ঢাকায় সশস্ত্র ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীঃ সরকার না জানার ভান করছে কেন?
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে সেদেশের ৫০ সদস্যের একটি চৌকস কমান্ডো দল আসছে—এ তথ্য ভারতের গণমাধ্যমে পরিবেশিত হয়েছে কয়েকদিন আগে। এর সূত্র ধরে খবরটা বাংলাদেশের মিডিয়াতেও স্থান করে নিয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, তারা আসছেন নয়, বরং এসে গেছেন।
ঢাকায় সশস্ত্র ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীদের উপস্থিতি যে অতিদ্রুত ভবিষ্যত্কাল থেকে বর্তমানকালে রূপান্তরিত হলো, সে খবর সচিত্র প্রতিবেদন আকারে স্থান পেয়েছে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায়। সঙ্গত কারণেই ব্যাপারটা চাঞ্চল্য ও ঔত্সুক্য সৃষ্টি করেছে এ দেশের মানুষের মনে। রিপোর্টাররা ব্যাপারটা বিস্তারিত জানার জন্য প্রশ্ন করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনকে। তিনি বিন্দুমাত্র ইতস্তত না করে পরিষ্কার জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তার কিছুই জানা নেই। একই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছ থেকে। ওই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মী আসার বিষয়টি এখনও আলোচনার পর্যায়ে আছে। পররাষ্ট্র সচিব কিছুটা নৈর্ব্যক্তিক ভঙ্গিতে বলেছেন, হাইকমিশনে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। এসব কথাবার্তা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, ভারতীয় সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীদের ঢাকায় উপস্থিতি নিয়ে কেউ ঝেড়ে কাশতে চাইছেন না। অথচ তারা যে ঢাকায় আছেন এবং শুধু হাইকমিশনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দেখভাল করছেন না, হাইকমিশনের বাইরের রাস্তাও পাহারা দিচ্ছেন—এ ছবি সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে, টিভি চ্যানেলে দেখানো হয়েছে।
যারা একটু বেশি রকমের ‘উদারমনা’ তারা প্রশ্ন তুলতে পারেন, ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের দেশের হাইকমিশন অফিস নিরাপদ রাখার দায়িত্ব নেয়ায় কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেছে? আলোচ্য ক্ষেত্রে কিন্তু মহাভারত শুদ্ধ কী অশুদ্ধ হলো, সে প্রসঙ্গ আসছে না। প্রশ্ন হচ্ছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানেন না, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানেন না, অথচ ভিন দেশের একদল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সশস্ত্র রক্ষী আমাদের দেশে এসে তাদের ডিউটি শুরু করে দিল—ব্যাপারটা কী! ভারতীয় বা অন্য যে কোনো দেশের সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মী বাংলাদেশে এসে নিজ দেশের নির্দেশিত দায়িত্ব পালন করা একটা গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়। সবকিছু খুঁটিয়ে বিচার-বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু এক্ষেত্রে ঘটনার আভাস পাওয়া ও বাস্তবায়ন ঘটে গেল অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে। সে গতি এতই দ্রুত যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত তাল সামলাতে না পেরে ‘কিছুই জানি না’ বলতে বাধ্য হলেন। সঙ্গত কারণে প্রশ্নম্ন দেখা দেয়, তাহলে কে জানে? বিষয়টা যেহেতু আমাদের সঙ্গে অন্য একটি দেশের সরাসরি সম্পর্কযুক্ত, তাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অবগতি ও অনুমতি এক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক। আবার বিষয়টি যেহেতু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, সেহেতু এক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অঙুলি হেলনই শেষ কথা হতে বাধ্য। কিন্তু উভয় মন্ত্রী যদি সত্যি কথা বলে থাকেন, তবে তাদের অন্ধকারে রেখে এ ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়ে ফেলল! আর যদি তারা সত্য গোপন করে থাকেন, তবে কেন তারা তা করলেন, সেটা জানার অধিকার দেশের মানুষের আছে।
এটা নিরেট সত্য যে, ভারতের সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মীদের একটা দল এখন ঢাকায় অবস্থান করছে। তারা নিশ্চয়ই পোলভল্ট জাম্প দিয়ে দিল্লি থেকে ঢাকায় হাজির হননি। তারা আকাশপথে অথবা স্থলপথে অথবা সমুদ্রপথে ঢাকায় এসেছেন। আসার জন্য তাদের বৈধ ভিসা লাগার কথা। এন্ট্রি পয়েন্টে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ অবশ্যই তাদের পাসপোর্ট-ভিসা পরীক্ষা করে সন্তুষ্ট হয়ে দেশে ঢোকার ছাড়পত্র দিয়েছে। আর যদি এসব কিছুই না হয়ে থাকে, তবে তো অতি ভয়ঙ্কর কথা। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে হয়, অরবিন্দ রাজখোয়াসহ উলফার শীর্ষ নেতাদের যখন বাংলাদেশ থেকে ধরে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়, তখনও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছিলেন, তারা কিছুই জানেন না। তাহলে কি আমরা ধরে নেব যে, কাউকে কিছু না জানিয়েই ভারতীয় সশস্ত্র কমান্ডোরা বাংলাদেশে ঢুকে এদের আটক করেছিল? তারাই কি এখনও রয়ে গেছে? কথার পিঠে কিন্তু অনেক কথা আসে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব হল সংশ্লিষ্ট সবকিছু জানা এবং জনগণকে জানানো। ‘কিছুই জানি না’ মন্ত্র জপ করতে হলে মানে মানে সরে দাঁড়িয়ে যারা জানেন তাদের জন্য পথ করে দেয়াই জাতির জন্য মঙ্গল।
যারা একটু বেশি রকমের ‘উদারমনা’ তারা প্রশ্ন তুলতে পারেন, ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের দেশের হাইকমিশন অফিস নিরাপদ রাখার দায়িত্ব নেয়ায় কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেছে? আলোচ্য ক্ষেত্রে কিন্তু মহাভারত শুদ্ধ কী অশুদ্ধ হলো, সে প্রসঙ্গ আসছে না। প্রশ্ন হচ্ছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানেন না, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানেন না, অথচ ভিন দেশের একদল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সশস্ত্র রক্ষী আমাদের দেশে এসে তাদের ডিউটি শুরু করে দিল—ব্যাপারটা কী! ভারতীয় বা অন্য যে কোনো দেশের সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মী বাংলাদেশে এসে নিজ দেশের নির্দেশিত দায়িত্ব পালন করা একটা গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়। সবকিছু খুঁটিয়ে বিচার-বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু এক্ষেত্রে ঘটনার আভাস পাওয়া ও বাস্তবায়ন ঘটে গেল অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে। সে গতি এতই দ্রুত যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত তাল সামলাতে না পেরে ‘কিছুই জানি না’ বলতে বাধ্য হলেন। সঙ্গত কারণে প্রশ্নম্ন দেখা দেয়, তাহলে কে জানে? বিষয়টা যেহেতু আমাদের সঙ্গে অন্য একটি দেশের সরাসরি সম্পর্কযুক্ত, তাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অবগতি ও অনুমতি এক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক। আবার বিষয়টি যেহেতু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, সেহেতু এক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অঙুলি হেলনই শেষ কথা হতে বাধ্য। কিন্তু উভয় মন্ত্রী যদি সত্যি কথা বলে থাকেন, তবে তাদের অন্ধকারে রেখে এ ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়ে ফেলল! আর যদি তারা সত্য গোপন করে থাকেন, তবে কেন তারা তা করলেন, সেটা জানার অধিকার দেশের মানুষের আছে।
এটা নিরেট সত্য যে, ভারতের সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মীদের একটা দল এখন ঢাকায় অবস্থান করছে। তারা নিশ্চয়ই পোলভল্ট জাম্প দিয়ে দিল্লি থেকে ঢাকায় হাজির হননি। তারা আকাশপথে অথবা স্থলপথে অথবা সমুদ্রপথে ঢাকায় এসেছেন। আসার জন্য তাদের বৈধ ভিসা লাগার কথা। এন্ট্রি পয়েন্টে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ অবশ্যই তাদের পাসপোর্ট-ভিসা পরীক্ষা করে সন্তুষ্ট হয়ে দেশে ঢোকার ছাড়পত্র দিয়েছে। আর যদি এসব কিছুই না হয়ে থাকে, তবে তো অতি ভয়ঙ্কর কথা। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে হয়, অরবিন্দ রাজখোয়াসহ উলফার শীর্ষ নেতাদের যখন বাংলাদেশ থেকে ধরে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়, তখনও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছিলেন, তারা কিছুই জানেন না। তাহলে কি আমরা ধরে নেব যে, কাউকে কিছু না জানিয়েই ভারতীয় সশস্ত্র কমান্ডোরা বাংলাদেশে ঢুকে এদের আটক করেছিল? তারাই কি এখনও রয়ে গেছে? কথার পিঠে কিন্তু অনেক কথা আসে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব হল সংশ্লিষ্ট সবকিছু জানা এবং জনগণকে জানানো। ‘কিছুই জানি না’ মন্ত্র জপ করতে হলে মানে মানে সরে দাঁড়িয়ে যারা জানেন তাদের জন্য পথ করে দেয়াই জাতির জন্য মঙ্গল।
No comments