চলতি মাসেই সরকারের কাছে ইসির সংস্কার প্রস্তাব
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংস্কার, ঢাকায় নির্বাচনী আসন সংখ্যা নির্দিষ্ট করা, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন তৈরিসহ নানা বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংস্কার প্রস্তাব সম্পর্কে পাঁচ মাস অপেক্ষা করেও পাওয়া যায়নি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতামত। দল দুটির কাছে বারবার চিঠি পাঠিয়েও সাড়া পায়নি ইসি। আওয়ামী লীগ একবার কমিশনে গিয়ে পরবর্তীতে মতামত জানানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও বিএনপি দেখাই করেনি।
এ অবস্থায় গত জুন-জুলাইয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংস্কার মতামত নিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে তৈরি করা প্রস্তাব এ মাসেই সরকারের কাছে পাঠাচ্ছে ইসি। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা জানান।
গত ৭ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত ইসিতে নিবন্ধিত ৩৮টি দলের মধ্যে ৩০টি দল মতামত জানায়। জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পদ্ধতি প্রণয়ন, নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণে নতুন আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর অধিকতর সংশোধন নিয়ে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়। পরে মতামত দেওয়া হবে বলে দলটি জানায়। কিন্তু তা আর জানায়নি। সংলাপে সুশীল সমাজ এবং বিশিষ্ট সাংবাদিকরা তাদের মতামত জানান। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতামত ছাড়াই কমিশন বৈঠকে সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সংস্কার প্রস্তাব সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে তারা আমাদের প্রস্তাবগুলো শুনেছে। পরে তাদের মতামত জানানোর কথা ছিল। কিন্তু এখনও তারা যোগাযোগ করেনি। আমরা আর সময়ক্ষেপণ করব না। চূড়ান্ত প্রস্তাব চলতি মাসেই সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে যেসব বিষয় থাকছে
ইভিএম প্রসঙ্গ : জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহারের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যবহার করে ইভিএম আরও যাচাইয়ের পরামর্শ দেয় সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইভিএমে হবে কি-না এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার আগামী কমিশনের জন্য রেখে যাচ্ছে ইসি।
নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন সংশোধন : রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোর আসন সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দিতে চাচ্ছে ইসি। কারণ জনসংখ্যার ভিত্তিতে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করায় গ্রামাঞ্চলের আসন সংখ্যা কমে গিয়ে ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোয় বাড়ছে।
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন : সর্বোচ্চ তিন সদস্যের কমিশন গঠনের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। একটি সার্চ কমিটি গঠন করে নিরপেক্ষ লোকদের এ পদে নিয়োগ নিশ্চিত করার প্রস্তাব করেছে ইসি। এ ছাড়া নির্বাচনী ব্যয় ও জামানতের টাকা বৃদ্ধি, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের শাস্তির বিধান, হলফনামায় তথ্য গোপন বা ভুল তথ্য দেওয়ার কারণে প্রার্থিতা বাতিলসহ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে সংশোধনে ইসি এসব সুপারিশ তৈরি করেছে।
গত ৭ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত ইসিতে নিবন্ধিত ৩৮টি দলের মধ্যে ৩০টি দল মতামত জানায়। জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পদ্ধতি প্রণয়ন, নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণে নতুন আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর অধিকতর সংশোধন নিয়ে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়। পরে মতামত দেওয়া হবে বলে দলটি জানায়। কিন্তু তা আর জানায়নি। সংলাপে সুশীল সমাজ এবং বিশিষ্ট সাংবাদিকরা তাদের মতামত জানান। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতামত ছাড়াই কমিশন বৈঠকে সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সংস্কার প্রস্তাব সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে তারা আমাদের প্রস্তাবগুলো শুনেছে। পরে তাদের মতামত জানানোর কথা ছিল। কিন্তু এখনও তারা যোগাযোগ করেনি। আমরা আর সময়ক্ষেপণ করব না। চূড়ান্ত প্রস্তাব চলতি মাসেই সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে যেসব বিষয় থাকছে
ইভিএম প্রসঙ্গ : জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহারের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যবহার করে ইভিএম আরও যাচাইয়ের পরামর্শ দেয় সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইভিএমে হবে কি-না এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার আগামী কমিশনের জন্য রেখে যাচ্ছে ইসি।
নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন সংশোধন : রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোর আসন সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দিতে চাচ্ছে ইসি। কারণ জনসংখ্যার ভিত্তিতে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করায় গ্রামাঞ্চলের আসন সংখ্যা কমে গিয়ে ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোয় বাড়ছে।
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন : সর্বোচ্চ তিন সদস্যের কমিশন গঠনের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। একটি সার্চ কমিটি গঠন করে নিরপেক্ষ লোকদের এ পদে নিয়োগ নিশ্চিত করার প্রস্তাব করেছে ইসি। এ ছাড়া নির্বাচনী ব্যয় ও জামানতের টাকা বৃদ্ধি, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের শাস্তির বিধান, হলফনামায় তথ্য গোপন বা ভুল তথ্য দেওয়ার কারণে প্রার্থিতা বাতিলসহ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে সংশোধনে ইসি এসব সুপারিশ তৈরি করেছে।
No comments