম হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। এ ছাড়া টমেটোর পাশাপাশি ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, তরমুজসহ নানা ধরনের সবজি চাষ হচ্ছে। আর এসব কাঁচা তরিতরকারি খেত থেকে তুলে নিয়ে চাষিরা পৌর এলাকার গোরকঘাটা বাজার, ছোট মহেশখালী লম্বাঘোনা বাজার ও বড় মহেশখালী ইউনিয়নের নতুন বাজারে আড়তদারদের কাছে পাইকারি দামে বিক্রি করছেন। ফলে দুই গ্রামের ১০ হাজার মানুষ কাঁচা তরিতরকারি ও সবজি চাষ করে এখন জীবিকা নির্বাহ করছেন।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়েদেখা গেল, উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের দক্ষিণকুল পাহাড়ের চড়াইয়ে টমেটো বাগান থেকে বাজারে বিক্রি করার জন্য টমেটো তুলছেন শাকেরা। সপ্তাহে তিন দিন খেত থেকে টমেটো তুলে বাজারে নিয়ে আড়তদারের কাছে বিক্রি করে থাকেন। এ থেকে প্রতি সপ্তাহে একেকজন চাষি তিন থেকে হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করেন।
দক্ষিণকুলের টমেটো চাষি শাকেরা আক্তার বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এবারের টমেটোর ফলন ভালো হওয়ায় খরচ বাদে দেড় লাখ টাকা লাভ হবে। কিন্তু সময়মতো সার প্রয়োগ করতে পারলে আরও ফলন ভালো হতো। ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল মোস্তফা বলেন, একসময় পাহাড়ের ঢালে কোনো চাষ না হলেও কয়েক বছর ধরে উত্তর ও দক্ষিণকুল এ দুই গ্রামে টমেটো চাষ হচ্ছে। ফলে এ দুই গ্রামের উৎপাদিত কাঁচা তরকারি ও সবজি উপজেলার সদরের আশপাশে ছোট-বড় পাঁচটি বাজারের তরিতরকারির চাহিদা মেটাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মহেশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিরুল বাহরাইন বলেন, এ বছর পুরো এলাকায় ৩০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে। তার মধ্যে ওই দুই গ্রামে সবচেয়ে বেশি। পাহাড় ব্যবহার করে স্থানীয় লোকজন এ চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। তবে চাষিদের সার না পাওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ছোট মহেশখালী ইউনিয়নে সার ডিলার থাকলেও তিনি বরাদ্দ করা সার তোলেননি। এ কারণে ছোট মহেশখালী এলাকায় সারসংকট তীব্র আকার ধারণ করে।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়েদেখা গেল, উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের দক্ষিণকুল পাহাড়ের চড়াইয়ে টমেটো বাগান থেকে বাজারে বিক্রি করার জন্য টমেটো তুলছেন শাকেরা। সপ্তাহে তিন দিন খেত থেকে টমেটো তুলে বাজারে নিয়ে আড়তদারের কাছে বিক্রি করে থাকেন। এ থেকে প্রতি সপ্তাহে একেকজন চাষি তিন থেকে হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করেন।
দক্ষিণকুলের টমেটো চাষি শাকেরা আক্তার বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এবারের টমেটোর ফলন ভালো হওয়ায় খরচ বাদে দেড় লাখ টাকা লাভ হবে। কিন্তু সময়মতো সার প্রয়োগ করতে পারলে আরও ফলন ভালো হতো। ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল মোস্তফা বলেন, একসময় পাহাড়ের ঢালে কোনো চাষ না হলেও কয়েক বছর ধরে উত্তর ও দক্ষিণকুল এ দুই গ্রামে টমেটো চাষ হচ্ছে। ফলে এ দুই গ্রামের উৎপাদিত কাঁচা তরকারি ও সবজি উপজেলার সদরের আশপাশে ছোট-বড় পাঁচটি বাজারের তরিতরকারির চাহিদা মেটাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মহেশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিরুল বাহরাইন বলেন, এ বছর পুরো এলাকায় ৩০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে। তার মধ্যে ওই দুই গ্রামে সবচেয়ে বেশি। পাহাড় ব্যবহার করে স্থানীয় লোকজন এ চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। তবে চাষিদের সার না পাওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ছোট মহেশখালী ইউনিয়নে সার ডিলার থাকলেও তিনি বরাদ্দ করা সার তোলেননি। এ কারণে ছোট মহেশখালী এলাকায় সারসংকট তীব্র আকার ধারণ করে।
No comments