বিএনপির বিজয় দিবসে আলোচনা : জিয়া রণাঙ্গনে থেকেই যুদ্ধ করেছেন : প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মিথ্যা
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। গতকাল রাজধানীতে বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় দলটির নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। দেশকে অন্ধকার সুড়ঙ্গে ঠেলে দিয়েছে। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমান বীর উত্তম—এর মুক্তিযুদ্ধের অবদানকে খাটো করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মিথ্যা’
বক্তব্য দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করে তারা বলেন, জিয়া রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। তার নেতৃত্বেই ১৪ ডিসেম্বর সিলেটকে দখলমুক্ত করা হয়। এধরনের মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত না করারও আহ্বান জানান তারা।
ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করছে। স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে সরকার যা করছে, তা অমার্জনীয়। পুরো জাতি জানে, জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক। কিন্তু আওয়ামী লীগ তা মানতে রাজি নয়।
তাজউদ্দিন আহমেদ, ইন্দিরা গান্ধীসহ বিশ্বের বিভিন্ন ব্যক্তির লেখা ও বক্তব্যের রেফারেন্স দিয়ে তিনি বলেন, এরা সবাই জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলেছেন। এখন জোর করে এই ইতিহাস মুছে ফেলা যাবে না। কারণ, ইতিহাস রচনা করছেন ইতিহাসবিদরা। শাসক দল কিছুদিনের জন্য ইতিহাসকে বিকৃত করে রাখতে পারে। কিন্তু চিরদিন তা সম্ভব নয়। ইতিহাসবিদদের বক্তব্যের কাছে আওয়ামী লীগের বক্তব্য টিকবে না।
বুধবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের রণক্ষেত্রে জিয়ার যুদ্ধ করার প্রমাণ নেই। অনেকেই তখন জিয়াকে ‘মেজর রিট্রিড’ বলত। কারণ যুদ্ধক্ষেত্রের তিন কিলোমিটার দূরে নাকি তিনি থাকতেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সেক্টর কমান্ডার ও ‘জেড’ ফোর্সের অধিনায়ক জিয়াকে মুজিবনগর সরকার কয়েকবার বহিষ্কার করে বলে দাবি করেন শেখ হাসিনা।
সাবেক এই মন্ত্রীর অভিযোগ, জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। যারা দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার। সরকারের অযোগ্যতা, দুর্নীতির কারণে দেশ আজ বিপর্যস্ত। তাই দেশ ও মানুষকে বাঁচাতে এই ‘তাঁবেদার’ সরকারকে হঠাতে হবে। গণআন্দোলনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের শপথ নিতে হবে।
বুধবার আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিথ্যা বলেছেন। আবারও জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করলেন। তার (জিয়া) মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এভাবে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে ইতিহাসকে জনগণের হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যাবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য বিজয়ের ৪০ বছর পরও আমরা আনন্দের সঙ্গে বিজয় উত্সব পালন করতে পারছি না। বিজয়ের এই শুভক্ষণে এসে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। শঙ্কার মধ্যে দিন কাটছে আমাদের।
তিনি বলেন, যে চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছিল, সে চেতনার মূলে ছিল গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক মুক্তি, বাক-স্বাধীনতা, খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা। কিন্তু আজ স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন আমাদের লাশ গুনতে হচ্ছে। খবরের কাগজে পড়তে হচ্ছে গুপ্তহত্যার কাহিনী। এ পরিস্থিতিতে বিজয়ের আনন্দ ও বিজয়ের ৪০ বছরপূর্তি উত্সব দেশের মানুষ স্বাভাবিকভাবে পালন করতে পারছে না।
গণতন্ত্রের আবরণে একটি স্বৈরশাসক জগদ্দল পাথর বুকের ওপর চেপে বসেছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন ‘জেড’ ফোর্সের কোম্পানি কমান্ডার মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রমও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে বলেন, জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধ করে আমরা ১৪ ডিসেম্বর সিলেটকে পাকিস্তানিদের থেকে দখলমুক্ত করেছিলাম। খাদিম নগরের কাছে প্রথম আমাদের সঙ্গে পাকিস্তানি সৈন্যদের যুদ্ধ হয়। সিলেট স্বাধীন করার এই যুদ্ধে শতাধিক পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়েছিল। অথচ এই ঐতিহাসিক বাস্তবতা আওয়ামী লীগ স্বীকার করতে চায় না। তারা ইতিহাস বিকৃতি করে বলছে, জিয়া রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেননি।
আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার এমপি, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব আমানুল্লাহ আমান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এমপি, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা দল সভাপতি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, মহিলা দল সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, জাসাস সাধারণ সম্পাদক মনির খান, ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক।
বিএনপির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হোন : বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ কর্মসূচিকে সফল করতে বিএনপির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল দুপুর সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের বিজয় দিবসের শোভাযাত্রা-পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।
ব্যারিস্টার হুদা বলেন, দেশে আজ বিভক্তির রাজনীতি চলছে। এ বিভক্তিকে ঐক্যবদ্ধ না করতে পারলে দেশের উন্নয়ন হবে না, গণতন্ত্র রক্ষা পাবে না।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। এ লক্ষ্যে তিনি যেসব কর্মসূচি দিয়েছিলেন, সেসব কর্মসূচিকে সফল করতে পারলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে সফল হবে, বহুদলীয় গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন, জিয়ার স্বপ্ন পূরণ করে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেশকে গড়তে আমাদের বিভক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফ্রন্টের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ।
সমাবেশ শেষে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বে এক শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি প্রেস ক্লাব থেকে হাইকোর্টের গেট হয়ে পল্টন গিয়ে শেষ হয়।
ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করছে। স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে সরকার যা করছে, তা অমার্জনীয়। পুরো জাতি জানে, জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক। কিন্তু আওয়ামী লীগ তা মানতে রাজি নয়।
তাজউদ্দিন আহমেদ, ইন্দিরা গান্ধীসহ বিশ্বের বিভিন্ন ব্যক্তির লেখা ও বক্তব্যের রেফারেন্স দিয়ে তিনি বলেন, এরা সবাই জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলেছেন। এখন জোর করে এই ইতিহাস মুছে ফেলা যাবে না। কারণ, ইতিহাস রচনা করছেন ইতিহাসবিদরা। শাসক দল কিছুদিনের জন্য ইতিহাসকে বিকৃত করে রাখতে পারে। কিন্তু চিরদিন তা সম্ভব নয়। ইতিহাসবিদদের বক্তব্যের কাছে আওয়ামী লীগের বক্তব্য টিকবে না।
বুধবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের রণক্ষেত্রে জিয়ার যুদ্ধ করার প্রমাণ নেই। অনেকেই তখন জিয়াকে ‘মেজর রিট্রিড’ বলত। কারণ যুদ্ধক্ষেত্রের তিন কিলোমিটার দূরে নাকি তিনি থাকতেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সেক্টর কমান্ডার ও ‘জেড’ ফোর্সের অধিনায়ক জিয়াকে মুজিবনগর সরকার কয়েকবার বহিষ্কার করে বলে দাবি করেন শেখ হাসিনা।
সাবেক এই মন্ত্রীর অভিযোগ, জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। যারা দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার। সরকারের অযোগ্যতা, দুর্নীতির কারণে দেশ আজ বিপর্যস্ত। তাই দেশ ও মানুষকে বাঁচাতে এই ‘তাঁবেদার’ সরকারকে হঠাতে হবে। গণআন্দোলনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের শপথ নিতে হবে।
বুধবার আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিথ্যা বলেছেন। আবারও জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করলেন। তার (জিয়া) মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এভাবে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে ইতিহাসকে জনগণের হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যাবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য বিজয়ের ৪০ বছর পরও আমরা আনন্দের সঙ্গে বিজয় উত্সব পালন করতে পারছি না। বিজয়ের এই শুভক্ষণে এসে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। শঙ্কার মধ্যে দিন কাটছে আমাদের।
তিনি বলেন, যে চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছিল, সে চেতনার মূলে ছিল গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক মুক্তি, বাক-স্বাধীনতা, খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা। কিন্তু আজ স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন আমাদের লাশ গুনতে হচ্ছে। খবরের কাগজে পড়তে হচ্ছে গুপ্তহত্যার কাহিনী। এ পরিস্থিতিতে বিজয়ের আনন্দ ও বিজয়ের ৪০ বছরপূর্তি উত্সব দেশের মানুষ স্বাভাবিকভাবে পালন করতে পারছে না।
গণতন্ত্রের আবরণে একটি স্বৈরশাসক জগদ্দল পাথর বুকের ওপর চেপে বসেছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন ‘জেড’ ফোর্সের কোম্পানি কমান্ডার মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রমও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে বলেন, জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধ করে আমরা ১৪ ডিসেম্বর সিলেটকে পাকিস্তানিদের থেকে দখলমুক্ত করেছিলাম। খাদিম নগরের কাছে প্রথম আমাদের সঙ্গে পাকিস্তানি সৈন্যদের যুদ্ধ হয়। সিলেট স্বাধীন করার এই যুদ্ধে শতাধিক পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়েছিল। অথচ এই ঐতিহাসিক বাস্তবতা আওয়ামী লীগ স্বীকার করতে চায় না। তারা ইতিহাস বিকৃতি করে বলছে, জিয়া রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেননি।
আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার এমপি, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব আমানুল্লাহ আমান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এমপি, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা দল সভাপতি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, মহিলা দল সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, জাসাস সাধারণ সম্পাদক মনির খান, ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক।
বিএনপির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হোন : বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ কর্মসূচিকে সফল করতে বিএনপির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল দুপুর সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের বিজয় দিবসের শোভাযাত্রা-পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।
ব্যারিস্টার হুদা বলেন, দেশে আজ বিভক্তির রাজনীতি চলছে। এ বিভক্তিকে ঐক্যবদ্ধ না করতে পারলে দেশের উন্নয়ন হবে না, গণতন্ত্র রক্ষা পাবে না।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। এ লক্ষ্যে তিনি যেসব কর্মসূচি দিয়েছিলেন, সেসব কর্মসূচিকে সফল করতে পারলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে সফল হবে, বহুদলীয় গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন, জিয়ার স্বপ্ন পূরণ করে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেশকে গড়তে আমাদের বিভক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফ্রন্টের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ।
সমাবেশ শেষে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বে এক শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি প্রেস ক্লাব থেকে হাইকোর্টের গেট হয়ে পল্টন গিয়ে শেষ হয়।
No comments