এক বছরে অপরাধ বেড়েছে ১৭ ভাগ-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাব by শাহেদ চৌধুরী ও সজল জাহিদ
দেশে সার্বিক অপরাধের সংখ্যা অন্তত ১৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক হিসাবেই ২০০৯-১০ অর্থবছরের সঙ্গে ২০১০-১১ অর্থবছরের তুলনা করে অপরাধ বৃদ্ধির এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আট ধরনের অপরাধের হিসাব দেওয়া হয়েছে, যেখানে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, অগি্নসংযোগ এবং রাহাজানির সংখ্যা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কিছুটা হলেও কমেছে খুন, এসিড নিক্ষেপ, ডাকাতি এবং অস্ত্র বা
বিস্ফোরক সংক্রান্ত অপরাধ। তবে অপরাধ বৃদ্ধির হিসাবকে মোটেই উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংগৃহীত এসব তথ্য ২০১০-১১ অর্থবছরে সরকারের কার্যাবলি সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদনের সারাংশ হিসেবে গৃহীত হয়। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলেন, এটি অপরাধের প্রকৃত চিত্র নয়। কেবল থানা পুলিশের কাছে অপরাধের যেসব হিসাব রয়েছে তার বাইরে এখানে আর কোনো তথ্যই নেই। তা ছাড়া অপরাধের সংখ্যা যাতে কম হয়েছে বলে দেখানো যায় সে কারণে অনেক ক্ষেত্রে ছোটখাটো অনেক অপরাধ আমলে না নেওয়ার রীতিও চালু হয়ে গেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে।
তা ছাড়া অপরাধ হিসেবে চুরি, ছিনতাই এবং দস্যুতার সংখ্যা অনেক বেশি হলেও সরকারি হিসাবে এটি অন্তর্ভুক্ত হয়নি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুলিশের থানা বা জেলা পর্যায়েও এই তিনটিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে তার হিসাব সংরক্ষণ করা হয়। এ প্রতিবেদনের কোনো তথ্য সম্পর্কে মন্তব্য করতে রাজি হননি স্বরাষ্ট্র সচিব মনজুর হোসেন। তিনি বলেন, যে তথ্য প্রকাশিত নয় সেটি নিয়ে কথা বলতে রাজি নন তিনি। অন্যদিকে পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদও এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, কেবল এই আটটি ভাগে অপরাধ হয় না। অপরাধের আরও অনেক বিশ্লেষণমূলক হিসাব রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই হিসাবে দেখা গেছে, ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১০ সালের জুন পর্যন্ত দেশে মোট অপরাধের সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ৮৪১টি। আর শেষ হওয়া অর্থবছরে এ অপরাধের সংখ্যা ৪ হাজার ২১৯টি বৃদ্ধি পেয়ে ২৯ হাজার ৬০টিতে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে শেষ হওয়া অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে নারী নির্যাতনের সংখ্যা। ২০০৯-১০ অর্থবছরে যেখানে নারী নির্যাতনের সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৫২৫টি, শেষ হওয়া অর্থবছরে তা ৩১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৮১১টিতে। একই সময়ে ধর্ষণের সংখ্যা ৩৭৫টি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের বছর যেখানে সাকল্যে ৩ হাজার ৮৪টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, এ বছর তা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৫৯টিতে। এ হিসাব বলছে, এখন প্রতি দু'দিনে অন্তত ১৯টি ধর্ষণের ঘটনা সরকারের খাতায় অভিযোগ হিসাবে লিপিবদ্ধ হচ্ছে। এর বাইরে অগি্নসংযোগের ঘটনা ৪১২টি থেকে বেড়ে ২০১০-১১ অর্থবছরে ৪৬৬টিতে উন্নীত হয়েছে। রাহাজানির সংখ্যা ৪০টি বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৮০টিতে এসে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে সর্বশেষ অর্থবছরে আগের অর্থবছরের তুলনায় খুনের ঘটনা ১৬৪টি কম হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে যেখানে ৪ হাজার ৬৩টি খুনের ঘটনা সরকারের হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়, এবার তা নেমে এসেছে ৩ হাজার ৮৯৯টিতে। অস্ত্র বা বিস্ফোরক সংক্রান্ত অপরাধও আগের তুলনায় ৩২৭টি কমে ১ হাজার ৬৪১টিতে দাঁড়িয়েছে বলে তথ্যে বলা হয়। এর বাইরে ডাকাতি ৩৪টি কমে ৬১৯টিতে দাঁড়িয়েছে। আর আগের অর্থবছরে ৯৬টি এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটলেও সর্বশেষ অর্থবছরে তা ১১টি কমে দাঁড়িয়েছে ৮৫টিতে। এ চার ধরনের অপরাধকে প্রতিবেদনে জন-অনুভূতিসম্পন্ন অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিবেদনের নোটে বলা হয়েছে, খুন, ডাকাতি, এসিড নিক্ষেপ এবং অস্ত্র বা বিস্ফোরক সংক্রান্ত অপরাধ কমেছে, যার ফলে জন-অনুভূতি বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কাও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, অপরাধের সংখ্যা কম দেখাতে অনেক ক্ষেত্রে কৌশলের আশ্রয় নেয় পুলিশ। সেক্ষেত্রে কেউ ডাকাতির অভিযোগ নিয়ে গেলেও সেটিকে চুরি হিসেবে গণ্য করা বা মামলা করতে গেলে সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নথিবদ্ধ করার অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়। এতে বছর শেষে অপরাধের সংখ্যা অনেক কম দেখানো যায়।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এসএম শাহজাহান এ বিষয়ে বলেন, এটি পুলিশের ক্ষেত্রে নতুন কোনো অভিযোগ নয়। বহুকাল আগে থেকেই এভাবে পুলিশ দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। অনেক ক্ষেত্রে তদন্তে অনীহা বা গাড়ি এবং অন্যান্য সুবিধার সীমাবদ্ধতার কারণে এমন ঘটনা ঘটে থাকে বলে জানা যায়।
অপরাধের এ তথ্য সম্পর্কে পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ সমকালকে বলেন, যেহেতু এ তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তৈরি করা হয়েছে সে কারণে এখানে পুলিশের তথ্যের বাইরেও অন্য কারও হিসাব থাকতে পারে। সে কারণে কেবল তাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া ঠিক নয়।
এসএম শাহজাহান আরও বলেন, খুনের ঘটনা কমা যেমন ইতিবাচক, তেমনি অপরাধের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া সব সময় নেতিবাচক নয়। তিনি বলেন, দেশে থানা-পুলিশের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। সে কারণে অপরাধ সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তারা অপরাধ সম্পর্কে পুলিশকে আগের চেয়ে বেশি জানাচ্ছে। তবে চুরি এবং ছিনতাইকে অপরাধ হিসেবে গণ্য না করাকে স্বাভাবিকভাবে নেননি তিনি।
প্রতিবেদনের কারাবন্দি অংশেও উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরে যেখানে ৭৬ হাজার ১০৫ হাজতি ছিল, সর্বশেষ অর্থবছরে তা ৬ হাজার ৪০৪ জন কমে ৬৯ হাজার ৭০১ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে ২৬ অক্টোবর জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন দেশের ৬৭টি কারাগারে মোট ৭৪ হাজার ৮৮৩ বন্দি আছে বলে জানান। একই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী আরও জানান, কারাগারগুলোয় সব মিলিয়ে ২৯ হাজার ৪৫০ বন্দির ধারণক্ষমতা রয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আগের বছর সীমান্তে পাঁচটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও ২০১০-১১ সময়ে একটিও ঘটেনি। একইভাবে আগের বছর সীমান্তে দেশের ৬৪ সাধারণ নাগরিক নিহত হলেও পরের বছর তা নেমে আসে পাঁচজনে।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংগৃহীত এসব তথ্য ২০১০-১১ অর্থবছরে সরকারের কার্যাবলি সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদনের সারাংশ হিসেবে গৃহীত হয়। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলেন, এটি অপরাধের প্রকৃত চিত্র নয়। কেবল থানা পুলিশের কাছে অপরাধের যেসব হিসাব রয়েছে তার বাইরে এখানে আর কোনো তথ্যই নেই। তা ছাড়া অপরাধের সংখ্যা যাতে কম হয়েছে বলে দেখানো যায় সে কারণে অনেক ক্ষেত্রে ছোটখাটো অনেক অপরাধ আমলে না নেওয়ার রীতিও চালু হয়ে গেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে।
তা ছাড়া অপরাধ হিসেবে চুরি, ছিনতাই এবং দস্যুতার সংখ্যা অনেক বেশি হলেও সরকারি হিসাবে এটি অন্তর্ভুক্ত হয়নি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুলিশের থানা বা জেলা পর্যায়েও এই তিনটিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে তার হিসাব সংরক্ষণ করা হয়। এ প্রতিবেদনের কোনো তথ্য সম্পর্কে মন্তব্য করতে রাজি হননি স্বরাষ্ট্র সচিব মনজুর হোসেন। তিনি বলেন, যে তথ্য প্রকাশিত নয় সেটি নিয়ে কথা বলতে রাজি নন তিনি। অন্যদিকে পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদও এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, কেবল এই আটটি ভাগে অপরাধ হয় না। অপরাধের আরও অনেক বিশ্লেষণমূলক হিসাব রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই হিসাবে দেখা গেছে, ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১০ সালের জুন পর্যন্ত দেশে মোট অপরাধের সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ৮৪১টি। আর শেষ হওয়া অর্থবছরে এ অপরাধের সংখ্যা ৪ হাজার ২১৯টি বৃদ্ধি পেয়ে ২৯ হাজার ৬০টিতে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে শেষ হওয়া অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে নারী নির্যাতনের সংখ্যা। ২০০৯-১০ অর্থবছরে যেখানে নারী নির্যাতনের সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৫২৫টি, শেষ হওয়া অর্থবছরে তা ৩১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৮১১টিতে। একই সময়ে ধর্ষণের সংখ্যা ৩৭৫টি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের বছর যেখানে সাকল্যে ৩ হাজার ৮৪টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, এ বছর তা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৫৯টিতে। এ হিসাব বলছে, এখন প্রতি দু'দিনে অন্তত ১৯টি ধর্ষণের ঘটনা সরকারের খাতায় অভিযোগ হিসাবে লিপিবদ্ধ হচ্ছে। এর বাইরে অগি্নসংযোগের ঘটনা ৪১২টি থেকে বেড়ে ২০১০-১১ অর্থবছরে ৪৬৬টিতে উন্নীত হয়েছে। রাহাজানির সংখ্যা ৪০টি বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৮০টিতে এসে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে সর্বশেষ অর্থবছরে আগের অর্থবছরের তুলনায় খুনের ঘটনা ১৬৪টি কম হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে যেখানে ৪ হাজার ৬৩টি খুনের ঘটনা সরকারের হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়, এবার তা নেমে এসেছে ৩ হাজার ৮৯৯টিতে। অস্ত্র বা বিস্ফোরক সংক্রান্ত অপরাধও আগের তুলনায় ৩২৭টি কমে ১ হাজার ৬৪১টিতে দাঁড়িয়েছে বলে তথ্যে বলা হয়। এর বাইরে ডাকাতি ৩৪টি কমে ৬১৯টিতে দাঁড়িয়েছে। আর আগের অর্থবছরে ৯৬টি এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটলেও সর্বশেষ অর্থবছরে তা ১১টি কমে দাঁড়িয়েছে ৮৫টিতে। এ চার ধরনের অপরাধকে প্রতিবেদনে জন-অনুভূতিসম্পন্ন অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিবেদনের নোটে বলা হয়েছে, খুন, ডাকাতি, এসিড নিক্ষেপ এবং অস্ত্র বা বিস্ফোরক সংক্রান্ত অপরাধ কমেছে, যার ফলে জন-অনুভূতি বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কাও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, অপরাধের সংখ্যা কম দেখাতে অনেক ক্ষেত্রে কৌশলের আশ্রয় নেয় পুলিশ। সেক্ষেত্রে কেউ ডাকাতির অভিযোগ নিয়ে গেলেও সেটিকে চুরি হিসেবে গণ্য করা বা মামলা করতে গেলে সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নথিবদ্ধ করার অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়। এতে বছর শেষে অপরাধের সংখ্যা অনেক কম দেখানো যায়।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এসএম শাহজাহান এ বিষয়ে বলেন, এটি পুলিশের ক্ষেত্রে নতুন কোনো অভিযোগ নয়। বহুকাল আগে থেকেই এভাবে পুলিশ দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। অনেক ক্ষেত্রে তদন্তে অনীহা বা গাড়ি এবং অন্যান্য সুবিধার সীমাবদ্ধতার কারণে এমন ঘটনা ঘটে থাকে বলে জানা যায়।
অপরাধের এ তথ্য সম্পর্কে পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ সমকালকে বলেন, যেহেতু এ তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তৈরি করা হয়েছে সে কারণে এখানে পুলিশের তথ্যের বাইরেও অন্য কারও হিসাব থাকতে পারে। সে কারণে কেবল তাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া ঠিক নয়।
এসএম শাহজাহান আরও বলেন, খুনের ঘটনা কমা যেমন ইতিবাচক, তেমনি অপরাধের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া সব সময় নেতিবাচক নয়। তিনি বলেন, দেশে থানা-পুলিশের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। সে কারণে অপরাধ সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তারা অপরাধ সম্পর্কে পুলিশকে আগের চেয়ে বেশি জানাচ্ছে। তবে চুরি এবং ছিনতাইকে অপরাধ হিসেবে গণ্য না করাকে স্বাভাবিকভাবে নেননি তিনি।
প্রতিবেদনের কারাবন্দি অংশেও উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরে যেখানে ৭৬ হাজার ১০৫ হাজতি ছিল, সর্বশেষ অর্থবছরে তা ৬ হাজার ৪০৪ জন কমে ৬৯ হাজার ৭০১ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে ২৬ অক্টোবর জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন দেশের ৬৭টি কারাগারে মোট ৭৪ হাজার ৮৮৩ বন্দি আছে বলে জানান। একই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী আরও জানান, কারাগারগুলোয় সব মিলিয়ে ২৯ হাজার ৪৫০ বন্দির ধারণক্ষমতা রয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আগের বছর সীমান্তে পাঁচটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও ২০১০-১১ সময়ে একটিও ঘটেনি। একইভাবে আগের বছর সীমান্তে দেশের ৬৪ সাধারণ নাগরিক নিহত হলেও পরের বছর তা নেমে আসে পাঁচজনে।
No comments