ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটের কথা কোচের গলায়ও
অধিনায়কের পর কোচ। মুশফিকুর রহিমের পর স্টুয়ার্ট ল। টেস্ট ক্রিকেটে ম্যাচের পর ম্যাচ বাংলাদেশের নতজানু হওয়ার কারণ হিসেবে ফিরেছেন তাঁরা শেকড়ে। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটের অনভিজ্ঞতার কারণেই দলের দুর্দশা বলে এ অস্ট্রেলিয়ান কোচের অভিমত। এমনিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই গ্রহণকাল চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে। তা টেস্ট-ওয়ানডে-টোয়েন্টি টোয়েন্টি সর্বত্র। জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে হেরে এসেছেন তিন ফরম্যাটের সিরিজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টোয়েন্টি টোয়েন্টির জয় অমাবস্যায় এক ফালি আলোর রশ্মি। ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ হেরেছে যথারীতি। পাকিস্তানের বিপক্ষে এরই মধ্যে সব সিরিজ হারা সারা। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট শেষে অধিনায়ক মুশফিক বলেছিলেন ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে গুরুত্ব দেওয়ার কথা। ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্টের আগে অভিন্ন সুর কোচ ল'র কণ্ঠে, 'আসলে টেস্ট ক্রিকেটার তৈরি হয় ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলে। সেটি যত বেশি খেলবে, টেস্ট তাঁর জন্য হবে তত সহজ। বাংলাদেশ কিন্তু এমনিতে খুব বেশি টেস্ট খেলে না। এই দলের কিছু কিছু খেলোয়াড় আছে, যারা হয়তো পাঁচ-ছয় বছর ধরে জাতীয় দলে আছে, কিন্তু খুব বেশি টেস্ট খেলেনি। ওদিকে তারা আবার খুব বেশি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচও খেলে না। আশা করি, ক্রিকেট বোর্ড এবং খেলোয়াড়রা মিলে এমন একটা সূচি তৈরি করতে পারবে, যেখানে টেস্ট খেলার আগে ক্রিকেটাররা অনেক অনেক ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলার সুযোগ পায়।' খেলোয়াড়দের ঢাল হওয়ার পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে একটা উপায় বাতলেছেন কোচ, 'আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর বিপক্ষে বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচ খেলা যেতে পারে। বিশেষত যখন বাংলাদেশের কোনো খেলা থাকে না। আর আমি তো বলব, খুব একটা ফার্স্ট ক্লাস না খেলেও যে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা মাঠে গিয়ে পারফরম করে, সে জন্য তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে।'
কৃতিত্ব পাওয়ার মতো খেলা অবশ্য পাকিস্তানের বিপক্ষে অন্তত খেলছেন না তাঁর শিষ্যরা। ফার্স্ট ক্লাসে গুরুত্ব দেওয়ার যে পরামর্শ দিয়েছেন, সেটি তো সুদূরপ্রসারী। কাল থেকে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় টেস্ট নিয়েই আপাতত ভাবতে হচ্ছে তাঁকে। এ ক্ষেত্রে ল'র মনোযোগের সিংহ ভাগ রান করতে ভুলে যাওয়া ব্যাটসম্যানদের দিকে। যদিও তাঁদের ওপর বিশ্বাস হারাচ্ছেন না কোচ, 'ব্যাটসম্যানদের জন্য পরিস্থিতিটা আসলেই কঠিন। যখন কেউ জানে না তারা কখন রান করবে, এটি তাদের সম্পূর্ণভাবে কুঁকড়ে দিতে পারে। আমি খেলোয়াড়দের বলেছি, যেভাবে খেলে তোমরা সফল হয়েছ, সেখান থেকে আলাদা কিছু কোরো না। যদি ওরা বেসিক ঠিক রেখে মানসিকভাবে নিজেদের প্রস্তুত রাখতে পারে, তাহলে আমি নিশ্চিত যে ওরা রান পাবে।'
কালকের প্র্যাকটিস সেশন নিয়ে দারুণ উৎফুল্ল কোচ। দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিকে সবচেয়ে পরিপূর্ণ সেশনের আখ্যা দিয়েছেন। এখান থেকে প্রস্তুত ব্যাটসম্যানরা পাকিস্তানিদের যথার্থ মোকাবেলা করতে পারবে বলে ল'র বিশ্বাস, 'পাকিস্তান এ মুহূর্তে খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে। তবে তাদের বোলিং আক্রমণ অতটা ধারালো নয় যে আমাদের ব্যাটসম্যানরা এর মুখোমুখিই হতে চাইবে না। ম্যাচ শুরুর সময় ওদের মানসিকভাবে সম্পূর্ণরূপে তৈরি থাকতে হবে। সহজ হিসাব হলো, যত বেশি সময় ধরে ব্যাটিং করতে পারবে, তত বেশি রান আসবে।' হোম কন্ডিশনের সুবিধা আদায়ে উইকেটের জিগির তুলতে রাজি নন তিনি, 'উইকেট নিয়ে আমি মোটেই উদ্বিগ্ন নই। মোদ্দা কথা হচ্ছে, আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। চট্টগ্রামে তো নিখাদ ব্যাটিং উইকেট ছিল, তাও আমরা রান করতে পারিনি। এখন উইকেট নিয়ে চিন্তা না করে ছেলেরা যেমন শারীরিক ও মানসিকভাবে টেস্ট খেলার জন্য প্রস্তুত হয়, সে চেষ্টাই আমরা করছি।'
চেষ্টার যে কমতি রাখছেন না, কাল ঘণ্টা তিনেকের প্র্যাকটিস সেশনেই সেটি স্পষ্ট। কেবল মাঠে গিয়ে এর প্রতিফলন দেখাতে পারছেন না, এই যা!
কৃতিত্ব পাওয়ার মতো খেলা অবশ্য পাকিস্তানের বিপক্ষে অন্তত খেলছেন না তাঁর শিষ্যরা। ফার্স্ট ক্লাসে গুরুত্ব দেওয়ার যে পরামর্শ দিয়েছেন, সেটি তো সুদূরপ্রসারী। কাল থেকে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় টেস্ট নিয়েই আপাতত ভাবতে হচ্ছে তাঁকে। এ ক্ষেত্রে ল'র মনোযোগের সিংহ ভাগ রান করতে ভুলে যাওয়া ব্যাটসম্যানদের দিকে। যদিও তাঁদের ওপর বিশ্বাস হারাচ্ছেন না কোচ, 'ব্যাটসম্যানদের জন্য পরিস্থিতিটা আসলেই কঠিন। যখন কেউ জানে না তারা কখন রান করবে, এটি তাদের সম্পূর্ণভাবে কুঁকড়ে দিতে পারে। আমি খেলোয়াড়দের বলেছি, যেভাবে খেলে তোমরা সফল হয়েছ, সেখান থেকে আলাদা কিছু কোরো না। যদি ওরা বেসিক ঠিক রেখে মানসিকভাবে নিজেদের প্রস্তুত রাখতে পারে, তাহলে আমি নিশ্চিত যে ওরা রান পাবে।'
কালকের প্র্যাকটিস সেশন নিয়ে দারুণ উৎফুল্ল কোচ। দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিকে সবচেয়ে পরিপূর্ণ সেশনের আখ্যা দিয়েছেন। এখান থেকে প্রস্তুত ব্যাটসম্যানরা পাকিস্তানিদের যথার্থ মোকাবেলা করতে পারবে বলে ল'র বিশ্বাস, 'পাকিস্তান এ মুহূর্তে খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে। তবে তাদের বোলিং আক্রমণ অতটা ধারালো নয় যে আমাদের ব্যাটসম্যানরা এর মুখোমুখিই হতে চাইবে না। ম্যাচ শুরুর সময় ওদের মানসিকভাবে সম্পূর্ণরূপে তৈরি থাকতে হবে। সহজ হিসাব হলো, যত বেশি সময় ধরে ব্যাটিং করতে পারবে, তত বেশি রান আসবে।' হোম কন্ডিশনের সুবিধা আদায়ে উইকেটের জিগির তুলতে রাজি নন তিনি, 'উইকেট নিয়ে আমি মোটেই উদ্বিগ্ন নই। মোদ্দা কথা হচ্ছে, আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। চট্টগ্রামে তো নিখাদ ব্যাটিং উইকেট ছিল, তাও আমরা রান করতে পারিনি। এখন উইকেট নিয়ে চিন্তা না করে ছেলেরা যেমন শারীরিক ও মানসিকভাবে টেস্ট খেলার জন্য প্রস্তুত হয়, সে চেষ্টাই আমরা করছি।'
চেষ্টার যে কমতি রাখছেন না, কাল ঘণ্টা তিনেকের প্র্যাকটিস সেশনেই সেটি স্পষ্ট। কেবল মাঠে গিয়ে এর প্রতিফলন দেখাতে পারছেন না, এই যা!
No comments