৮ মাসে ২৬৬ কোটি টাকা আয় থেকে বঞ্চিত-ইনকামিং কলের দাম বাড়ানোর সুফল পাচ্ছে না বিটিআরসি by অনিকা ফারজানা
বিদেশ থেকে আসা কলের দাম (ইনকামিং কলের টার্মিনেশন রেট) বাড়ানোর সুফল পাচ্ছে না সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর কারণ দামের বর্ধিত অংশ ভাগাভাগির ব্যবস্থা না রাখা। এতে প্রতিষ্ঠানটি গত আট মাসে ২৬৫ কোটি ৭৩ লাখ ২৪ হাজার ৬০২ টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
বিটিআরসি সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটি গত বছরের ২৩ মে এক আদেশে ইনকামিং কলের দাম প্রতি মিনিট তিন সেন্ট থেকে বাড়িয়ে তিন দশমিক ৪৫ সেন্ট করে। তবে আদেশে বলা হয়, রাজস্ব ভাগাভাগি মিনিটপ্রতি তিন সেন্টের ওপর হবে। অথচ ইন্টারন্যাশনাল লং ডিসট্যান্স টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসের (আইএলডিটিএস) নীতিমালা অনুযায়ী, ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের রাজস্ব আয় থেকে সরকারকে ৫১ দশমিক ৭৫ শতাংশ, এক্সেস নেটওয়ার্ক সার্ভিসকে (এএনএস) ২০ শতাংশ এবং ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জকে (আইসিএক্স) ১৫ শতাংশ দেবে। বাকিটা আইজিডব্লিউর। কিন্তু ২৩ মের আদেশের ফলে মিনিটপ্রতি বাড়তি শূন্য দশমিক শূন্য ৪৫ সেন্টের পুরোটাই পাচ্ছে চারটি আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠান। এগুলো হলো: নভোটেল, মীর টেলিকম, বাংলা ট্র্যাক কমিউনিকেশন্স এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)।
অন্য গেটওয়ে অপারেটর অর্থাৎ এএনএস ও আইসিএক্সও তাদের আয়ের একটি অংশ বিটিআরসিকে দেয়। দাম বৃদ্ধির ফলে বাড়তি আয় ভাগাভাগির ব্যবস্থা না রাখায় বিটিআরসির মতো এএনএস ও আইসিএক্সও এর ভাগ পাচ্ছে না।
বিটিআরসির হিসাবে, বিদেশ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ কোটি মিনিট ইনকামিং কল আসে। আগের দাম অনুযায়ী প্রতি মিনিটের জন্য আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় দুই টাকা ৮৯ পয়সা (তিন সেন্ট)। এর মধ্যে আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠান ৩৮ পয়সা রেখে বাকি দুই টাকা ৫১ পয়সা হার অনুযায়ী সরকার, এএনএস ও আইসিএক্সকে দিত। কলের দাম বাড়ানোয় আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠানগুলোর দিনে বাড়তি এক কোটি ৮৮ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা আয় হলেও তা ভাগ হচ্ছে না।
এ বিষয়ে মীর টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এত দিন কল মিনিটপ্রতি তিন সেন্ট থাকায় আমরা আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক লোকসানে ছিলাম। এখন যাঁরা বাড়তি শূন্য দশমিক ৪৫ সেন্ট নিয়ে অভিযোগ করছেন তা ঠিক নয় বা তাঁরা এ ক্ষেত্রে কারিগরি বিষয়ে কিছুই বোঝেন না।’
বিটিআরসি সূত্র জানায়, বাড়তি এই আয়ও ভাগাভাগি হলে আইজিডব্লিউ থেকে প্রতিদিন বিটিআরসি আরও ৯৭ লাখ ৪৫ হাজার ৮১৯ টাকা, এএনএস অপারেটর ৩৭ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা এবং আইসিএক্স অপারেটর ২৮ লাখ ২৪ হাজার ৮৭৫ টাকা বাড়তি পেত। এএনএস ওই আয় থেকে বিটিআরসিকে দিনে দুই লাখ সাত হাজার ১৫৮ টাকা এবং আইসিএক্স অপারেটর ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৩৫৫ টাকা দিত। সব মিলিয়ে দিনে বিটিআরসির বাড়তি আয় হতো এক কোটি ১৮ লাখ ১০ হাজার ৩৩২ টাকা। এই হিসাবে ২৩ মে থেকে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বিটিআরসি ২৬৫ কোটি ৭৩ লাখ ২৪ হাজার ৬০২ টাকা বাড়তি আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
২৩ মের আদেশের বিষয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ বলেন, ‘এটি বিটিআরসি নয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে করা হয়েছে। বিটিআরসির পক্ষ থেকে শুধু আইজিডব্লিউর ট্যারিফের সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু রাজস্ব ভাগাভাগির বিষয়টি ঠিক করে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রণালয়।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘হঠাৎ করে ইনকামিং কলের ট্যারিফ বাড়ানো এবং বাড়তি ট্যারিফ থেকে রাজস্ব ভাগাভাগি না হওয়া নিয়ে বিটিআরসি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’
অন্য গেটওয়ে অপারেটর অর্থাৎ এএনএস ও আইসিএক্সও তাদের আয়ের একটি অংশ বিটিআরসিকে দেয়। দাম বৃদ্ধির ফলে বাড়তি আয় ভাগাভাগির ব্যবস্থা না রাখায় বিটিআরসির মতো এএনএস ও আইসিএক্সও এর ভাগ পাচ্ছে না।
বিটিআরসির হিসাবে, বিদেশ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ কোটি মিনিট ইনকামিং কল আসে। আগের দাম অনুযায়ী প্রতি মিনিটের জন্য আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় দুই টাকা ৮৯ পয়সা (তিন সেন্ট)। এর মধ্যে আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠান ৩৮ পয়সা রেখে বাকি দুই টাকা ৫১ পয়সা হার অনুযায়ী সরকার, এএনএস ও আইসিএক্সকে দিত। কলের দাম বাড়ানোয় আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠানগুলোর দিনে বাড়তি এক কোটি ৮৮ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা আয় হলেও তা ভাগ হচ্ছে না।
এ বিষয়ে মীর টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এত দিন কল মিনিটপ্রতি তিন সেন্ট থাকায় আমরা আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক লোকসানে ছিলাম। এখন যাঁরা বাড়তি শূন্য দশমিক ৪৫ সেন্ট নিয়ে অভিযোগ করছেন তা ঠিক নয় বা তাঁরা এ ক্ষেত্রে কারিগরি বিষয়ে কিছুই বোঝেন না।’
বিটিআরসি সূত্র জানায়, বাড়তি এই আয়ও ভাগাভাগি হলে আইজিডব্লিউ থেকে প্রতিদিন বিটিআরসি আরও ৯৭ লাখ ৪৫ হাজার ৮১৯ টাকা, এএনএস অপারেটর ৩৭ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা এবং আইসিএক্স অপারেটর ২৮ লাখ ২৪ হাজার ৮৭৫ টাকা বাড়তি পেত। এএনএস ওই আয় থেকে বিটিআরসিকে দিনে দুই লাখ সাত হাজার ১৫৮ টাকা এবং আইসিএক্স অপারেটর ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৩৫৫ টাকা দিত। সব মিলিয়ে দিনে বিটিআরসির বাড়তি আয় হতো এক কোটি ১৮ লাখ ১০ হাজার ৩৩২ টাকা। এই হিসাবে ২৩ মে থেকে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বিটিআরসি ২৬৫ কোটি ৭৩ লাখ ২৪ হাজার ৬০২ টাকা বাড়তি আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
২৩ মের আদেশের বিষয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ বলেন, ‘এটি বিটিআরসি নয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে করা হয়েছে। বিটিআরসির পক্ষ থেকে শুধু আইজিডব্লিউর ট্যারিফের সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু রাজস্ব ভাগাভাগির বিষয়টি ঠিক করে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রণালয়।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘হঠাৎ করে ইনকামিং কলের ট্যারিফ বাড়ানো এবং বাড়তি ট্যারিফ থেকে রাজস্ব ভাগাভাগি না হওয়া নিয়ে বিটিআরসি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’
No comments