ওষুধের নতুন কারখানা ঘিরে অভিযোগঃ চাই সুস্থ ওষুধ প্রশাসন
রাজনৈতিক তথা দলীয় বিবেচনায় সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি নতুন কিছু নয়। যে কোনো গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে এ ধরনের ঘটনা স্বভাবতই সাধারণ মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। অনেক সময় তা সরকারের জনপ্রিয়তা হ্রাস করতেও সহায়ক ভূমিকা রাখে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ‘দলীয় বিবেচনা’কে কেন্দ্র করে বিস্তর অভিযোগ-অনুযোগ উত্থাপিত হয়েছে। সুবিধাবাদী মহল দলের নাম ভাঙিয়ে নিজেদের উদ্দেশ্য সাধন করছে। বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধা ছাড়াও চাকরিপ্রাপ্তি, বদলি, পদোন্নতি, ঠিকাদারি পাওয়া, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন, এমনকি সরকারি সাহায্যসামগ্রী বণ্টনের ক্ষেত্রেও দলীয় বিবেচনা কাজ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, এ ধরনের আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপিত হতে যাচ্ছে নতুন পাঁচটি ওষুধ তৈরির কারখানা স্থাপনের বেলায়।
আলোচ্য পাঁচটি অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ তৈরির পাঁচটি কারখানারই মালিক সরকার সমর্থিত স্বাধীনতা চিকিত্সা পরিষদের (স্বাচিপ) কয়েক নেতাসহ সরকারি দলের সমর্থক ব্যবসায়ী। এসব কারখানা অনুমোদনের জন্য এরই মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর অনুমোদন দেয়ার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলেও জানা গিয়েছিল। অভিযোগ আছে, এসব কারখানা অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান নিয়মনীতি না মেনে দলীয় বিবেচনাকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কারখানায় মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরির পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি, লোকবল আছে কিনা—এসব প্রাথমিক তথ্য সম্পর্কেও ওষুধ প্রশাসন অবগত নয় বলে জানা গেছে। অথচ লোকবল এবং মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরি করার তথ্য প্রশাসনকে জানানো বাধ্যতামূলক। আরেকটি গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে, বর্তমানে ড্রাগ লাইসেন্স বাণিজ্য চলছে সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে। গত আট মাসে সারাদেশে প্রায় চার হাজারেরও বেশি লাইসেন্স দেয়া হয়েছে লাইসেন্স পাওয়ার সব শর্ত পূরণ ছাড়াই। সেক্ষেত্রেও প্রাধান্য পেয়েছে সরকারি দলের নেতা-সমর্থক পরিচয়। প্রশাসনের কর্মকর্তারা লাইসেন্স বাবদ অতিরিক্ত ফি আদায় করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক আমার দেশ-এ গত ৩০ ডিসেম্বর।
ইতোপূর্বে ওষুধ প্রশাসন বিভিন্ন জটিল রোগের ‘মহৌষধ’ উত্পাদনকারী অর্ধশত ভুয়া প্রতিষ্ঠানকে কালোতালিকাভুক্ত করলেও এগুলোর বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি। বিষাক্ত, ভেজাল, নিম্নমানের ওষুধ নিয়ন্ত্রণেও প্রশাসন রাখতে পারেনি সাফল্যের পরিচয়। দেশের বাজারে ওষুধ রয়েছে প্রায় ২২ হাজার। এগুলোর গুণ-মান যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষাগার আছে মাত্র দুটি। সেখানে পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ৫৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। এছাড়া প্রশাসনে সক্রিয় রয়েছে একটি শক্তিশালী অসাধুচক্র। তাদের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে ওষুধের বাজার এখন ঝুঁকিপূর্ণ ওষুধে সয়লাব। এ অবস্থায় মূল প্রতিষ্ঠান ওষুধ প্রশাসনকে সবদিক থেকে কার্যকর ও যথাযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত না করে নতুন কারখানা অনুমোদন দেয়া স্বভাবতই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ‘দলীয় বিবেচনা’র প্রশ্নটি বাদ দিলেও এ ধরনের অনুমোদন দেয়া বিবেচনার দাবি রাখে।
দলীয় বিবেচনায় নিয়মনীতি না মেনে ওষুধ তৈরির নতুন কারখানা অনুমোদন, ওষুধ প্রশাসনে অব্যবস্থাপনা, লাইসেন্স-বাণিজ্য, ভেজাল ও ঝুঁকিপূর্ণ ওষুধ—এর যে কোনো একটির উপস্থিতিই একটি দেশের সার্বিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য হুমকিস্বরূপ। তার ওপর একই সঙ্গে যদি এর সবক’টিই বিদ্যমান থাকে কিংবা পরপর যোগ হতে থাকে, তাহলে জাতীয় স্বাস্থ্য নীতির ভিত্তিও কমবেশি নড়বড়ে হয়ে যায়। জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার স্বার্থে, সুস্থ রাজনীতির স্বার্থে সরকার উদ্ভূত অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে—এটাই কাম্য।
আলোচ্য পাঁচটি অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ তৈরির পাঁচটি কারখানারই মালিক সরকার সমর্থিত স্বাধীনতা চিকিত্সা পরিষদের (স্বাচিপ) কয়েক নেতাসহ সরকারি দলের সমর্থক ব্যবসায়ী। এসব কারখানা অনুমোদনের জন্য এরই মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর অনুমোদন দেয়ার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলেও জানা গিয়েছিল। অভিযোগ আছে, এসব কারখানা অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান নিয়মনীতি না মেনে দলীয় বিবেচনাকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কারখানায় মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরির পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি, লোকবল আছে কিনা—এসব প্রাথমিক তথ্য সম্পর্কেও ওষুধ প্রশাসন অবগত নয় বলে জানা গেছে। অথচ লোকবল এবং মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরি করার তথ্য প্রশাসনকে জানানো বাধ্যতামূলক। আরেকটি গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে, বর্তমানে ড্রাগ লাইসেন্স বাণিজ্য চলছে সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে। গত আট মাসে সারাদেশে প্রায় চার হাজারেরও বেশি লাইসেন্স দেয়া হয়েছে লাইসেন্স পাওয়ার সব শর্ত পূরণ ছাড়াই। সেক্ষেত্রেও প্রাধান্য পেয়েছে সরকারি দলের নেতা-সমর্থক পরিচয়। প্রশাসনের কর্মকর্তারা লাইসেন্স বাবদ অতিরিক্ত ফি আদায় করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক আমার দেশ-এ গত ৩০ ডিসেম্বর।
ইতোপূর্বে ওষুধ প্রশাসন বিভিন্ন জটিল রোগের ‘মহৌষধ’ উত্পাদনকারী অর্ধশত ভুয়া প্রতিষ্ঠানকে কালোতালিকাভুক্ত করলেও এগুলোর বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি। বিষাক্ত, ভেজাল, নিম্নমানের ওষুধ নিয়ন্ত্রণেও প্রশাসন রাখতে পারেনি সাফল্যের পরিচয়। দেশের বাজারে ওষুধ রয়েছে প্রায় ২২ হাজার। এগুলোর গুণ-মান যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষাগার আছে মাত্র দুটি। সেখানে পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ৫৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। এছাড়া প্রশাসনে সক্রিয় রয়েছে একটি শক্তিশালী অসাধুচক্র। তাদের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে ওষুধের বাজার এখন ঝুঁকিপূর্ণ ওষুধে সয়লাব। এ অবস্থায় মূল প্রতিষ্ঠান ওষুধ প্রশাসনকে সবদিক থেকে কার্যকর ও যথাযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত না করে নতুন কারখানা অনুমোদন দেয়া স্বভাবতই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ‘দলীয় বিবেচনা’র প্রশ্নটি বাদ দিলেও এ ধরনের অনুমোদন দেয়া বিবেচনার দাবি রাখে।
দলীয় বিবেচনায় নিয়মনীতি না মেনে ওষুধ তৈরির নতুন কারখানা অনুমোদন, ওষুধ প্রশাসনে অব্যবস্থাপনা, লাইসেন্স-বাণিজ্য, ভেজাল ও ঝুঁকিপূর্ণ ওষুধ—এর যে কোনো একটির উপস্থিতিই একটি দেশের সার্বিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য হুমকিস্বরূপ। তার ওপর একই সঙ্গে যদি এর সবক’টিই বিদ্যমান থাকে কিংবা পরপর যোগ হতে থাকে, তাহলে জাতীয় স্বাস্থ্য নীতির ভিত্তিও কমবেশি নড়বড়ে হয়ে যায়। জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার স্বার্থে, সুস্থ রাজনীতির স্বার্থে সরকার উদ্ভূত অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে—এটাই কাম্য।
No comments