তামিমও ভুল করেছেন
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আম্পায়ার বিলি ডকট্রোভের মাথা নাড়ানো দেখে কয়েক সেকেন্ড হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তামিম। প্যাভিলিয়নে যাওয়ার পথেও কয়েকবার মাথা ঝেঁকেছেন। রিপ্লেতে পরিষ্কার বোঝা যায়নি, উমর গুলের বাউন্সারটি তামিমের ব্যাট ছুঁয়েছিল, না হেলমেটে লেগেছিল। যদি ধরেও নেওয়া হয় বলটি তামিমের কাঁধে কিংবা হেলমেট ছুঁয়ে স্লিপে ক্যাচ হয়েছিল, তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, তামিমের ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে। আগের ইনিংসেই যিনি
কি-না একই বোলারের প্রায় একই ধরনের বলে হুক করতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়েছিলেন, তিনি কেন দ্বিতীয় ইনিংসেও হুক করতে গেলেন উমর গুলকে? আইজাজ চিমার এক ওভারেই যিনি কি-না তিনটি বাউন্ডারি পেয়ে গেছেন, তিনি কেন গুলের বাউন্সারে প্রলোভিত হলেন? অফ ফর্মের মধ্য দিয়ে যাওয়া তামিম কেন বাউন্সারটি ছেড়ে দিতে পারলেন না? আর কেউ নন, তামিম নিজেই শুধু এর উত্তর দিতে পারবেন; কিন্তু কাল মিডিয়ার সামনে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না তিনি। তবে তার উত্তরটি কেমন হতে পারে তা তামিমের অতীতের কিছু কথা মনে করলেই বেরিয়ে আসবে। 'আমি তো এমনই খেলি। এভাবেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে রান পাই আমি। যদি মারতে গিয়ে আউটও হই, তাহলে কোনো কষ্ট লাগে না আমার।' বহুবার বহু সম্মেলনে এমনই উত্তর দিয়ে এসেছেন তামিম।
প্রশ্ন হলো, যে ব্যাটসম্যান এ সিরিজে রানখরায় ভুগছেন, তিনি কি তার শট সিলেকশন নিয়ে একটু সতর্ক হতে পারেন না? খারাপ সময় তো শচীন টেন্ডুলকারেরও হয়েছে। কাভার ড্রাইভে আউট হচ্ছিলেন বলে ২০০৪ সালে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শচীন ২৪১ রান করেছিলেন কোনো কাভার ড্রাইভ না খেলে। তাহলে তামিম কেন হুক শট থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারছেন না। তামিমের এ ব্যাটিং বিলাসিতার কারণেই গোটা সিরিজে টপ অর্ডার এলোমেলা হয়ে গেছে দলের। তিন ওয়ানডেতে দুটি শূন্য ছাড়া কেবল ৪ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন তামিম। টেস্টের চার ইনিংসেও গতকালই সর্বোচ্চ ২১ রান করেছিলেন। তবে সেটিও টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করে নয়। ১৯ বলে ৪ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তামিম এ সিরিজে তার সর্বোচ্চ রান করেন। 'একটি বড় স্কোর পেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে...'_ টেস্ট শুরুর আগে এভাবেই নিজেকে চাঙ্গা রেখেছিলেন তামিম; কিন্তু সেই বড় স্কোরের দর্শন আর হলো না তামিমের। টেকনিক না শুধরে শুধু আত্মবিশ্বাসের জোরে আর যাই হোক খারাপ সময় থেকে উতরানো যায় না_ সত্যটি গতকাল আবারও প্রমাণিত হলো তামিমের প্রস্থানে। আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য তামিমকে দুর্ভাগা মনে হতে পারে, সমর্থকরা সে জন্য আফসোসও করতে পারেন, তবে যতদিন ভুল থেকে শেখার মানসিকতা গড়ে না উঠবে, ততদিন এ রকমই সবাইকে আফসোস করতে হবে।
প্রশ্ন হলো, যে ব্যাটসম্যান এ সিরিজে রানখরায় ভুগছেন, তিনি কি তার শট সিলেকশন নিয়ে একটু সতর্ক হতে পারেন না? খারাপ সময় তো শচীন টেন্ডুলকারেরও হয়েছে। কাভার ড্রাইভে আউট হচ্ছিলেন বলে ২০০৪ সালে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শচীন ২৪১ রান করেছিলেন কোনো কাভার ড্রাইভ না খেলে। তাহলে তামিম কেন হুক শট থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারছেন না। তামিমের এ ব্যাটিং বিলাসিতার কারণেই গোটা সিরিজে টপ অর্ডার এলোমেলা হয়ে গেছে দলের। তিন ওয়ানডেতে দুটি শূন্য ছাড়া কেবল ৪ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন তামিম। টেস্টের চার ইনিংসেও গতকালই সর্বোচ্চ ২১ রান করেছিলেন। তবে সেটিও টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করে নয়। ১৯ বলে ৪ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তামিম এ সিরিজে তার সর্বোচ্চ রান করেন। 'একটি বড় স্কোর পেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে...'_ টেস্ট শুরুর আগে এভাবেই নিজেকে চাঙ্গা রেখেছিলেন তামিম; কিন্তু সেই বড় স্কোরের দর্শন আর হলো না তামিমের। টেকনিক না শুধরে শুধু আত্মবিশ্বাসের জোরে আর যাই হোক খারাপ সময় থেকে উতরানো যায় না_ সত্যটি গতকাল আবারও প্রমাণিত হলো তামিমের প্রস্থানে। আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য তামিমকে দুর্ভাগা মনে হতে পারে, সমর্থকরা সে জন্য আফসোসও করতে পারেন, তবে যতদিন ভুল থেকে শেখার মানসিকতা গড়ে না উঠবে, ততদিন এ রকমই সবাইকে আফসোস করতে হবে।
No comments