পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
দেশের যেসব পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে, সেসব পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘পণ্য উৎপাদনের সময় আপনাদের অবশ্যই এর গুণগত মানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’ গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পঞ্চম ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) মেলার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি
ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) পাঁচ দিনের এই মেলার আয়োজন করেছে। খবর ইউএবির। এফবিসিসিআই ২০০২ সালে প্রথম এসএমই মেলার আয়োজন করে। এরপর ২০০৫, ২০০৬ ও ২০০৯ সালেও এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের মেলার প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘একই সঙ্গে এসএমই ও জাতীর অগ্রগতি’।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুনাফা লাভের জন্য বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করা ঠিক না। এ ধরনের মনোভাব দেশের বাজার নষ্ট করতে পারে। এতে দেশেরই ক্ষতি হয়।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন কারণেই কয়েক বছর আগে ইউরোপের বাজারে চিংড়ি রপ্তানি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, বাজার উদ্ধার করতে তখন দীর্ঘ প্রচেষ্টা চালাতে হয়েছে। তাই পণ্যের গুণগত মানের সঙ্গে কোনো আপস করা যাবে না।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে ব্যবসায়ীদের পণ্যের গুণগত মান এবং মূল্য দুই দিক থেকেই প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে হবে। ব্যবসায়ীরা যদি সততার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করেন, তাহলে সরকার তাদের সব ধরনের সহায়তা দেবে।
প্রধানমন্ত্রী ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের সমালোচনারও জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বর্তমান সময় বেশ সমালোচনা হচ্ছে এবং বলা হচ্ছে, এটা দেশের অর্থনীতির জন্য খারাপ। সরকার যদি এই টাকা ভোগ-বিলাসিতায় ব্যয় করত, তাহলে তা খারাপ হতো। আমরা তো সেটা করছি না। আমরা এই অর্থ দেশের উন্নয়নে ব্যয় করছি। তাহলে সমস্যা কোথায়?’
দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকার সাতটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) স্থাপন করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জমি পেলে আরও অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হবে। এসএমই পণ্য দেশের বাইরে তুলে ধরতে সরকার সহায়তা করবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া ও বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সহসভাপতি জসিম উদ্দিন ও মোস্তফা আজাদ চৌধুরী।
পরে প্রধানমন্ত্রী মেলা প্রাঙ্গণে কয়েকটি স্টল ঘুরে দেখেন।
এবারের এসএমই মেলায় সব মিলিয়ে ১৩১টি স্টল ও ১৯টি প্যাভিলিয়ন থাকছে। এর মধ্যে ৬৪টি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ও ৩৪টি ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
প্লাস্টিক, আসবাবপত্র, বস্ত্র, হস্তজাত শিল্প, পাটপণ্য, বৈদ্যুতিক তার, জেনারেটর, খাদ্য, তৈজসপত্র, শাড়ি, লুঙ্গি, বিস্কুট, সিরামিক, হালকা প্রকৌশল, রেফ্রিজারেশন, ছাপার কালি, স্প্রিং ও ফিল্টার, সেনেটারি সামগ্রী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হোমিওপ্যাথিক ও আয়ুর্বেদিক, সফটওয়্যার, কলসেন্টার, পর্যটনসহ বিভিন্ন এসএমই প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নিচ্ছে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত এ মেলা চলবে। মেলায় কোনো প্রবেশমূল্য রাখা হয়নি।
মেলার শেষ দিনে ২৪ ডিসেম্বর শনিবার রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সফল এসএমই উদ্যোক্তাদের এসএমই পদক দেবেন। এ ছাড়া মেলা চলাকালে তিনটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুনাফা লাভের জন্য বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করা ঠিক না। এ ধরনের মনোভাব দেশের বাজার নষ্ট করতে পারে। এতে দেশেরই ক্ষতি হয়।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন কারণেই কয়েক বছর আগে ইউরোপের বাজারে চিংড়ি রপ্তানি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, বাজার উদ্ধার করতে তখন দীর্ঘ প্রচেষ্টা চালাতে হয়েছে। তাই পণ্যের গুণগত মানের সঙ্গে কোনো আপস করা যাবে না।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে ব্যবসায়ীদের পণ্যের গুণগত মান এবং মূল্য দুই দিক থেকেই প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে হবে। ব্যবসায়ীরা যদি সততার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করেন, তাহলে সরকার তাদের সব ধরনের সহায়তা দেবে।
প্রধানমন্ত্রী ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের সমালোচনারও জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বর্তমান সময় বেশ সমালোচনা হচ্ছে এবং বলা হচ্ছে, এটা দেশের অর্থনীতির জন্য খারাপ। সরকার যদি এই টাকা ভোগ-বিলাসিতায় ব্যয় করত, তাহলে তা খারাপ হতো। আমরা তো সেটা করছি না। আমরা এই অর্থ দেশের উন্নয়নে ব্যয় করছি। তাহলে সমস্যা কোথায়?’
দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকার সাতটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) স্থাপন করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জমি পেলে আরও অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হবে। এসএমই পণ্য দেশের বাইরে তুলে ধরতে সরকার সহায়তা করবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া ও বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সহসভাপতি জসিম উদ্দিন ও মোস্তফা আজাদ চৌধুরী।
পরে প্রধানমন্ত্রী মেলা প্রাঙ্গণে কয়েকটি স্টল ঘুরে দেখেন।
এবারের এসএমই মেলায় সব মিলিয়ে ১৩১টি স্টল ও ১৯টি প্যাভিলিয়ন থাকছে। এর মধ্যে ৬৪টি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ও ৩৪টি ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
প্লাস্টিক, আসবাবপত্র, বস্ত্র, হস্তজাত শিল্প, পাটপণ্য, বৈদ্যুতিক তার, জেনারেটর, খাদ্য, তৈজসপত্র, শাড়ি, লুঙ্গি, বিস্কুট, সিরামিক, হালকা প্রকৌশল, রেফ্রিজারেশন, ছাপার কালি, স্প্রিং ও ফিল্টার, সেনেটারি সামগ্রী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হোমিওপ্যাথিক ও আয়ুর্বেদিক, সফটওয়্যার, কলসেন্টার, পর্যটনসহ বিভিন্ন এসএমই প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নিচ্ছে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত এ মেলা চলবে। মেলায় কোনো প্রবেশমূল্য রাখা হয়নি।
মেলার শেষ দিনে ২৪ ডিসেম্বর শনিবার রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সফল এসএমই উদ্যোক্তাদের এসএমই পদক দেবেন। এ ছাড়া মেলা চলাকালে তিনটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
No comments