তেজগাঁও রেলস্টেশন এলাকা-আধা কিলোমিটারে দুই শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী by ইন্দ্রজিৎ সরকার
তেজগাঁও রেলস্টেশন থেকে এফডিসি লেভেল ক্রসিং। রেলপথের এ অংশটুকুর দৈর্ঘ্য আধা কিলোমিটারের বেশি হবে না। এর দু'পাশে কারওয়ান বাজার বস্তির ছোট ছোট খুপরি ঘর। দেখতে আর পাঁচটা বস্তির মতো মনে হলেও এর পুরোটাই আসলে মাদক বেচাকেনার জমজমাট স্পট। দিনে-রাতে সমানভাবে গাঁজা, হেরোইন ও ইয়াবা বিক্রি হয় এখানে প্রকাশ্যেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই বস্তির বাসিন্দাদের মধ্যে দুইশ'রও বেশি লোক মাদক ব্যবসার সঙ্গে
জড়িত। তাদের বেশিরভাগই নারী। তেজগাঁও থানা পুলিশের সিভিল টিম তাদের কাছ থেকে নিয়মিত টাকা পায় বলে নির্বিঘ্নেই চলে এ ব্যবসা। মাঝেমধ্যে কারও সঙ্গে টাকা লেনদেন নিয়ে ঝামেলা হলেই শুধু তাকে আটক করা হয়। তাদের বেশিরভাগকেই আবার মোটা টাকার বিনিময়ে ছেড়েও দেওয়া হয়।
কারওয়ান বাজার রেলবস্তিতে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, সেখানে মাদক ব্যবসার নেতৃত্ব দিচ্ছেন অন্তত ১১ নারী-পুরুষ। এদের মধ্যে ছয়জনের নাম জানা গেছে। তারা হলো ইয়াবা বিক্রেতা তৌফিক, হেরোইন বিক্রেতা রুবেলের মা, গাঁজা বিক্রেতা মীনা, মাহমুদা, খুদি ও আমিনের বউ। তাদের কাছ থেকে কিনে খুচরা বিক্রি করে আরও ২০০ থেকে ২৫০ খুচরা বিক্রেতা। পুলিশের তথ্য অনুযায়ীও মাদক ব্যবসায়ীদের সংখ্যা প্রায় একই।
স্থানীয় একজন মাদক ব্যবসায়ী জানান, এ এলাকায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় গাঁজা। প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ কেজি গাঁজা বিক্রি হয়। খুচরা পর্যায়ে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকার পুরিয়া পাওয়া যায়। ইয়াবার কয়েকটি ক্যাটাগরির মধ্যে এখানে বিক্রি হয় 'চম্পা'। প্রতি পিস ৩০০ টাকা দরে দিনে ১০০ থেকে ১৫০ ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি হয়। হেরোইন বিক্রি হয় দিনে ২০০ থেকে ৩০০ পুরিয়া। প্রতি পুরিয়ার দাম ৭০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। তবে এখানকার হেরোইন ভেজাল মিশ্রিত বলেও তিনি জানান। সূত্র জানায়, তেজগাঁও থানা পুলিশের সিভিল টিমের একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও একজন কনস্টেবল রেললাইন বস্তি এলাকায় দায়িত্ব পালন করেন। প্রায় দু'মাস ধরে এ দায়িত্বে আছেন তেজগাঁও থানার এসআই আবদুল ওহাব ও এএসএম সায়েদ। তাদের প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দিতে হয় বলে জানালেন মাদক ব্যবসায়ীরা। এই অঙ্ক ব্যবসার পরিসর অনুযায়ী আলাদা। বড় ব্যবসায়ীরা এক হাজার টাকা করে দেন। অন্যদিকে খুচরা বিক্রেতারা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে দেন। বড় ব্যবসায়ীরা সাপ্তাহিক ছাড়াও পুলিশকে খুশি রাখতে নানা উপলক্ষে বাড়তি টাকা দেন। ফলে তাদের সঙ্গে পুলিশের ঝামেলা তেমন একটা হয় না। তবে খুচরা ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় তাদের কাছ থেকে নিয়মিত টাকা আদায় করা পুলিশের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। এভাবে যারা ফাঁকি দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে টাকা দেয় না, তাদের সামনে পেলেই আটক করে পুলিশ। তখন ছাড়াতে গেলে পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়। র্যাবও মাঝেমধ্যে সেখানে অভিযান চালায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আবদুল ওহাব সমকালকে বলেন, এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা নিয়মিতই অভিযান চালাই। কাউকে হাতের কাছে পেলেই গ্রেফতার করা হয়। প্রতিদিনই ২-১ জনকে আমরা গ্রেফতার করি। তবে এদের ধরা খুবই কঠিন। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে এএসএম সায়েদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। সূত্র আরও জানায়, রেলবস্তির বেশিরভাগ মাদকের চালান আসে লোকাল ট্রেনে। মাদক সরবরাহকারী ব্যক্তি ট্রেন থেকে মোবাইল ফোনে এখানকার বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারপর রেললাইনের পাশে নির্দিষ্ট স্থানে চালান নামিয়ে দেওয়া হয়।
বেশিরভাগ সময় নির্দিষ্ট বিক্রেতার খুপরি ঘরের সামনেই চলন্ত ট্রেন থেকে মাদকদ্রব্যের প্যাকেট ফেলে দেওয়া হয়। আর কখনও রেলপথের কারওয়ান বাজার বস্তি অংশে কোনো ঝামেলা থাকলে চালান নামানো হয় এফডিসি রেলক্রসিং বা তার কিছুটা সামনে। বর্তমানে এ এলাকায় একটি রেলসেতুর কাজ চলতে থাকায় সব ট্রেন ধীরগতিতে যায়। ফলে মাদকের চালান নামাতে কোনো সমস্যা হয় না। এ ছাড়া কিছু চালান অন্যান্য রুটেও আসে। সে ক্ষেত্রে সাধারণত সাতরাস্তা বা ফার্মগেট এলাকায় চালান হাতবদলের ঘটনা ঘটে।
কারওয়ান বাজার রেলবস্তিতে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, সেখানে মাদক ব্যবসার নেতৃত্ব দিচ্ছেন অন্তত ১১ নারী-পুরুষ। এদের মধ্যে ছয়জনের নাম জানা গেছে। তারা হলো ইয়াবা বিক্রেতা তৌফিক, হেরোইন বিক্রেতা রুবেলের মা, গাঁজা বিক্রেতা মীনা, মাহমুদা, খুদি ও আমিনের বউ। তাদের কাছ থেকে কিনে খুচরা বিক্রি করে আরও ২০০ থেকে ২৫০ খুচরা বিক্রেতা। পুলিশের তথ্য অনুযায়ীও মাদক ব্যবসায়ীদের সংখ্যা প্রায় একই।
স্থানীয় একজন মাদক ব্যবসায়ী জানান, এ এলাকায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় গাঁজা। প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ কেজি গাঁজা বিক্রি হয়। খুচরা পর্যায়ে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকার পুরিয়া পাওয়া যায়। ইয়াবার কয়েকটি ক্যাটাগরির মধ্যে এখানে বিক্রি হয় 'চম্পা'। প্রতি পিস ৩০০ টাকা দরে দিনে ১০০ থেকে ১৫০ ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি হয়। হেরোইন বিক্রি হয় দিনে ২০০ থেকে ৩০০ পুরিয়া। প্রতি পুরিয়ার দাম ৭০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। তবে এখানকার হেরোইন ভেজাল মিশ্রিত বলেও তিনি জানান। সূত্র জানায়, তেজগাঁও থানা পুলিশের সিভিল টিমের একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও একজন কনস্টেবল রেললাইন বস্তি এলাকায় দায়িত্ব পালন করেন। প্রায় দু'মাস ধরে এ দায়িত্বে আছেন তেজগাঁও থানার এসআই আবদুল ওহাব ও এএসএম সায়েদ। তাদের প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দিতে হয় বলে জানালেন মাদক ব্যবসায়ীরা। এই অঙ্ক ব্যবসার পরিসর অনুযায়ী আলাদা। বড় ব্যবসায়ীরা এক হাজার টাকা করে দেন। অন্যদিকে খুচরা বিক্রেতারা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে দেন। বড় ব্যবসায়ীরা সাপ্তাহিক ছাড়াও পুলিশকে খুশি রাখতে নানা উপলক্ষে বাড়তি টাকা দেন। ফলে তাদের সঙ্গে পুলিশের ঝামেলা তেমন একটা হয় না। তবে খুচরা ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় তাদের কাছ থেকে নিয়মিত টাকা আদায় করা পুলিশের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। এভাবে যারা ফাঁকি দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে টাকা দেয় না, তাদের সামনে পেলেই আটক করে পুলিশ। তখন ছাড়াতে গেলে পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়। র্যাবও মাঝেমধ্যে সেখানে অভিযান চালায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আবদুল ওহাব সমকালকে বলেন, এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা নিয়মিতই অভিযান চালাই। কাউকে হাতের কাছে পেলেই গ্রেফতার করা হয়। প্রতিদিনই ২-১ জনকে আমরা গ্রেফতার করি। তবে এদের ধরা খুবই কঠিন। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে এএসএম সায়েদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। সূত্র আরও জানায়, রেলবস্তির বেশিরভাগ মাদকের চালান আসে লোকাল ট্রেনে। মাদক সরবরাহকারী ব্যক্তি ট্রেন থেকে মোবাইল ফোনে এখানকার বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারপর রেললাইনের পাশে নির্দিষ্ট স্থানে চালান নামিয়ে দেওয়া হয়।
বেশিরভাগ সময় নির্দিষ্ট বিক্রেতার খুপরি ঘরের সামনেই চলন্ত ট্রেন থেকে মাদকদ্রব্যের প্যাকেট ফেলে দেওয়া হয়। আর কখনও রেলপথের কারওয়ান বাজার বস্তি অংশে কোনো ঝামেলা থাকলে চালান নামানো হয় এফডিসি রেলক্রসিং বা তার কিছুটা সামনে। বর্তমানে এ এলাকায় একটি রেলসেতুর কাজ চলতে থাকায় সব ট্রেন ধীরগতিতে যায়। ফলে মাদকের চালান নামাতে কোনো সমস্যা হয় না। এ ছাড়া কিছু চালান অন্যান্য রুটেও আসে। সে ক্ষেত্রে সাধারণত সাতরাস্তা বা ফার্মগেট এলাকায় চালান হাতবদলের ঘটনা ঘটে।
No comments