শেষ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক অভিযান
বাগদাদে গতকাল বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন পতাকা নামিয়ে নেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে ইরাকে মার্কিন সামরিক অভিযানের আনুষ্ঠানিক ইতি টানা হলো। শেষ হলো যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ ৯ বছরের ইরাক যুদ্ধ। এ আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়ে আসেন তাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেট্টা। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই অভিযানকে 'অসামান্য অর্জন' হিসেবে অভিহিত করলেও এই ইস্যু নিয়ে এখনো বিতর্ক রয়ে গেছে।
ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে দাবি করে ২০০৩ সালে দেশটির নেতা সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এ অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র। পরে জানা যায়, গণবিধ্বংসী অস্ত্রের ওই দাবি মিথ্যা ছিল।
বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আয়োজিত পতাকা নামিয়ে নেওয়ার অনুষ্ঠানে প্যানেট্টা বলেন, 'ইরাকি ও মার্কিনিদের বিপুল আত্মত্যাগের পর নিরাপদ ও আত্মনির্ভরশীল ইরাক প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন সত্যি হলো। এর জন্য রক্ত ও অর্থ দিয়ে চড়া মূল্য দিতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আর ইরাকের নাগরিকদের। তবে তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না।' এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই বন্ধ হয়ে গেল ইরাকের পাঁচ শতাধিক মার্কিন ঘাঁটি। নির্ধারিত সময়ের দুই সপ্তাহ আগেই ইরাক অভিযানের সমাপ্তি টানা হলো। ২০০৮ সালে দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া চুক্তি অনুসারে, এ বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সেনাদের ইরাক ছাড়ার কথা। ইরাকে অবস্থানকারী সাড়ে পাঁচ হাজার মার্কিন সেনা ইতিমধ্যে দেশটি ছেড়ে যেতে শুরু করেছে। প্রেসিডেন্ট ওবামা ক্ষমতা গ্রহণের সময় মার্কিন সেনাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেন। তাঁর দাবি, ইরাককে 'সার্বভৌম, স্থিতিশীল ও আত্মনির্ভর' করে দেশে ফিরছে তাঁর সেনারা। নর্থ ক্যারোলাইনার সেনা ঘাঁটিতে গত বুধবার দেওয়া ভাষণে তিনি আরো বলেন, 'লড়া ও মরা, রক্তপাত ও পুনর্গঠন, প্রশিক্ষণ ও বিদায়_মার্কিন সেনারা সেখানে যা যা করেছেন, এর সব কিছুর জন্যই সফল হয়েছি আমরা। শিগগিরই ইরাক যুদ্ধ ইতিহাস হয়ে যাবে। আর আপনাদের সেবা হবে সেই ইতিহাসেরই একটি অংশ।' উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া এই যুদ্ধ নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আট বছর আট মাস ২৫ দিনের ইরাক যুদ্ধে সাড়ে চার হাজার মার্কিন সেনা নিহত এবং ৩০ হাজার সেনা আহত হন। এই অভিযান সম্পন্ন করতে ব্যয় হয় ৮০ হাজার কোটি ডলার। ১৫ লাখ সেনা বিভিন্ন সময় ইরাক অভিযানে অংশ নিয়েছেন। ২০০৭ সালে একসঙ্গে সর্বোচ্চ সংখ্যক সেনা ইরাক যুদ্ধে অংশ নেন। তাঁদের সংখ্যা ছিল এক লাখ ৭০ হাজার। এ ছাড়া এই লড়াইয়ে লক্ষাধিক ইরাকি নিহত হয়। গৃহহীন হয়ে পড়ে আরো ১৭ লাখ ৫০ হাজার ইরাকি। বিরোধী রিপাবলিকানরা অবশ্য ইরাক অভিযান শেষ করা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। মার্কিন সেনাশূন্য ইরাকের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ২০০৩ সালে একতরফাভাবে ইরাক অভিযান শুরু করেন। সূত্র : এএফপি।
বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আয়োজিত পতাকা নামিয়ে নেওয়ার অনুষ্ঠানে প্যানেট্টা বলেন, 'ইরাকি ও মার্কিনিদের বিপুল আত্মত্যাগের পর নিরাপদ ও আত্মনির্ভরশীল ইরাক প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন সত্যি হলো। এর জন্য রক্ত ও অর্থ দিয়ে চড়া মূল্য দিতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আর ইরাকের নাগরিকদের। তবে তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না।' এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই বন্ধ হয়ে গেল ইরাকের পাঁচ শতাধিক মার্কিন ঘাঁটি। নির্ধারিত সময়ের দুই সপ্তাহ আগেই ইরাক অভিযানের সমাপ্তি টানা হলো। ২০০৮ সালে দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া চুক্তি অনুসারে, এ বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সেনাদের ইরাক ছাড়ার কথা। ইরাকে অবস্থানকারী সাড়ে পাঁচ হাজার মার্কিন সেনা ইতিমধ্যে দেশটি ছেড়ে যেতে শুরু করেছে। প্রেসিডেন্ট ওবামা ক্ষমতা গ্রহণের সময় মার্কিন সেনাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেন। তাঁর দাবি, ইরাককে 'সার্বভৌম, স্থিতিশীল ও আত্মনির্ভর' করে দেশে ফিরছে তাঁর সেনারা। নর্থ ক্যারোলাইনার সেনা ঘাঁটিতে গত বুধবার দেওয়া ভাষণে তিনি আরো বলেন, 'লড়া ও মরা, রক্তপাত ও পুনর্গঠন, প্রশিক্ষণ ও বিদায়_মার্কিন সেনারা সেখানে যা যা করেছেন, এর সব কিছুর জন্যই সফল হয়েছি আমরা। শিগগিরই ইরাক যুদ্ধ ইতিহাস হয়ে যাবে। আর আপনাদের সেবা হবে সেই ইতিহাসেরই একটি অংশ।' উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া এই যুদ্ধ নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আট বছর আট মাস ২৫ দিনের ইরাক যুদ্ধে সাড়ে চার হাজার মার্কিন সেনা নিহত এবং ৩০ হাজার সেনা আহত হন। এই অভিযান সম্পন্ন করতে ব্যয় হয় ৮০ হাজার কোটি ডলার। ১৫ লাখ সেনা বিভিন্ন সময় ইরাক অভিযানে অংশ নিয়েছেন। ২০০৭ সালে একসঙ্গে সর্বোচ্চ সংখ্যক সেনা ইরাক যুদ্ধে অংশ নেন। তাঁদের সংখ্যা ছিল এক লাখ ৭০ হাজার। এ ছাড়া এই লড়াইয়ে লক্ষাধিক ইরাকি নিহত হয়। গৃহহীন হয়ে পড়ে আরো ১৭ লাখ ৫০ হাজার ইরাকি। বিরোধী রিপাবলিকানরা অবশ্য ইরাক অভিযান শেষ করা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। মার্কিন সেনাশূন্য ইরাকের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ২০০৩ সালে একতরফাভাবে ইরাক অভিযান শুরু করেন। সূত্র : এএফপি।
No comments