বাংলাদেশ কি প্রস্তুত? by মেহেরুন নেছা রুমা
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। প্রায় প্রতি বছরই এ দেশে বন্যা, খরা, জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যায়। একটি দুর্যোগের ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আর একটির কবলে পড়তে হয় বাংলাদেশকে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের দিক থেকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। আসন্ন সেই দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত সেই প্রশ্নটা সবার
মনে উদয় হওয়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি দেশের রাজধানীসহ সারাদেশে তীব্র মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে সারাদেশের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। রাজধানীর বড় ভবনগুলো থেকে মানুষ জীবন রক্ষার্থে দৌড়ে নেমে আসে। অনেকেই তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন, ভূমিকম্পের এমন তীব্রতা এর আগে কেউ কোনোদিন দেখেনি। উৎপত্তিস্থলে রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৮। রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি স্থানে এই ভূমিকম্পের ফলে অনেক ভবনে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে এর আগেও বেশ কয়েকবার স্বল্প থেকে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের মৃদু ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস।
ভূমিকম্প এবং তার পরবর্তী সময়টা কীভাবে মোকাবেলা করবে তার জন্য কি যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে বাংলাদেশের? শুধু রাজধানীতেই যে পরিমাণ দালানকোঠা রয়েছে এবং গাছপালা উজাড় করে, খাল-নদী ভরাট করে যে পরিমাণ অবকাঠামো নির্মাণ হয়ে যাচ্ছে, সেগুলো ভূমিকম্প মোকাবেলায় সহনশীল নয়। দুর্যোগ মোকাবেলায় যে ফায়ার সার্ভিস এবং হাসপাতালের ওপর মানুষ নির্ভর করবে সেগুলো নিজেরাই নাকি ভূমিকম্পজনিত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। রাজধানীর বেগুনবাড়ীতে গত বছর একটা বাড়ি ভেঙে পড়ে কত হতাহতের ঘটনা ঘটল। তারপর সিটি করপোরেশন অবৈধ বাড়ি ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছিল, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। কিন্তু সেই উদ্যোগ এখন কোথায় গেল? এরপরও আরও কয়েকটি বাড়ি হেলে পড়া এবং ফাটল ধরার মতো ঘটনা ঘটেছে। একটি অবৈধ বাড়িও কি তারা ভাঙতে পেরেছিল? বাংলাদেশে ঘন ঘন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা চিন্তা করে সরকারের উচিত এখনি একটি শক্তিশালী এবং অত্যাধুনিক ফায়ার সার্ভিসসহ আরও উদ্ধার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। সঙ্গে সঙ্গে এ ধরনের বিপর্যয়ের পর দেশে যাতে খাদ্য, চিকিৎসা সমস্যাসহ অন্য সমস্যাগুলো সহজেই মোকাবেলা করা যায় সেভাবে প্রস্তুত থাকা।
যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
ভূমিকম্প এবং তার পরবর্তী সময়টা কীভাবে মোকাবেলা করবে তার জন্য কি যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে বাংলাদেশের? শুধু রাজধানীতেই যে পরিমাণ দালানকোঠা রয়েছে এবং গাছপালা উজাড় করে, খাল-নদী ভরাট করে যে পরিমাণ অবকাঠামো নির্মাণ হয়ে যাচ্ছে, সেগুলো ভূমিকম্প মোকাবেলায় সহনশীল নয়। দুর্যোগ মোকাবেলায় যে ফায়ার সার্ভিস এবং হাসপাতালের ওপর মানুষ নির্ভর করবে সেগুলো নিজেরাই নাকি ভূমিকম্পজনিত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। রাজধানীর বেগুনবাড়ীতে গত বছর একটা বাড়ি ভেঙে পড়ে কত হতাহতের ঘটনা ঘটল। তারপর সিটি করপোরেশন অবৈধ বাড়ি ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছিল, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। কিন্তু সেই উদ্যোগ এখন কোথায় গেল? এরপরও আরও কয়েকটি বাড়ি হেলে পড়া এবং ফাটল ধরার মতো ঘটনা ঘটেছে। একটি অবৈধ বাড়িও কি তারা ভাঙতে পেরেছিল? বাংলাদেশে ঘন ঘন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা চিন্তা করে সরকারের উচিত এখনি একটি শক্তিশালী এবং অত্যাধুনিক ফায়ার সার্ভিসসহ আরও উদ্ধার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। সঙ্গে সঙ্গে এ ধরনের বিপর্যয়ের পর দেশে যাতে খাদ্য, চিকিৎসা সমস্যাসহ অন্য সমস্যাগুলো সহজেই মোকাবেলা করা যায় সেভাবে প্রস্তুত থাকা।
যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
No comments