চার দলের চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ ৮ জানুয়ারি শুরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে চারদলীয় জোটের রোডমার্চ আগামী ৮ জানুয়ারি শুরু হবে। ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রামে খালেদা জিয়ার জনসভার মধ্য দিয়ে এই রোডমার্চ শেষ হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের দলীয় নেতাদের সঙ্গে রোডমার্চের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকের একপর্যায়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার সাংবাদিকদের এ কর্মসূচি
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের দলীয় নেতাদের সঙ্গে রোডমার্চের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকের একপর্যায়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার সাংবাদিকদের এ কর্মসূচি
জানান। তিনি চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ প্রস্তুতি কমিটির প্রধান সমন্বয়ক। এম কে আনোয়ার জানান, রোডমার্চে দুটি পথসভা ও দুটি জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা থেকে ৮ জানুয়ারি সকাল ১০টায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে রোডমার্চ শুরু হবে। প্রথম পথসভা হবে কুমিল্লার চান্দিনায়। এরপর কুমিল্লা সদরে দ্বিতীয় পথসভায় এবং বিকেলে ফেনীতে জনসভায় ভাষণ দেবেন খালেদা জিয়া। সেখান থেকে রাতে রোডমার্চ চট্টগ্রামে পৌঁছাবে। ৯ জানুয়ারি দুপুরে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় জনসভায় ভাষণ দেবেন বিএনপির চেয়ারপারসন। এর মধ্য দিয়ে চতুর্থ রোডমার্চ শেষ হবে। তিনি জানান, চট্টগ্রামে কোথায় জনসভা হবে, তা চূড়ান্ত হয়নি।
তবে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘৯ তারিখ বিকেলে আমরা চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামে অথবা পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসভা করার চেষ্টা করব।’
চার দল প্রথম রোডমার্চ করে সিলেট অভিমুখে ১০ অক্টোবর। এরপর উত্তরাঞ্চল অভিমুখে দ্বিতীয় এবং খুলনা অভিমুখে তৃতীয় রোডমার্চ করে।
বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
‘বিএনপি নিষিদ্ধ দল নয় যে গুপ্ত হামলা চালাবে’: এর আগে গুলশানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল দাবি করেন, রোববার মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার দিনে সংঘটিত ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে সরকারের দেওয়া বক্তব্য ও গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো কল্পকাহিনি ছাড়া কিছুই নয়। ওই ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অভিযোগ করেন, বিএনপির চলমান আন্দোলন কর্মসূচি ও ঢাকা চল কর্মসূচি ভণ্ডুল করতেই সরকার সুপরিকল্পিতভাবে রোববার ঢাকাসহ সারা দেশে এ ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, বিএনপি কোনো নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল নয় যে তারা গুপ্ত হামলা চালাবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ওই সব ঘটনায় মামলা করে সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহার, নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে এবং হয়রানি না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আগামীতে বিএনপি ঢাকায় যে বৃহৎ কর্মসূচি দেবে, তা ভণ্ডুল করতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এই ঘটনা রিহার্সাল মাত্র।’
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি কখনো আওয়ামী লীগের মতো চোরাগোপ্তা পথ অনুসরণ করে না। ভবিষ্যতে ঘোষণা দিয়েই কর্মসূচি করবে বিএনপি।
পুলিশের বক্তব্য: মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের মুখপাত্র ও গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, রোববার ঢাকায় পুলিশের ওপর হামলা ও অরাজকতা সৃষ্টির সময় যাঁদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পুলিশ কথা বলছে, কাজ করছে। তাঁদের কাছ থেকে এ ঘটনার কয়েকজন পরিকল্পনাকারীর নাম এসেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে।
তবে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘৯ তারিখ বিকেলে আমরা চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামে অথবা পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসভা করার চেষ্টা করব।’
চার দল প্রথম রোডমার্চ করে সিলেট অভিমুখে ১০ অক্টোবর। এরপর উত্তরাঞ্চল অভিমুখে দ্বিতীয় এবং খুলনা অভিমুখে তৃতীয় রোডমার্চ করে।
বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
‘বিএনপি নিষিদ্ধ দল নয় যে গুপ্ত হামলা চালাবে’: এর আগে গুলশানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল দাবি করেন, রোববার মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার দিনে সংঘটিত ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে সরকারের দেওয়া বক্তব্য ও গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো কল্পকাহিনি ছাড়া কিছুই নয়। ওই ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অভিযোগ করেন, বিএনপির চলমান আন্দোলন কর্মসূচি ও ঢাকা চল কর্মসূচি ভণ্ডুল করতেই সরকার সুপরিকল্পিতভাবে রোববার ঢাকাসহ সারা দেশে এ ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, বিএনপি কোনো নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল নয় যে তারা গুপ্ত হামলা চালাবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ওই সব ঘটনায় মামলা করে সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহার, নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে এবং হয়রানি না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আগামীতে বিএনপি ঢাকায় যে বৃহৎ কর্মসূচি দেবে, তা ভণ্ডুল করতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এই ঘটনা রিহার্সাল মাত্র।’
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি কখনো আওয়ামী লীগের মতো চোরাগোপ্তা পথ অনুসরণ করে না। ভবিষ্যতে ঘোষণা দিয়েই কর্মসূচি করবে বিএনপি।
পুলিশের বক্তব্য: মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের মুখপাত্র ও গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, রোববার ঢাকায় পুলিশের ওপর হামলা ও অরাজকতা সৃষ্টির সময় যাঁদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পুলিশ কথা বলছে, কাজ করছে। তাঁদের কাছ থেকে এ ঘটনার কয়েকজন পরিকল্পনাকারীর নাম এসেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে।
No comments