সাকিবের কীর্তি by নাজমুল হক নোবেল
মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৪৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে দলকে উদ্ধারের পরও একটা হতাশা ছিল সাকিবের মনে। যদি আরও ১৪টি রান করতে পারতেন! তাহলে বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটার মালিক বনে যেতেন তিনি; কিন্তু গতকাল এর চেয়েও বড় কীর্তি গড়েছেন। ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এক টেস্টে সেঞ্চুরি এবং ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন তিনি। আর গত ১৫ বছরে এমন দুর্ধর্ষ অলরাউন্ডিং
পারফরম্যান্স দেখানো তৃতীয় ক্রিকেটার তিনি। আগের দু'জন হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস এবং ভারতের রবিচন্দ্র অশ্বিন।
কিন্তু এমন একটি অর্জনের পরও নির্ভার হতে পারছেন না সাকিব। একটু ভালোভাবে উদযাপন বা উপভোগও হয়তো করতে পারছেন না। কারণ দল যে আরও একটি পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে! কিন্তু আর কী করবেন তিনি! একা দলকে আর কত টানবেন! প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানে চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পর উইকেটে আসেন সাকিব। নাফীসকে নিয়ে ১৮০ রানের জুটি গড়ে দলকে এমন বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে একটি শক্ত মাটির ওপর দাঁড় করান। ১৪৪ রান করে মুশফিকুর রহিমের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে রান আউটের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে তার এমন একটি ইনিংসের। অথচ তিনি যেভাবে ব্যাট করছিলেন তাতে আশরাফুলের ১৫৮ রানের ইনিংসটাকে টপকানো সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল। দিন শেষে জানিয়েছিলেন, পুরো দিন ব্যাট করার পরিকল্পনা ছিল তার। আর তা করতে পারলে ডাবল সেঞ্চুরি যে তার নামের পাশে শোভা পেত তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়; কিন্তু হয়নি মুশফিকের ভুল ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে। প্রায় পাঁচ সেশন ব্যাটিং করার পর নামেন তিনি বোলিং করতে।
কন্ডিশন পেস বোলিং সহায়ক; কিন্তু বাংলাদেশের মিডিয়াম পেসাররা পাক ব্যাটসম্যানদের চাপে পর্যন্ত ফেলতে পারলেন না। অধিনায়ক মুশফিক কী আর করবেন! স্পিনারদের হাতে বল তুলে দেওয়া উপায় ছিল না তার সামনে। ম্যারাথন স্পেল করতে হয় সাকিবকে। ৪০.৫ ওভার বোলিং করেন তিনি। এর মধ্যে শেষ স্পেলটি ছিল ২৩ ওভারের। শুধু এ একটি স্পেল দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যায়, কার ওপর দলের বোলিং আক্রমণ কতটা নির্ভর। আর তিনি শুধু ৬টি উইকেটই নেননি, রান দেওয়ার বেলায়ও ছিলেন দলের সবচেয়ে কৃপণ। ব্যাটিং-বোলিং উভয় ক্ষেত্রে তার এত চাপ নেওয়ার ক্ষমতায় মুগ্ধ কোচ স্টুয়ার্ট ল, 'সে ৪৩ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর ১৪৪ রানের ইনিংস খেলেছে। আমার ভালো লাগত যদি তাকে ৫ নম্বরে ব্যাটিংয়ে পাঠাতে পারতাম এবং তার যদি ইনিংসে ৪০ ওভার বোলিং করতে না হতো। সে একজন অসাধারণ ক্রিকেটার। একা বাংলাদেশের ব্যাটিং-বোলিংকে টানছে। তাকে আসলে এখন একটু স্থির হওয়ার জন্য বিশ্রাম নিতে দেওয়া প্রয়োজন। এবং যেভাবে সে চায় সেভাবে তাকে খেলতে দেওয়া উচিত।' সাকিবের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজও, 'গ্রেট একটা ম্যাচ খেলেছে। সেঞ্চুরি করার পর ৪০ ওভার বোলিং করা সত্যিই অসাধারণ। তার জন্য আমার শুভ কামনা রইল।'
এক টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি এবং ৫ উইকেট সাকিবের জন্য নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। গত বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম এবং সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও হাফ সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট নিয়ে ছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারে চারবার এমন কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি। আর গতকাল নিজেকে নিয়ে গেলেন অন্য উচ্চতায়। টেস্ট ক্রিকেটের ১২৫ বছরের ইতিহাসে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট নেওয়ার ঘটনা আছে মাত্র ২৮টি। উপমহাদেশীয়দের মধ্যে ভারতের ভিনু মানকড় ১৯৫২ সালে লর্ডসে প্রথম অলরাউন্ডিংয়ের এলিট ক্লাবে নাম লেখান। ভারতীয়দের মধ্যে এ কীর্তি আছে পলি উমরিগড় এবং রবিচন্দ্র অশ্বিনের। পাকিস্তানের পক্ষে মুশতাক মোহাম্মদ দু'বার এবং ইমরান খান ও ওয়াসিম আকরাম একবার করে এ কাজ করেছেন। আর ইংল্যান্ডের ইয়ান বোথাম সর্বোচ্চ ৫ বার এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট নিয়েছেন।
কিন্তু এমন একটি অর্জনের পরও নির্ভার হতে পারছেন না সাকিব। একটু ভালোভাবে উদযাপন বা উপভোগও হয়তো করতে পারছেন না। কারণ দল যে আরও একটি পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে! কিন্তু আর কী করবেন তিনি! একা দলকে আর কত টানবেন! প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানে চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পর উইকেটে আসেন সাকিব। নাফীসকে নিয়ে ১৮০ রানের জুটি গড়ে দলকে এমন বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে একটি শক্ত মাটির ওপর দাঁড় করান। ১৪৪ রান করে মুশফিকুর রহিমের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে রান আউটের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে তার এমন একটি ইনিংসের। অথচ তিনি যেভাবে ব্যাট করছিলেন তাতে আশরাফুলের ১৫৮ রানের ইনিংসটাকে টপকানো সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল। দিন শেষে জানিয়েছিলেন, পুরো দিন ব্যাট করার পরিকল্পনা ছিল তার। আর তা করতে পারলে ডাবল সেঞ্চুরি যে তার নামের পাশে শোভা পেত তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়; কিন্তু হয়নি মুশফিকের ভুল ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে। প্রায় পাঁচ সেশন ব্যাটিং করার পর নামেন তিনি বোলিং করতে।
কন্ডিশন পেস বোলিং সহায়ক; কিন্তু বাংলাদেশের মিডিয়াম পেসাররা পাক ব্যাটসম্যানদের চাপে পর্যন্ত ফেলতে পারলেন না। অধিনায়ক মুশফিক কী আর করবেন! স্পিনারদের হাতে বল তুলে দেওয়া উপায় ছিল না তার সামনে। ম্যারাথন স্পেল করতে হয় সাকিবকে। ৪০.৫ ওভার বোলিং করেন তিনি। এর মধ্যে শেষ স্পেলটি ছিল ২৩ ওভারের। শুধু এ একটি স্পেল দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যায়, কার ওপর দলের বোলিং আক্রমণ কতটা নির্ভর। আর তিনি শুধু ৬টি উইকেটই নেননি, রান দেওয়ার বেলায়ও ছিলেন দলের সবচেয়ে কৃপণ। ব্যাটিং-বোলিং উভয় ক্ষেত্রে তার এত চাপ নেওয়ার ক্ষমতায় মুগ্ধ কোচ স্টুয়ার্ট ল, 'সে ৪৩ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর ১৪৪ রানের ইনিংস খেলেছে। আমার ভালো লাগত যদি তাকে ৫ নম্বরে ব্যাটিংয়ে পাঠাতে পারতাম এবং তার যদি ইনিংসে ৪০ ওভার বোলিং করতে না হতো। সে একজন অসাধারণ ক্রিকেটার। একা বাংলাদেশের ব্যাটিং-বোলিংকে টানছে। তাকে আসলে এখন একটু স্থির হওয়ার জন্য বিশ্রাম নিতে দেওয়া প্রয়োজন। এবং যেভাবে সে চায় সেভাবে তাকে খেলতে দেওয়া উচিত।' সাকিবের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজও, 'গ্রেট একটা ম্যাচ খেলেছে। সেঞ্চুরি করার পর ৪০ ওভার বোলিং করা সত্যিই অসাধারণ। তার জন্য আমার শুভ কামনা রইল।'
এক টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি এবং ৫ উইকেট সাকিবের জন্য নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। গত বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম এবং সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও হাফ সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট নিয়ে ছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারে চারবার এমন কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি। আর গতকাল নিজেকে নিয়ে গেলেন অন্য উচ্চতায়। টেস্ট ক্রিকেটের ১২৫ বছরের ইতিহাসে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট নেওয়ার ঘটনা আছে মাত্র ২৮টি। উপমহাদেশীয়দের মধ্যে ভারতের ভিনু মানকড় ১৯৫২ সালে লর্ডসে প্রথম অলরাউন্ডিংয়ের এলিট ক্লাবে নাম লেখান। ভারতীয়দের মধ্যে এ কীর্তি আছে পলি উমরিগড় এবং রবিচন্দ্র অশ্বিনের। পাকিস্তানের পক্ষে মুশতাক মোহাম্মদ দু'বার এবং ইমরান খান ও ওয়াসিম আকরাম একবার করে এ কাজ করেছেন। আর ইংল্যান্ডের ইয়ান বোথাম সর্বোচ্চ ৫ বার এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট নিয়েছেন।
No comments