ভাগ্যবান সবাই ক্ষমতাসীন দলের! by আজাদ রহমান
দরপত্রের লটারিতে তাঁরা সবাই ভাগ্যবান। তাঁরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যুক্ত। এলজিইডির ১৭ গ্রুপের প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকার কাজের লটারি হয়েছে, যার সবগুলোই পেয়েছেন তাঁরা। আর বঞ্চিতরা সাধারণ ঠিকাদার।
সাধারণ ঠিকাদারদের অভিযোগ, লটারির নামে প্রহসন হয়েছে। তাঁদের কাউকে অফিসের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ক্ষমতাসীন দলের লোকজন নিজেরাই লটারির ঘুঁটি তুলে নিজেদের নাম ঘোষণা করেছেন। সেখানে একজন নির্বাহী
সাধারণ ঠিকাদারদের অভিযোগ, লটারির নামে প্রহসন হয়েছে। তাঁদের কাউকে অফিসের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ক্ষমতাসীন দলের লোকজন নিজেরাই লটারির ঘুঁটি তুলে নিজেদের নাম ঘোষণা করেছেন। সেখানে একজন নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকলেও তাঁর উপস্থিতিতে দরজা বন্ধ করে লটারি করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহের ছয়টি উপজেলার ১৭টি রাস্তা নির্মাণকাজের জন্য গত অক্টোবরে দরপত্র আহবান করা হয়। ছয় কোটি ৫১ লাখ ২৩ হাজার ৮২০ টাকার কাজের এই দরপত্র আহ্বান করেন এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। ১৬ নভেম্বর ছিল দরপত্র দাখিলের শেষ দিন।
এলজিইডির একটি সূত্র জানায়, ১৭ গ্রুপের কাজে নয় শতাধিক শিডিউল বিক্রি হয়েছে। এ থেকে আয় হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ঠিকাদার জানান, তাঁরা আশা করেছিলেন সুষ্ঠু লটারি হবে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সব কাজ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতে নতুন এক কৌশল করেন। গত রোববার তাঁরা হঠাৎ জানতে পারেন, এক মাস আগে জমা হওয়া দরপত্রের লটারি হচ্ছে। খবর পেয়ে তাঁরা এলজিইডি কার্যালয়ে ছুটে যান।
ঠিকাদারেরা বলেন, এলজিইডি কার্যালয়ে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান, কার্যালয়ের একটি কক্ষে লটারি করা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে কোনো সাধারণ ঠিকাদারকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা উপস্থিত থেকে লটারি সম্পন্ন করেছেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে তাঁরা জানতে পারেন, লটারিতে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সব কাজ পেয়েছেন।
লটারি কক্ষের ভেতরে উপস্থিত ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতার বরাত দিয়ে একজন ঠিকাদার বলেন, লটারিতে যে ঘুঁটিই হাতে উঠুক না কেন, ঘোষণা করা হয়েছে আগে ঠিক করে রাখা নাম।
সূত্রমতে, লটারিতে ঝিনাইদহ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী কামাল আহম্মেদ তিনটি কাজ পেয়েছেন। এ ছাড়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক কনক কান্তি দাসের ভাইয়ের প্রতিষ্ঠান মেসার্স বৈশাখী ট্রেডার্স দুটি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমানের ছেলে রাশিদুর রহমানের মেসার্স রাশিদুর রহমান দুটি, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তৈয়ব আলী জোয়ার্দ্দারের প্রতিষ্ঠান মেসার্স তামান্না এন্টারপ্রাইজ দুটি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিমের প্রতিষ্ঠান মেসার্স সময় এন্টারপ্রাইজ দুটি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম পেয়েছেন একটি। শৈলকূপা উপজেলার দুটি কাজ পেয়েছে মেসার্স প্রমা ট্রেডার্স। যার নেপথ্যে রয়েছেন সরকারদলীয় একজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি।
একজন সাধারণ ঠিকাদার মন্তব্য করেন, এমন লটারি হয়েছে যে সৌভাগ্যবান সবাই ক্ষমতাসীন দলের নেতা। লটারিতে সাধারণের ভাগ্যে কিছুই মেলেনি।
লটারির সময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তৈয়ব আলী জোয়ার্দ্দার, ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম এবং সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান জেড এম রশিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে জেড এম রশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। লটারি সুষ্ঠু হয়েছে। সেখানে একজন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষমতাসীন দলের আরেকজন নেতা পাতানো লটারির কথা স্বীকার করে বলেন, দীর্ঘদিন তাঁরা কোনো কাজ পাচ্ছিলেন না। এ কারণে তাঁরা সবাইকে নিয়ে একটু কৌশল করে কাজগুলো নিয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে খবর না লেখার অনুরোধ করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, স্বচ্ছ লটারি হয়েছে, তাঁর সামনেই এটা হয়েছে। লটারিতে অনিয়ম হয়েছে বা লটারির স্থানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি—এমন অভিযোগ কেউ করেনি। তাঁর দাবি, যেহেতু তাঁর সামনেই লটারি হয়েছে, সেহেতু স্বচ্ছ হয়েছে।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, লটারির সময় তিনিও উপস্থিত ছিলেন। তাঁর কাছেও কেউ অনিয়মের অভিযোগ করেনি।
এলজিইডির একটি সূত্র জানায়, ১৭ গ্রুপের কাজে নয় শতাধিক শিডিউল বিক্রি হয়েছে। এ থেকে আয় হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ঠিকাদার জানান, তাঁরা আশা করেছিলেন সুষ্ঠু লটারি হবে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সব কাজ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতে নতুন এক কৌশল করেন। গত রোববার তাঁরা হঠাৎ জানতে পারেন, এক মাস আগে জমা হওয়া দরপত্রের লটারি হচ্ছে। খবর পেয়ে তাঁরা এলজিইডি কার্যালয়ে ছুটে যান।
ঠিকাদারেরা বলেন, এলজিইডি কার্যালয়ে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান, কার্যালয়ের একটি কক্ষে লটারি করা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে কোনো সাধারণ ঠিকাদারকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা উপস্থিত থেকে লটারি সম্পন্ন করেছেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে তাঁরা জানতে পারেন, লটারিতে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সব কাজ পেয়েছেন।
লটারি কক্ষের ভেতরে উপস্থিত ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতার বরাত দিয়ে একজন ঠিকাদার বলেন, লটারিতে যে ঘুঁটিই হাতে উঠুক না কেন, ঘোষণা করা হয়েছে আগে ঠিক করে রাখা নাম।
সূত্রমতে, লটারিতে ঝিনাইদহ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী কামাল আহম্মেদ তিনটি কাজ পেয়েছেন। এ ছাড়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক কনক কান্তি দাসের ভাইয়ের প্রতিষ্ঠান মেসার্স বৈশাখী ট্রেডার্স দুটি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমানের ছেলে রাশিদুর রহমানের মেসার্স রাশিদুর রহমান দুটি, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তৈয়ব আলী জোয়ার্দ্দারের প্রতিষ্ঠান মেসার্স তামান্না এন্টারপ্রাইজ দুটি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিমের প্রতিষ্ঠান মেসার্স সময় এন্টারপ্রাইজ দুটি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম পেয়েছেন একটি। শৈলকূপা উপজেলার দুটি কাজ পেয়েছে মেসার্স প্রমা ট্রেডার্স। যার নেপথ্যে রয়েছেন সরকারদলীয় একজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি।
একজন সাধারণ ঠিকাদার মন্তব্য করেন, এমন লটারি হয়েছে যে সৌভাগ্যবান সবাই ক্ষমতাসীন দলের নেতা। লটারিতে সাধারণের ভাগ্যে কিছুই মেলেনি।
লটারির সময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তৈয়ব আলী জোয়ার্দ্দার, ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম এবং সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান জেড এম রশিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে জেড এম রশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। লটারি সুষ্ঠু হয়েছে। সেখানে একজন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষমতাসীন দলের আরেকজন নেতা পাতানো লটারির কথা স্বীকার করে বলেন, দীর্ঘদিন তাঁরা কোনো কাজ পাচ্ছিলেন না। এ কারণে তাঁরা সবাইকে নিয়ে একটু কৌশল করে কাজগুলো নিয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে খবর না লেখার অনুরোধ করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, স্বচ্ছ লটারি হয়েছে, তাঁর সামনেই এটা হয়েছে। লটারিতে অনিয়ম হয়েছে বা লটারির স্থানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি—এমন অভিযোগ কেউ করেনি। তাঁর দাবি, যেহেতু তাঁর সামনেই লটারি হয়েছে, সেহেতু স্বচ্ছ হয়েছে।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, লটারির সময় তিনিও উপস্থিত ছিলেন। তাঁর কাছেও কেউ অনিয়মের অভিযোগ করেনি।
No comments