ওকসের ছয়েও ইংল্যান্ডের পরাজয়
মাত্রই নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমেই রেকর্ড! ক্রিস ওকস তবু হাসতে পারলেন কই! ৬ উইকেট নিয়ে, বিদেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের পক্ষে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েও যে দাঁড়াতে হলো পরাজিতদের কাতারে। দুঃখটা বহু গুণে বেড়ে যাচ্ছে আরেকটি কারণে, কাল ব্রিসবেনে ৫১ রানের এই পরাজয় মীমাংসা করে দিল সাত ম্যাচ সিরিজেরও। গত বছর মার্চের পর এই প্রথম কোনো ট্রফি জয় নিশ্চিত হলো অস্ট্রেলিয়ার। ৪-১-এ এগিয়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার জন্য শেষ দুটো ম্যাচ তাই কেবলই আনুষ্ঠানিকতার, বিশ্বকাপ-প্রস্তুতির।কুইন্সল্যান্ডের ‘বন্যার ম্যাচে’ জয় চেয়েছিলেন, সিরিজটাও শেষ করে ফেলতে চেয়েছিলেন এখানেই। শেন ওয়াটসনের চাওয়া পূরণ হয়েছে। কিন্তু ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত দুই কুইন্সল্যান্ডার ওয়াটসন ও জনসনের হয়নি। দুজনই ব্যাট হাতে ১৬ রান করেছেন। ওয়াটসন তিনটি উইকেট নিলেও জনসন উইকেটশূন্য। তবে তিন ম্যাচ বিশ্রামের পর ফিরে এসে ৮ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ২৯। কিছুদিন ধরে বন্যার মতোই রান দিতে থাকা জনসন নিজেকে ফিরে পাওয়ায় খুশি হওয়ার কথা অস্ট্রেলিয়ার।সিরিজ জয়ের দিনে অস্ট্রেলিয়া সুখবর পেয়েছে আরেকটি। অবশেষে রানে ফিরেছেন মাইকেল ক্লার্ক। তাঁর ৭৪ বলে করা ৫৪ রানের ইনিংসটিই অস্ট্রেলিয়ার ২৪৯ রানের ভিত্তি। ফিফটির পরপরই অবশ্য আউট হয়ে গেছেন ওকসের বলে। কাল গ্যাবার বাড়তি বাউন্সের উইকেটে এই ২১ বছর বয়সী পেসারের শিকার হয়েছেন ওয়াটসন, হোয়াইট, ডেভিড হাসি, জন হেস্টিংস আর ব্রেট লিও।লির পরপর দুই বলে প্রিয়র ও স্ট্রাউসের বিদায়ের মধ্যে দিয়ে শুরু করা ইংল্যান্ড ২২ রানে হারিয়ে ফেলেছিল প্রথম ৩ উইকেট। সেখান থেকে পিটারসেন-বেলের ৭৩ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা। কিন্তু দুজনকেই নিজের পরপর দুই ওভারে ফেরান হেস্টিংস। একপর্যায়ে ১৪৫ রানে ৯ উইকেট পড়ে যায় ইংল্যান্ডের। ফিন ও অ্যান্ডারসন শেষ উইকেটে ৫৩ রানের জুটি গড়ে পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছেন। সান্ত্বনা ইংল্যান্ডের একটাই, ম্যাচ-সেরার পুরস্কার উঠেছে ওকসের হাতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর অস্ট্রেলিয়া ৪৯.৩ ওভারে ২৪৯ (ক্লার্ক ৫৪, হাডিন ৩৭, ডেভিড হাসি ৩৪; ওকস ৬/৪৫, কলিংউড ১/৩৬, অ্যান্ডারসন ১/৪২, ফিন ১/৬১)।
ইংল্যান্ড ৪৫.৩ ওভারে ১৯৮ (পিটারসেন ৪০, বেল ৩৬, ফিন ৩৫; ওয়াটসন ৩/২৫, লি ২/২১, হেস্টিংস ২/৩৫)। ফল: অস্ট্রেলিয়া ৫১ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ক্রিস ওকস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর অস্ট্রেলিয়া ৪৯.৩ ওভারে ২৪৯ (ক্লার্ক ৫৪, হাডিন ৩৭, ডেভিড হাসি ৩৪; ওকস ৬/৪৫, কলিংউড ১/৩৬, অ্যান্ডারসন ১/৪২, ফিন ১/৬১)।
ইংল্যান্ড ৪৫.৩ ওভারে ১৯৮ (পিটারসেন ৪০, বেল ৩৬, ফিন ৩৫; ওয়াটসন ৩/২৫, লি ২/২১, হেস্টিংস ২/৩৫)। ফল: অস্ট্রেলিয়া ৫১ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ক্রিস ওকস।
No comments