প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার by আরিফুর রহমান খাদেম
প্রবাসীরাও যে বাংলাদেশি, তাদেরও যে ভোটের পূর্ণ অধিকার আছে সে কথা হয়তো সরকার প্রায় ভুলেই গেছে। আমাদের অধিকাংশেরই কথার সঙ্গে কাজের কোনো মিল নেই, যা আমাদের জাতি হিসেবে পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ। দেশে একের পর এক নির্বাচন হচ্ছে, আর প্রবাসীদের শুধু নির্বাচনের সংবাদ ও ফলাফলই হজম করতে হচ্ছে। অথচ আমি বাংলাদেশে অবস্থানকালে যদি অস্ট্রেলিয়ায় কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, আমি ঢাকায় অবস্থানরত
অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন অফিসের মাধ্যমে ভোট দিতে পারব। যদি বিশেষ কারণ ছাড়া ভোটদানে বিরত থাকি, আমাকে কারণ দর্শাতে হবে এবং জরিমানা দিতে হবে। এ থেকে বোঝা যায় ভোটদান একজন নাগরিকের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ! যখন দেশের মিডিয়াগুলো বিভিন্ন বিষয় জোরালোভাবে তুলে ধরে, তখন সরকারের চোখে বিষয়গুলো কিছুদিনের জন্য গুরুত্ব পায়। এর কিছুদিন পর যখন মিডিয়ার দৃষ্টি অন্যদিকে পড়ে, তখন সরকার আগের আলোচিত বিষয়গুলো পুরোপুরি ভুলে যায় এবং এগুলোর ওপর দ্রুত কোনো পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করে না।
প্রতিটি দেশের অর্থনীতিই কোনো না কোনো বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে সচল থাকে। যেমন, থাইল্যান্ডের অর্থনীতির মূলে রয়েছে পর্যটন শিল্প। মিডলইস্টের জ্বালানি তেলের বাণিজ্য, অস্ট্রেলিয়ায় পশুসম্পদ, বনজ ও খনিজ শিল্প ইত্যাদি। তেমনিভাবে বাংলাদেশের জন্য রয়েছে দক্ষ অভিবাসী ও স্কিলড মাইগ্রেন্টের সমন্বয়ে গড়া শ্রম বাণিজ্য, যা আমাদের মতো দরিদ্র দেশের জন্য একটি বিরাট আশীর্বাদস্বরূপ। এ শ্রমিকরা বছরে গড়ে প্রায় ৮ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার দেশে পাঠান (৬০ হাজার কোটি টাকা)। এটা শুধু প্রতিদিনের হিসাবে বর্তমান বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬৪ কোটি টাকার ঊধর্ে্ব। আমি মনে করি, এ হিসাব আমার চেয়ে সরকারের বেশি জানার কথা। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স যেখানে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখছে, সেখানে প্রবাসীদের হয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সমীপে এ বিষয়ে জোর দাবি করতে হবে কেন? এ ব্যাপারে বহু আগেই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল।
পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশই ডুয়েল (দ্বৈত) নাগরিকত্বকে বৈধতা দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে একজন প্রবাসী স্বাধীনভাবে একই সঙ্গে দুই দেশের নাগরিকত্বই ধারণ করতে পারেন। নিজ দেশে একজন বাংলাদেশির যে অধিকার আছে, একজন প্রবাসী বাংলাদেশিরও সব সুবিধা ভোগের
সমঅধিকার রয়েছে। প্রবাসীদের এ অধিকার বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দৃষ্টি কামনা করছি।
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
প্রতিটি দেশের অর্থনীতিই কোনো না কোনো বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে সচল থাকে। যেমন, থাইল্যান্ডের অর্থনীতির মূলে রয়েছে পর্যটন শিল্প। মিডলইস্টের জ্বালানি তেলের বাণিজ্য, অস্ট্রেলিয়ায় পশুসম্পদ, বনজ ও খনিজ শিল্প ইত্যাদি। তেমনিভাবে বাংলাদেশের জন্য রয়েছে দক্ষ অভিবাসী ও স্কিলড মাইগ্রেন্টের সমন্বয়ে গড়া শ্রম বাণিজ্য, যা আমাদের মতো দরিদ্র দেশের জন্য একটি বিরাট আশীর্বাদস্বরূপ। এ শ্রমিকরা বছরে গড়ে প্রায় ৮ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার দেশে পাঠান (৬০ হাজার কোটি টাকা)। এটা শুধু প্রতিদিনের হিসাবে বর্তমান বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬৪ কোটি টাকার ঊধর্ে্ব। আমি মনে করি, এ হিসাব আমার চেয়ে সরকারের বেশি জানার কথা। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স যেখানে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখছে, সেখানে প্রবাসীদের হয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সমীপে এ বিষয়ে জোর দাবি করতে হবে কেন? এ ব্যাপারে বহু আগেই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল।
পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশই ডুয়েল (দ্বৈত) নাগরিকত্বকে বৈধতা দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে একজন প্রবাসী স্বাধীনভাবে একই সঙ্গে দুই দেশের নাগরিকত্বই ধারণ করতে পারেন। নিজ দেশে একজন বাংলাদেশির যে অধিকার আছে, একজন প্রবাসী বাংলাদেশিরও সব সুবিধা ভোগের
সমঅধিকার রয়েছে। প্রবাসীদের এ অধিকার বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দৃষ্টি কামনা করছি।
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
No comments