ক্যাচ নেওয়া এত কঠিন!

প্রস্তুতির বড় অংশজুড়েই থাকে ফিল্ডিং প্র্যাকটিস। আর ফিল্ডিং প্র্যাকটিসের বড় অংশজুড়ে থাকে ক্যাচ প্র্যাকটিস। এই সিরিজে তবু বড় পিচ্ছিল বাংলাদেশের ফিল্ডারদের হাত! পুরো সিরিজে এখন পর্যন্ত ক্যাচ পড়েছে ১৩টি, যার ১১টিই দুই টেস্টে। কোচ স্টুয়ার্ট ল বা ফিল্ডিং কোচ জ্যাসন সুইফট, সবার জন্যই এখন দুর্ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি। কিন্তু কেন পড়ছে ক্যাচ, কেন ফসকে যাচ্ছে একটার পর একটা সম্ভাবনা?


কাল সংবাদ সম্মেলনে স্টুয়ার্ট ল যেটা বললেন, সেটা একটা কারণ হতেই পারে, ‘এমন নয় যে আমরা খুব বাজে ফিল্ডিং করছি। তবে ক্যাচ ছাড়ছি, এটা সব দলের ক্ষেত্রেই হয়। পাকিস্তানের পারফরম্যান্স আমাদের ওপর চাপ তৈরি করছে। হতে পারে এটা তারই ফল।’ তবে ল সঙ্গে সঙ্গেই বলেছেন, এটা কোনো অজুহাত নয়, ‘ভালো একজন খেলোয়াড়ের ক্যাচ ফেলা মানে তাকে দুবার সুযোগ দেওয়া। তবে অজুহাত দেওয়ার কিছু নেই। দলে ৩৮ বছর বয়সী কেউ খেলছে না। সবার বয়সই ২০-এর মাঝামাঝি। এই বয়সীদের ৪-৫ দিন লড়াই করার মতো ফিট থাকতে হবে।’
একের পর এক ক্যাচ পড়ায় সবচেয়ে বেশি মন খারাপ বোধহয় ফিল্ডিং কোচ জ্যাসন সুইফটের। হতাশার কথাটা স্বীকার করেও অস্ট্রেলিয়ান এই কোচ বলছেন, ‘ক্যাচ পড়া সব সময়ই হতাশার, তবে ইচ্ছা করে কেউই ক্যাচ ফেলে না।’ করণীয়টাও বলছেন তিনি, ‘আমরা প্রচুর ফিল্ডিং প্র্যাকটিস করি। খেলার মধ্যে মনোযোগ ধরে রাখার ওপর জোর দিতে হবে।’
দ্বিতীয় ইনিংসে তৌফিক ওমরের ক্যাচ নিতে না-পারা শাহরিয়ার নাফীসেরও মনে হচ্ছে, সমস্যা মনোযোগে, ‘গতকাল (পরশু) লাঞ্চের পর প্রথম বলেই ক্যাচ পড়ল। এরপর চা-বিরতির একটু পরও ক্যাচ পড়েছে। আমার মনে হয় কিছু কিছু সময়ে আমরা মনোযোগ হারিয়ে ফেলছি। এটাই মূল কারণ।’
ক্যাচ ফেলার আলোচনায় উপসংহার হতে পারে স্টুয়ার্ট ল-র কথা। তবে কোচ যেটা বলেছেন, সেই সমাধানটা সবারই জানা, ‘এই জায়গাটা নিয়েই আমাদের ভাবতে হবে। বোলাররা যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করছে। আর প্র্যাকটিসেও আমরা হাত ব্যথা না হওয়া পর্যন্ত ক্যাচ নিচ্ছি। তার পরও এটা খেলারই অংশ। সব ক্যাচ নেওয়া সম্ভবও নয়। এটা এড়ানোর সহজ পথ হলো, প্রতিটি বলেই আমাদের তৈরি থাকতে হবে।’

No comments

Powered by Blogger.