‘চট্টগ্রামে সহস্র ভুয়া চিকিৎসক!’-সাইনবোর্ডের ডিগ্রি মুছছেন অনেকেই

ট্টগ্রামে ভুয়া চিকিৎসকদের অনেকেই সাইনবোর্ড থেকে নিজ নিজ নামের পাশে উল্লেখ করা ‘ডাক্তার’ শব্দটি এবং নানা ধরনের ‘ডিগ্রি’ মুছে ফেলতে শুরু করেছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয়ে কেউ কেউ রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোয় ‘চট্টগ্রামে সহস্র ভুয়া চিকিৎসক!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর কয়েকটি স্থানে এই চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আনোয়ারা উপজেলার সেন্টার এলাকার চিকিৎসক


মো. ইমরান হোসেন তাঁর চেম্বারের সাইনবোর্ড থেকে এমবিবিএসসহ বিভিন্ন ডিগ্রির লাইনটি মুছে দিয়েছেন। এর আগে গত সোমবার পর্যন্ত তাঁর চেম্বারের সামনে একটি টিনের সাইনবোর্ড এবং একটি দেয়ালে তাঁর নাম-পরিচয় লেখা ছিল। গতকাল টিনের সাইনবোর্ডটি খুলে ফেলা হয়েছে। দেয়ালের নাম-পরিচয় থেকে ডিগ্রির লাইন মুছে দেওয়া হয়। তবে নামের আগে লেখা ‘ডা.’ শব্দটি তিনি এখনো মোছেননি। গতকাল তিনি রোগীও দেখেননি।
তবে আনোয়ারা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তৌহিদুল করিমের সাইনবোর্ডটি এখনো অন্যান্য চিকিৎসকের পাশাপাশি লাগানো রয়েছে। এ প্রসঙ্গে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচালক বলেছেন, অনেক চিকিৎসকের সঙ্গে একই বোর্ডে লেখা বিধায় তাৎক্ষণিকভাবে তা অপসারণ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে নগরের আগ্রাবাদ মিস্ত্রিপাড়া এলাকার মো. হারুনের চেম্বার জনকল্যাণ ফার্মেসিতে গিয়ে একপাশের দরজা বন্ধ দেখা যায়। চেম্বারের ভেতরে কাচের ওপর তাঁর নামের পাশে বিভিন্ন ডিগ্রি লেখা দেখা গেছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত তাঁকে চেম্বারে দেখা যায়নি।
নগরের মোগলটুলী বাজারের ইডেন ফার্মেসির চিকিৎসক অরুণ কুমার রায় গতকালও চেম্বারে ছিলেন। তাঁর সাইনবোর্ডে আগের মতোই ‘ডা.’, এমবিবিএসসহ অন্যান্য ডিগ্রি লেখা দেখা গেছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা সিভিল সার্জন আবু তৈয়ব বলেন, ‘পত্রিকার প্রতিবেদন ও আমাদের অভিযানের কারণে অনেকে ডিগ্রি মুছে ফেলছেন। তবে ডিগ্রি মুছে “ডাক্তার” লিখলেও আমরা তাঁদের শাস্তির আওতায় আনব।’

No comments

Powered by Blogger.