মুশফিক শেখ জামালের অধিনায়ক-সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মোহামেডান
দলবদল কক্ষে মনমরা মোহাম্মদ আশরাফুলকে খুঁজে পাওয়া গেল! তা হওয়ারই কথা। সিসিএস ছেড়ে প্রাইম ব্যাংক ওল্ড ডিওএইচএসে নাম লেখাতে আসার পথেই তাঁকে জানানো হয়েছে যে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের স্কোয়াডে তিনি নেই। সে কথা বলতে বলতেই এতক্ষণ ঝিম মারতে থাকা দলবদল কক্ষের ভিড়ে হারিয়ে গেলেন জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক। কারণ ততক্ষণে বাদ্য-বাজনা বাজিয়ে বড় দল হিসেবে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে
এসে গেছে প্রিমিয়ারে নবাগত শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। এসেই শিরোপা লড়াইয়ের ঘোষণা দেওয়া দলটির পুরোভাগে ছিলেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ছিলেন জাতীয় দলের সোহরাওয়ার্দী শুভও। পুলের এ দুজনের সঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ ও পরীক্ষিত পারফরমার ব্যাটসম্যান শামসুর রহমান, মেহরাব হোসেন জুনিয়র ও মায়শুকুর রহমান, তিন পেসার ডলার মাহমুদ, তাপস বৈশ্য ও শুভাশিষ রায় এবং অলরাউন্ডার আরাফাত সানি ও মাহমুদুল হাসানদের নিয়ে বেশ জমাট এক দলই সাজিয়ে ফেলেছে এবারই প্রথম প্রিমিয়ারে উঠে আসা দলটি। তবে এমন দল নিয়ে মুশফিক এখনই কথার ফুলঝুরি ছোটাতে চাইলেন না, কারণ, 'খেয়াল করলে দেখবেন এবার আট থেকে নয়টি দল প্রায় সমমানের। যে কারো যে কাউকে হারানোর ক্ষমতা আছে। আমাদের প্রথম লক্ষ্য সুপার লিগে ওঠা। এরপর আমরা শীর্ষ দল হওয়ার জন্য লড়ব।'
তবে অবস্থাদৃষ্টে মোহামেডান বোধহয় এবার আর শিরোপা লড়াইয়ে থাকতে পারছে না। এবারের দলবদলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যে তারাই। তাদের ঠিক হয়ে থাকা সব ক্রিকেটার চলে গেছেন ভিক্টোরিয়ায়। পুলের ইমরুল কায়েস ও নাঈম ইসলামকে নিশ্চিত করে রাখলেও শেষ মুহূর্তে দল গোছাতে হিমশিম খেয়েছে তারা। সেই সঙ্গে খালেদ মাসুদের মতো ক্রিকেট মস্তিষ্ককেও হারিয়েছে তারা। মাসুদকে নিয়ে প্রাইম ধলেশ্বরের সঙ্গে একটা টানাটানির খবর শোনা যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত জয় হয়েছে ধলেশ্বরেরই। এ দলটি গড়ে দেওয়া মাসুদ দলবদলে না এসে বিশেষ কমিশনে সই করেছেন ধলেশ্বরে। যে দলে পুলের শাহরিয়ার নাফীসের সঙ্গে আছেন পেসার নাজমুল হোসেনও। পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজের পাশাপাশি মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের রাজা গোপাল সতীশকেও নিশ্চিত করে রেখেছে তারা।
অন্যদিকে কোনোমতে দল গুছিয়ে সবার শেষে দলবদল করতে আসা মোহামেডান গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্স ও সূর্যতরুণ থেকে দলে ভিড়িয়েছে দুই পেসার সৈয়দ রাসেল ও সাজিদুল ইসলামকে। সূর্যতরুণ থেকে এসেছেন রাজিন সালেহও। তবে সমর্থকদের স্লোগানে দলবদল কক্ষ মুখর করে রেখেছিল তাদেরই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী। জাতীয় দলের সহ-অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহকে ধরে রেখে তারা বিমান থেকে নিয়ে এসেছে পুলের ইলিয়াস সানিকে। সই করিয়েছে অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজা ও ব্যাটসম্যান ফজলে রাবি্বকেও। ভারতের মিথুন মানাস ও রজত ভাটিয়ার পাশাপাশি তাঁরা বিদেশি কোটায় ইংল্যান্ড থেকে নিয়ে আসছে সমারসেটের অলরাউন্ডার পিটার ট্রেগোকেও। কাল শেষ দিনে দলবদল করেছেন ১০৫ জন ক্রিকেটার। ডিওএইচএসে পুলের আশরাফুলের সঙ্গী হয়েছেন শুভাগত হোম। পরিচিত মুখদের মধ্যে মোহামেডান ছেড়ে সেখানে গেছেন ফয়সাল হোসেনও। সব মিলিয়ে এবার পাওয়ার চেয়ে বেশি হারিয়ে শীর্ষ সারির দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে মোহামেডানেরই।
তবে অবস্থাদৃষ্টে মোহামেডান বোধহয় এবার আর শিরোপা লড়াইয়ে থাকতে পারছে না। এবারের দলবদলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যে তারাই। তাদের ঠিক হয়ে থাকা সব ক্রিকেটার চলে গেছেন ভিক্টোরিয়ায়। পুলের ইমরুল কায়েস ও নাঈম ইসলামকে নিশ্চিত করে রাখলেও শেষ মুহূর্তে দল গোছাতে হিমশিম খেয়েছে তারা। সেই সঙ্গে খালেদ মাসুদের মতো ক্রিকেট মস্তিষ্ককেও হারিয়েছে তারা। মাসুদকে নিয়ে প্রাইম ধলেশ্বরের সঙ্গে একটা টানাটানির খবর শোনা যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত জয় হয়েছে ধলেশ্বরেরই। এ দলটি গড়ে দেওয়া মাসুদ দলবদলে না এসে বিশেষ কমিশনে সই করেছেন ধলেশ্বরে। যে দলে পুলের শাহরিয়ার নাফীসের সঙ্গে আছেন পেসার নাজমুল হোসেনও। পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজের পাশাপাশি মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের রাজা গোপাল সতীশকেও নিশ্চিত করে রেখেছে তারা।
অন্যদিকে কোনোমতে দল গুছিয়ে সবার শেষে দলবদল করতে আসা মোহামেডান গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্স ও সূর্যতরুণ থেকে দলে ভিড়িয়েছে দুই পেসার সৈয়দ রাসেল ও সাজিদুল ইসলামকে। সূর্যতরুণ থেকে এসেছেন রাজিন সালেহও। তবে সমর্থকদের স্লোগানে দলবদল কক্ষ মুখর করে রেখেছিল তাদেরই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী। জাতীয় দলের সহ-অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহকে ধরে রেখে তারা বিমান থেকে নিয়ে এসেছে পুলের ইলিয়াস সানিকে। সই করিয়েছে অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজা ও ব্যাটসম্যান ফজলে রাবি্বকেও। ভারতের মিথুন মানাস ও রজত ভাটিয়ার পাশাপাশি তাঁরা বিদেশি কোটায় ইংল্যান্ড থেকে নিয়ে আসছে সমারসেটের অলরাউন্ডার পিটার ট্রেগোকেও। কাল শেষ দিনে দলবদল করেছেন ১০৫ জন ক্রিকেটার। ডিওএইচএসে পুলের আশরাফুলের সঙ্গী হয়েছেন শুভাগত হোম। পরিচিত মুখদের মধ্যে মোহামেডান ছেড়ে সেখানে গেছেন ফয়সাল হোসেনও। সব মিলিয়ে এবার পাওয়ার চেয়ে বেশি হারিয়ে শীর্ষ সারির দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে মোহামেডানেরই।
No comments