অর্থায়নের অভাবে অবহেলিত দ.এশিয়ার উৎপাদনমুখী খাত
প্রয়োজনীয় অর্থায়নের অভাবে দক্ষিণ এশিয়ার উৎপাদনমুখী খাতগুলো অবহেলিত থাকছে। এতে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন ও দারিদ্র্য বিমোচন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক ও তদারককারী হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে এ প্রতিকূলতা দূর করা প্রয়োজন। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে 'অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি :সার্ক অঞ্চলের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ভূমিকা' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বক্তারা
এসব কথা বলেন। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে আন্তর্জাতিক এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান, সাবেক অর্থমন্ত্রী ড. এম সাইদুজ্জামান ও ইউএনএর বাংলাদেশ প্রতিনিধি একে আবদুল মোমেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গভর্নরের সিনিয়র উপদেষ্টা ড. হাসান জামান।
সেমিনারে সার্কভুক্ত দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধি, দেশের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, অর্থনীতিবিদ ও গবেষকরা অংশ নেন। সেমিনারে এ অঞ্চলের প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক সেবার পরিসর বৃদ্ধির জন্য গৃহীত পদক্ষেপ ও নীতিমালার ওপর আলোকপাত করা হয়।
ড. রেহমান সোবহান বলেন, গ্রামীণ অর্থনৈতিক সেবায় ক্ষুদ্র ঋণ বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। দারিদ্র্যের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষুদ্র অর্থব্যবস্থার বিপ্লব সাধিত হয়েছে। তাই এ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়_ এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে না। তবে এ কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য তদারকি বাড়ানো যেতে পারে। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক মূলধারায় সম্পৃক্ত করছে। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমে গ্রামীণ ব্যাংক বেশ ভূমিকা রাখছে। তারা গ্রামীণ নারীর ক্ষমতায়নে বড় পরিবর্তন করতে
সক্ষম হয়েছে।
গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতি আবারও বিপর্যয়ের মুখে পতিত হওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে। এবারের বিপর্যয়ের কারণ ইউরোপীয় জোনের ঋণ সংকট। ইতিপূর্বের মন্দার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো পরিণত এবং উন্নত অর্থনীতির দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও নতুন উদ্যোগের ক্ষেত্রে তীব্র ঋণ সংকট বিরাজ করছে। যথাযথ নীতিগত পদক্ষেপ না নিলে আসন্ন অর্থনৈতিক মন্দার কারণে তাদের বিপর্যয় আরও দীর্ঘ এবং তীব্রতর হতে পারে। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে ব্যবসানির্ভর অর্থনৈতিক বাজারগুলো অতি ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উৎপাদনমুখী উদ্যোগের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন চাহিদা পূরণের মতো পর্যাপ্ত সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। এতে অর্থনীতির উৎপাদনমুখী অংশগুলো অবহেলিত বা বঞ্চিত থাকছে।
ড. এম সাইদুজ্জামান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দারিদ্র্য কমানো। গ্রামীণ পর্যায়ে কৃষিকাজের পরিধি কমছে অথচ টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ব্যতিরেকে অর্থায়ন
নিশ্চিত করা কঠিন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান, সাবেক অর্থমন্ত্রী ড. এম সাইদুজ্জামান ও ইউএনএর বাংলাদেশ প্রতিনিধি একে আবদুল মোমেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গভর্নরের সিনিয়র উপদেষ্টা ড. হাসান জামান।
সেমিনারে সার্কভুক্ত দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধি, দেশের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, অর্থনীতিবিদ ও গবেষকরা অংশ নেন। সেমিনারে এ অঞ্চলের প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক সেবার পরিসর বৃদ্ধির জন্য গৃহীত পদক্ষেপ ও নীতিমালার ওপর আলোকপাত করা হয়।
ড. রেহমান সোবহান বলেন, গ্রামীণ অর্থনৈতিক সেবায় ক্ষুদ্র ঋণ বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। দারিদ্র্যের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষুদ্র অর্থব্যবস্থার বিপ্লব সাধিত হয়েছে। তাই এ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়_ এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে না। তবে এ কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য তদারকি বাড়ানো যেতে পারে। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক মূলধারায় সম্পৃক্ত করছে। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমে গ্রামীণ ব্যাংক বেশ ভূমিকা রাখছে। তারা গ্রামীণ নারীর ক্ষমতায়নে বড় পরিবর্তন করতে
সক্ষম হয়েছে।
গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতি আবারও বিপর্যয়ের মুখে পতিত হওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে। এবারের বিপর্যয়ের কারণ ইউরোপীয় জোনের ঋণ সংকট। ইতিপূর্বের মন্দার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো পরিণত এবং উন্নত অর্থনীতির দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও নতুন উদ্যোগের ক্ষেত্রে তীব্র ঋণ সংকট বিরাজ করছে। যথাযথ নীতিগত পদক্ষেপ না নিলে আসন্ন অর্থনৈতিক মন্দার কারণে তাদের বিপর্যয় আরও দীর্ঘ এবং তীব্রতর হতে পারে। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে ব্যবসানির্ভর অর্থনৈতিক বাজারগুলো অতি ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উৎপাদনমুখী উদ্যোগের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন চাহিদা পূরণের মতো পর্যাপ্ত সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। এতে অর্থনীতির উৎপাদনমুখী অংশগুলো অবহেলিত বা বঞ্চিত থাকছে।
ড. এম সাইদুজ্জামান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দারিদ্র্য কমানো। গ্রামীণ পর্যায়ে কৃষিকাজের পরিধি কমছে অথচ টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ব্যতিরেকে অর্থায়ন
নিশ্চিত করা কঠিন।
No comments