ভিন্ন খবর : যুক্তরাষ্ট্রে মিনিটে ২৪ ধর্ষণ
যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ নারী যৌন নিপীড়ন বা যৌন হয়রানির শিকার। আর স্বামী বা স্বজনের হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার ২৫ শতাংশ নারী। প্রতি চারজন নারীর একজন একাধিকবার নিকটজনের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়। মিনিটে অন্তত ২৪ জন ধর্ষণ, যৌন হয়রানি অথবা শারীরিক অত্যাচারের শিকার হয়। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র বা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল তথা সিডিসি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ হাজার নারী ও পুরুষের ওপর চালানো গবেষণায় ‘ন্যাশনাল ইন্টিমেট পার্টনার অ্যান্ড সেক্সচুয়াল ভায়োলেন্স সার্ভে’র তথ্য বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে সিডিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব নারীর ৮০ শতাংশই ২৫ বছর বয়সের আগেই ধর্ষিত হয়। আর অর্ধেকেরও বেশি নারী বর্তমান বা সাবেক সঙ্গীর ধর্ষণের শিকার হয়। প্রতি আটজনে একজন নারী পরিবারের সদস্যদেরই যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। আলাস্কা, ওরেগন এবং নেভাদা অঙ্গরাজ্যেই নারী ধর্ষণের চিত্র দেখা গেছে বেশি।
সিডিসি প্রথমবারের মতো সারা যুক্তরাষ্ট্রে নারী-পুরুষের বিরুদ্ধে ঘনিষ্ঠজনদের যৌন সহিংসতা সম্পর্কে ওই গবেষণা চালায়। দেশটিতে এ সংক্রান্ত ১ কোটি ২০ লাখের মতো অপরাধের ঘটনা আছে বলে গবেষণায় দেখানো হয়েছে। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত এক বছরে ১০ লাখের বেশি নারী ধর্ষিত হয়েছে, ৬ লাখের বেশি নারী ও পুরুষ এ সময় উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে এবং ১ কোটি ২০ লাখের বেশি নারী ও পুরুষ ঘনিষ্ঠজন দ্বারা ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন বা উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে।
সিডিসির ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল বিভাগের পরিচালক ড. লিন্ডা দেগুটিস বলেন, যেসব নারী-পুরুষ পার্টনার বা অন্য ঘনিষ্ঠদের দ্বারা যৌন সহিংসতা বা উত্ত্যক্তের শিকার হয়, অনেক ক্ষেত্রেই সারা জীবন তাদের এর পরিণতি ভোগ করতে হয়। ৩৫ ভাগ নারী ১৮ বছরের আগেই ধর্ষণের শিকার হয়। গবেষণা থেকে বোঝা যায়, দিন দিন এসব যৌন হয়রানি এবং ভুক্তভোগীদের ঘটনা-পরবর্তী বাজে অভিজ্ঞতা সম্পর্কে উদ্বেগ বাড়ছে।
গবেষণায় দেখানো হয়েছে, ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই শ্বাসরোগ, দেহাঙ্গের উত্তেজনা, বহুমূত্র, নিয়মিত মাথাব্যথা, দীর্ঘস্থায়ী জ্বর বা ব্যথা এবং ঘুমের সমস্যা ছাড়াও বিভিন্ন অসুবিধায় ভোগেন। এছাড়া ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের শিকার পুরুষরাও বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন। অবশ্য নারীদের তুলনায় পুরুষরা খুব কমই এসব নির্যাতনের শিকার হন। ৭১ জনের মধ্যে একজন পুরুষ তাদের জীবনে ধর্ষণ বা যৌন হয়রানির শিকার হন বলে গবেষণায় দেখানো হয়েছে।
অন্যদিকে প্রতি সাতজনে একজন পুরুষ শারীরিক নির্যাতনের শিকার এবং ৭১ জনের মধ্যে একজন পুরুষ ধর্ষিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স ও ইন্টারনেট
প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব নারীর ৮০ শতাংশই ২৫ বছর বয়সের আগেই ধর্ষিত হয়। আর অর্ধেকেরও বেশি নারী বর্তমান বা সাবেক সঙ্গীর ধর্ষণের শিকার হয়। প্রতি আটজনে একজন নারী পরিবারের সদস্যদেরই যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। আলাস্কা, ওরেগন এবং নেভাদা অঙ্গরাজ্যেই নারী ধর্ষণের চিত্র দেখা গেছে বেশি।
সিডিসি প্রথমবারের মতো সারা যুক্তরাষ্ট্রে নারী-পুরুষের বিরুদ্ধে ঘনিষ্ঠজনদের যৌন সহিংসতা সম্পর্কে ওই গবেষণা চালায়। দেশটিতে এ সংক্রান্ত ১ কোটি ২০ লাখের মতো অপরাধের ঘটনা আছে বলে গবেষণায় দেখানো হয়েছে। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত এক বছরে ১০ লাখের বেশি নারী ধর্ষিত হয়েছে, ৬ লাখের বেশি নারী ও পুরুষ এ সময় উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে এবং ১ কোটি ২০ লাখের বেশি নারী ও পুরুষ ঘনিষ্ঠজন দ্বারা ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন বা উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে।
সিডিসির ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল বিভাগের পরিচালক ড. লিন্ডা দেগুটিস বলেন, যেসব নারী-পুরুষ পার্টনার বা অন্য ঘনিষ্ঠদের দ্বারা যৌন সহিংসতা বা উত্ত্যক্তের শিকার হয়, অনেক ক্ষেত্রেই সারা জীবন তাদের এর পরিণতি ভোগ করতে হয়। ৩৫ ভাগ নারী ১৮ বছরের আগেই ধর্ষণের শিকার হয়। গবেষণা থেকে বোঝা যায়, দিন দিন এসব যৌন হয়রানি এবং ভুক্তভোগীদের ঘটনা-পরবর্তী বাজে অভিজ্ঞতা সম্পর্কে উদ্বেগ বাড়ছে।
গবেষণায় দেখানো হয়েছে, ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই শ্বাসরোগ, দেহাঙ্গের উত্তেজনা, বহুমূত্র, নিয়মিত মাথাব্যথা, দীর্ঘস্থায়ী জ্বর বা ব্যথা এবং ঘুমের সমস্যা ছাড়াও বিভিন্ন অসুবিধায় ভোগেন। এছাড়া ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের শিকার পুরুষরাও বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন। অবশ্য নারীদের তুলনায় পুরুষরা খুব কমই এসব নির্যাতনের শিকার হন। ৭১ জনের মধ্যে একজন পুরুষ তাদের জীবনে ধর্ষণ বা যৌন হয়রানির শিকার হন বলে গবেষণায় দেখানো হয়েছে।
অন্যদিকে প্রতি সাতজনে একজন পুরুষ শারীরিক নির্যাতনের শিকার এবং ৭১ জনের মধ্যে একজন পুরুষ ধর্ষিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স ও ইন্টারনেট
No comments