একনেকে ৯ প্রকল্প অনুমোদন
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের চর এলাকার সাধারণ মানুষের দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবিকায়নে প্রায় ৮শ' কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় 'চর জীবিকায়ন দ্বিতীয় পর্যায়' শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ভূঁইয়া
সফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, একনেক বৈঠকে মোট ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ১ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে ৭২৪ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল এবং ৯১৯ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য থেকে মেটানো হবে।
'চর জীবিকায়ন দ্বিতীয় পর্যায়' শীর্ষক প্রকল্পটি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দুর্গম চর এলাকার ১০ লাখ মানুষের চরম দারিদ্র্য নিরসন ও দুস্থদের সংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, পাবনা, টাঙ্গাইল_ এ ৭টি জেলার চরাঞ্চলে অতি দরিদ্র, সংবেদনশীল নারী, শিশু ও পুরুষদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা হবে। এ ছাড়া তাদের আয় বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট চর এলাকার জনগণের বাস্তুভিটা বন্যার পানির সর্বোচ্চ সীমা থেকে ৬০ সেন্টিমিটার উঁচু করা হবে। পরিবারভিত্তিক নিরাপদ পানির উৎস ও পয়ঃনিষ্কাশনের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে ডিএফআইডির কাছ থেকে পাওয়া যাবে ৭৮২ কোটি টাকা।
একনেক সভায় সিলেটের সুরমা নদীর উপর পুরাতন ব্রিজের কাছে কাজিরবাজারে একটি পিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ ও আম্বরখানা বাইপাস সড়ক নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প নামে অপর একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সিলেট শহরের সঙ্গে দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলাসহ রাজধানী ঢাকার উন্নত ও দ্রুত সড়ক যোগাযোগ স্থাপন নিশ্চিত হবে। ১৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর ২০১২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। গতকাল একনেক বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে_ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প। এতে ব্যয় হবে ৭৫ কোটি টাকা। ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হবে 'ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের জন্য সেবা প্রদান (সংশোধিত) প্রকল্প'। মানসম্মত মৎস্য বীজ ও পোনা উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য স্থাপনা পুনর্বাসন ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১২২ কোটি টাকা। নেত্রকোনা-ধর্মপাশা-জামালগঞ্জ-সিলেট সড়ক উন্নয়ন (নেত্রকোনা অংশ) প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২৬ কোটি টাকা। রাজশাহী মহানগরীর রাজশাহী-নওগাঁ প্রধান সড়ক থেকে মোহনপুর-রাজশাহী-নাটোর সড়ক পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১২৩ কোটি টাকা। বর্ণি বাঁওড় উন্নয়ন প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৫৪ কোটি টাকা এবং প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১৬৯ কোটি টাকা। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত, পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) একে খন্দকার, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
'চর জীবিকায়ন দ্বিতীয় পর্যায়' শীর্ষক প্রকল্পটি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দুর্গম চর এলাকার ১০ লাখ মানুষের চরম দারিদ্র্য নিরসন ও দুস্থদের সংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, পাবনা, টাঙ্গাইল_ এ ৭টি জেলার চরাঞ্চলে অতি দরিদ্র, সংবেদনশীল নারী, শিশু ও পুরুষদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা হবে। এ ছাড়া তাদের আয় বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট চর এলাকার জনগণের বাস্তুভিটা বন্যার পানির সর্বোচ্চ সীমা থেকে ৬০ সেন্টিমিটার উঁচু করা হবে। পরিবারভিত্তিক নিরাপদ পানির উৎস ও পয়ঃনিষ্কাশনের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে ডিএফআইডির কাছ থেকে পাওয়া যাবে ৭৮২ কোটি টাকা।
একনেক সভায় সিলেটের সুরমা নদীর উপর পুরাতন ব্রিজের কাছে কাজিরবাজারে একটি পিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ ও আম্বরখানা বাইপাস সড়ক নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প নামে অপর একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সিলেট শহরের সঙ্গে দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলাসহ রাজধানী ঢাকার উন্নত ও দ্রুত সড়ক যোগাযোগ স্থাপন নিশ্চিত হবে। ১৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর ২০১২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। গতকাল একনেক বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে_ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প। এতে ব্যয় হবে ৭৫ কোটি টাকা। ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হবে 'ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের জন্য সেবা প্রদান (সংশোধিত) প্রকল্প'। মানসম্মত মৎস্য বীজ ও পোনা উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য স্থাপনা পুনর্বাসন ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১২২ কোটি টাকা। নেত্রকোনা-ধর্মপাশা-জামালগঞ্জ-সিলেট সড়ক উন্নয়ন (নেত্রকোনা অংশ) প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২৬ কোটি টাকা। রাজশাহী মহানগরীর রাজশাহী-নওগাঁ প্রধান সড়ক থেকে মোহনপুর-রাজশাহী-নাটোর সড়ক পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১২৩ কোটি টাকা। বর্ণি বাঁওড় উন্নয়ন প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৫৪ কোটি টাকা এবং প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১৬৯ কোটি টাকা। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত, পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) একে খন্দকার, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
No comments