ইলিয়েভস্কি অধ্যায়ও শেষ!

জাতীয় দল ব্যর্থ হয়েছে, বিদায় দাও কোচকে। এই ধারা থেকে আর বেরোতে পারল না বাংলাদেশের ফুটবল। বাফুফের সৌজন্যে কোচ বিদায় চলছেই। ক্রুসিয়ানি, ডিডো, জর্জেভিচ, রবার্ট রুবচিচের পথ ধরে এবার নিকোলা ইলিয়েভস্কি। সাফ ব্যর্থতার দায়ে মেসিডোনিয়ান কোচ চাকরি হারিয়েছেন। গতকাল এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজই সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ দল সাফের গ্রুপ পর্যায় থেকে লজ্জাজনক বিদায়


নিয়েছে কদিন আগে। কোচের দল পরিচালনা নিয়ে সমালোচনা ছিল। একটা একাদশই তিনি দাঁড় করাতে পারেননি, সবচেয়ে বড় অভিযোগ এটাই। তবে সাফ নিয়ে বাফুফের পরিকল্পনা কতটা সুদূরপ্রসারী ছিল—প্রশ্ন থেকেই যায়। এবং সেসব নিয়ে বাফুফে বা জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি কখনো জবাবদিহি করেছে বলে শোনা যায়নি।
এটা জানাই, ফুটবল কোচদের চাকরি হারানোর জন্য তৈরিই থাকতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশে বিচিত্র সব কারণে কোচ বিদায় নেন অথবা বিদায় দেওয়া হয়। খুব বেশি পেছনে যাওয়ার দরকার নেই। দল নির্বাচনে হস্তক্ষেপ পছন্দ করেননি বলে ডিডো প্রতিবাদ করেছিলেন। তাঁর চাকরি চলে গেছে এরপর। জর্জেভিচ এসএ গেমসে দলকে সোনা জিতিয়ে বেশি বেতন চেয়ে বিদায় নিয়েছেন। রুবচিচ কয়েক মাস কার্যত কাজবিহীন থেকে পরে নিজেই পালিয়ে গেছেন।
গত ২৪ জুন এক বছরের চুক্তিতে ঢাকা এসেছিলেন ইলিয়েভস্কি। প্রায় ৬ মাস টিকতে পারলেন ভদ্রলোক। জানা গেছে, গত কয়েক দিন বাফুফের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আলোচনা করেছেন ইলিয়েভস্কির সঙ্গে। তারপর দ্বিপক্ষীয় সমঝোতায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোচ আজ রাত নয়টায় ফিরে যাবেন। দুপুরে সংবাদ সম্মেলনেও উপস্থিত থাকবেন।
কোচ এ নিয়ে কাল রাতে কিছু বলতে রাজি হননি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছেন, বাফুফের মতিগতি দেখে কোচ নিজেও বিদায় মেনে নিয়েছেন। আগামী কয়েক মাস খেলা নেই, জাতীয় দল নিয়ে বাফুফের কোনো পরিকল্পনাও নেই, কাজেই থেকে লাভ কী—কোচের চিন্তাভাবনা এমনই। আসলেই তাই, বাফুফে কোচ তাড়ানো ছাড়া জাতীয় দল নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো ‘রোডম্যাপ’ করেছে বলে তো শোনা যায়নি!
কোচ বিদায়ের ব্যাপারটা কাল গোপন রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন বাফুফের কর্তারা। তাঁরা মুঠোফোন বন্ধ করে রেখেছেন। অথবা খোলা রাখলেও ফোন ধরেননি। এমনকি তাঁদের যোগ্য কর্মীরাও মুঠোফোন বন্ধ রেখেছেন। যেন ব্যাপারটা কেউ জেনে গেলে বাংলাদেশের ফুটবলের বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে!

No comments

Powered by Blogger.