রাজনৈতিক দল কতকাল এঁদের আশ্রয় দেবে?-নাম তাঁর ‘পাহাড়ি সেলিম’
নাম তাঁর ‘পাহাড়ি সেলিম’। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগও পাহাড়প্রমাণ। তাঁর দাপটের উ ৎস ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়কের পদ। ক্ষমতার যোগাযোগ তাঁকে পদবান করেছে, পদ তাঁকে ক্ষমতাবান করেছে। উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ তাঁর এই ক্ষমতাচর্চারই হাতিয়ার মাত্র। তিনি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফোরকান উদ্দিন সেলিম মৃধা। স্থানীয়দের কাছে তিনি ‘পাহাড়ি সেলিম’ নামে পরিচিত।
তিনি তাঁর কার্যালয়ে বেত রাখেন, কারও ওপর খেপে গেলে তাঁকে প্রহার করেন। দুজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাঁর হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন, মার খেয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের সচিবসহ তিন সরকারি কর্মকর্তা। ক্ষমতা নিম্নগামী, তাঁর থেকে নিম্নপদস্থ যে কাউকে তো বটেই, স্থানীয় সাধারণ মানুষ কিংবা প্রতিপক্ষের ব্যবসায়ীদের ওপরও তাঁর অঢেল ‘বীরত্বপনা’ জাহির হয়ে থাকে। তাঁর ভাই উপজেলা পরিষদের বাসা দখল করে থাকেন, চেয়ারম্যান সাহেবের সরকারি গাড়িটিও ব্যবহার করেন চেয়ারম্যানের এই ‘সুযোগ্য’ ভ্রাতা। এই ভ্রাতা অস্ত্রসহ র্যাবের হাতে একবার ধৃতও হয়েছেন।
সেলিম মৃধার ক্ষমতার দাপট যত বেড়েছে, বিত্তের বিস্তারও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময় মাত্র ৬০ হাজার টাকা এবং ছয় একর কৃষিজমির মালিক হিসেবে হলফনামা দিয়েছিলেন। এখন অর্থ ও জমিজমার পরিমাণ কয়েক গুণ বেড়েছে। বেনামে পাহাড় কেটে চিনামাটির ব্যবসাও চালাচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে করা ১২টি মামলার ১১টিতেই জামিন পেলেও বাদ সেধেছে দুদক। দুদকের মামলাতেই জামিন না পেয়ে সম্প্রতি তাঁকে হাজতবাসী হতে হয়েছে। আশা করি, আইনের গতি তাঁর ক্ষমতার দাপটে থেমে যাবে না।
সারা দেশে এ রকম সেলিম মৃধারা সরকারি ও বিরোধী দলে বিভক্ত হয়ে আছেন। দল ক্ষমতাসীন হলে তাঁদের ক্ষমতা ও বিত্ত অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে, বিরোধী দলে থাকলে অর্জিত ক্ষমতা-বিত্ত রক্ষায় কিছুটা রক্ষণাত্মক খেলেন। রাজনৈতিক দল তাঁদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, বিনিময়ে তাঁরাও এলাকায় স্ব স্ব দলের দাপট বজায় রাখেন। রাজনীতির নামে এই দখলবাজির অবসান হওয়া প্রয়োজন।
এ ধরনের ব্যক্তিদের বর্জনের দায়িত্ব জনগণেরও কম নয়। কিন্তু সরকার, বিচার বিভাগ ও প্রশাসন এঁদের বাড়তে দিতে পারে না। সেলিম মৃধার বিচার হোক এবং অন্য সেলিম মৃধাদেরও আইনের আওতায় আনা হোক।
সেলিম মৃধার ক্ষমতার দাপট যত বেড়েছে, বিত্তের বিস্তারও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময় মাত্র ৬০ হাজার টাকা এবং ছয় একর কৃষিজমির মালিক হিসেবে হলফনামা দিয়েছিলেন। এখন অর্থ ও জমিজমার পরিমাণ কয়েক গুণ বেড়েছে। বেনামে পাহাড় কেটে চিনামাটির ব্যবসাও চালাচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে করা ১২টি মামলার ১১টিতেই জামিন পেলেও বাদ সেধেছে দুদক। দুদকের মামলাতেই জামিন না পেয়ে সম্প্রতি তাঁকে হাজতবাসী হতে হয়েছে। আশা করি, আইনের গতি তাঁর ক্ষমতার দাপটে থেমে যাবে না।
সারা দেশে এ রকম সেলিম মৃধারা সরকারি ও বিরোধী দলে বিভক্ত হয়ে আছেন। দল ক্ষমতাসীন হলে তাঁদের ক্ষমতা ও বিত্ত অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে, বিরোধী দলে থাকলে অর্জিত ক্ষমতা-বিত্ত রক্ষায় কিছুটা রক্ষণাত্মক খেলেন। রাজনৈতিক দল তাঁদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, বিনিময়ে তাঁরাও এলাকায় স্ব স্ব দলের দাপট বজায় রাখেন। রাজনীতির নামে এই দখলবাজির অবসান হওয়া প্রয়োজন।
এ ধরনের ব্যক্তিদের বর্জনের দায়িত্ব জনগণেরও কম নয়। কিন্তু সরকার, বিচার বিভাগ ও প্রশাসন এঁদের বাড়তে দিতে পারে না। সেলিম মৃধার বিচার হোক এবং অন্য সেলিম মৃধাদেরও আইনের আওতায় আনা হোক।
No comments