ওবামা, নিঃসঙ্গ এক প্রেসিডেন্ট by সারোয়ার কবীর
অর্থনীতি, যুদ্ধ আর নির্বাচন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সত্যিই এক সংকটের ভেতরে আছেন। নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেই তাকে এগোতে হচ্ছে। এই চলার পথে বন্ধু, সহযোগী ও উপদেষ্টার অভাব না থাকলেও তাকে একাকীই মনে হচ্ছে। রাজনীতির নিঃসঙ্গ পথিক হলেও তিনি চান জনগণ ও দেশের জন্য কাজ করতে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের নানা সমস্যা এবং জনমনে অসন্তোষ সেই পুরনো প্রশ্নকে ফের জাগিয়ে তুলেছে_ আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক হয়েও আমেরিকার রাজনীতির জন্য মোটেই ভালো হবেন না?
২০১২ নির্বাচনের প্রচারণাকে সামনে রেখেই ওবামার নিঃসঙ্গতা বেশি করে ধরা পড়ছে। কেননা ওই অবস্থা তার আগামী নির্বাচনে কৌশল নির্ধারণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রভাব ফেলছে। আগে যে বিষয়টিকে তিনি পাত্তা দেননি, এখন সেদিকেই ঝুঁকছেন, নতুন সমর্থকদের চেয়ে ডেমোক্র্যাটদের পুরনো মিত্র বলে পরিচিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, সমকামী, তরুণ, প্রবীণ, ইহুদিদের ভোট নিশ্চিত করার দিকে বেশি মনোযোগী হয়েছেন। অথচ ২০০৮ সালের ভোটের জন্য তিনি এক বিপ্লবী অবস্থানে ছিলেন, প্রথমবারের মতো ভোটার হওয়া কোটি কোটি তরুণের সমর্থন আদায় করেছিলেন পরিবর্তনের অঙ্গীকারের মাধ্যমে।
২০০৯ সালের মার্চে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে হোয়াইট হাউসের ভেতরে এবং বাইরের লোকজনের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ওবামার আলাপ-আলোচনা অনেকটাই ছিল ব্যতিক্রমী। জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি এক নতুন ধারা সংযোজন করতে চেয়েছেন। প্রথম দুই বছর তিনি হোয়াইট হাউসকে ভালো রাজনীতির জন্য ভালো নীতি প্রচলনে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। নিজের বুদ্ধিমত্তার ওপর অগাধ আস্থা এবং ভালো সরকারি নীতির বিশ্বাস রেখেই এগোতে চেয়েছেন। রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও হোয়াইট হাউসের নীতি-নির্ধারকদেরও অনেক সময় গুরুত্ব দিতে চাননি। তার এ উদ্যোগ জনপ্রিয়তা হ্রাস এবং অসন্তোষ বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার জন্য। হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টারাও ব্যাপারটি নিয়ে মুখ খুলেছেন। যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করেন তারা। এক সাক্ষাৎকারে ওবামা দুই সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করেছেন। পূর্বসূরি বিল ক্লিনটন প্রসঙ্গে বলেছেন, তার এমন কিছু বন্ধু ছিল, যারা তার প্রেসিডেন্সির সময়কার সংকট কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। জিমি কার্টারও তার এক মেয়াদের শাসনামল ভালোভাবে পার করেছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের তরুণ সিনেটর হিসেবে ওবামা যেভাবে প্রথমে বিল ক্লিনটনের পরে হিলারির শক্তিশালী বন্ধু-বান্ধব, সমর্থক ও অর্থদাতা চক্রকে মোকাবেলা করেছিলেন_ অনেকের কাছে সেটা ছিল বিস্ময়ের ব্যাপার। ব্যাপক সমর্থকগোষ্ঠী গড়ে তুলতে সমর্থ হন, তরুণ স্বেচ্ছাসেবী ও ক্ষুদ্র অর্থদাতাদের তিনি রাজনীতিতে উৎসাহিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বেশ দাপট নিয়েই পা রেখেছিলেন হোয়াইট হাউসে। প্রতি সপ্তাহে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সদস্যদের জন্য ককটেল পার্টির আয়োজন এবং রোববার হোয়াইট হাউসে ফুটবল খেলা দেখার আমন্ত্রণের মাধ্যমে ওবামা তার কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে একটা বার্তা সবাইকে দিয়েছেন। তবে এতে সমস্যা ঘুচে যায়নি। দেশের নাজুক অর্থনীতিকে নিয়ে শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে নয়, রাজনৈতিক মিত্রদের সঙ্গেও টানাপড়েন দেখা দেয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত মনঃপূত হয়নি অনেকের। হোয়াইট হাউস কর্মকর্তাদের মতে, বৈঠকে ওবামা সবার বক্তব্য শোনেন; কিন্তু সিদ্ধান্ত নেন হাতেগোনা কয়েকজনের সঙ্গে মিলে। খুব কম সময় তা হোয়াইট হাউসের গণ্ডি অতিক্রম করেছে। তার সিনিয়র উপদেষ্টা ডেভিড অ্যাক্সলরড ২০১০ সালের জানুয়ারির দিকে মন্তব্য করেন, ওবামা অন্যের কাছ থেকে বেশি একটা ছবক নেন না। তিনি নিজের মতের ওপর নির্ভর করেই এগিয়ে যান। বর্তমান অবস্থা দেখেই গত মাসে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এক অনুষ্ঠানে রিপাবলিকানদের কী করে পরাজিত করতে হবে_ সেটা দেখাতে গিয়ে ওবামার প্রতি পরামর্শ দেন, কীভাবে সরকারবিরোধী অভিযোগকে খণ্ডন করতে হবে। কাজের অবসরে রাষ্ট্রীয় বিষয়ের বদলে বইয়ের ব্রিফিং ও ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পছন্দ করেন ওবামা। দুই মেয়ে শাশা ও মালিয়াকে বিছানায় পাঠানোর পর রাতেই কাজটি করেন। ডোনার বা অর্থ দাতাদের ওবামা যেখানে মাত্র কিছু মিনিট সময় দিয়ে থাকেন, সেখানে ক্লিনটনকে দেখা গেছে, রাতে তার বেডরুমেও তাদের উপস্থিতি বরণ করে নিতে। ওবামার জীবন এবং পটভূমি তাকে জনপ্রিয় ব্যক্তি হতে সাহায্য করেছে। অনেক ডেমোক্র্যাট পর্যন্ত অবাক না হয়ে পারেন না, জনগণের সমস্যা নিয়ে প্রেসিডেন্ট মোটেই বিচলিত নন। অথচ ওই সমস্যা বিরূপ অর্থনীতিতে জনগণের অবস্থাকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে। বিদেশ সফরে গেলে ওবামা নিজেকে একাধারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও বিশ্ব নাগরিক হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বর্ণ, জাতি এবং জনসংখ্যা তত্ত্ব সংশ্লিষ্ট স্বার্থের প্রতি বড় একটা আগ্রহ দেখাতেন না। নির্বাচনী ফলাফল ও ভোট ব্লকের ক্ষেত্রে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে ইদানীং মনোভাব পাল্টে ফেলেছেন। গত মাসে কৃষ্ণাঙ্গ কংগ্রেস সদস্য গোষ্ঠীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন নিজের ও স্ত্রী মিশেলের কৃষ্ণাঙ্গ ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা। তবে কৃষ্ণাঙ্গদের একজন হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখলেও প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান হিসেবে ওবামা জানান, তার নীতিতে বর্ণের কোনো প্রভাব নেই। তিনি কখনও কৃষ্ণাঙ্গ রাজনীতিক হিসেবে নিজেকে পরিচিত করেন না। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তিনি শুধু কৃষ্ণাঙ্গদের অনুষ্ঠানে নয়, ডেমোক্র্যাটদের পুরনো মিত্র সমকামীদের মানবাধিকার গ্রুপ, হিস্পানিসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী নিয়েও বক্তব্য রেখেছেন_ যারা ২০১২ সালে নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠবেন। নির্বাচনের মাত্র এক বছর আগে, ওবামা সত্যিই উপলব্ধি করতে পেরেছেন, জনগণের আসল সমস্যাটা কোথায়? এ কারণেই কর্মসংস্থান ও পেশাজীবীদের আয় বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন; কিন্তু এক সিনিয়র ডেমোক্রেটিক নীতিনির্ধারক বলেছেন, ওবামা এমন এক ব্যক্তি, যিনি খুব দ্রুত হাঁটেন; কিন্তু হোঁচট খেলে তাকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসার লোক বেশি নেই। এদিকে নির্বাচনের এক বছর আগেই সিনেটররা নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়েই বেশি মনোযোগী। প্রেসিডেন্টকে দেওয়ার মতো তাদের যথেষ্ট শক্তি কিংবা রাজনৈতিক জায়গা নেই। তাই ওবামাকে একাই চলতে হবে। সূত্র : দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ও রয়টার্স।
২০০৯ সালের মার্চে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে হোয়াইট হাউসের ভেতরে এবং বাইরের লোকজনের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ওবামার আলাপ-আলোচনা অনেকটাই ছিল ব্যতিক্রমী। জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি এক নতুন ধারা সংযোজন করতে চেয়েছেন। প্রথম দুই বছর তিনি হোয়াইট হাউসকে ভালো রাজনীতির জন্য ভালো নীতি প্রচলনে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। নিজের বুদ্ধিমত্তার ওপর অগাধ আস্থা এবং ভালো সরকারি নীতির বিশ্বাস রেখেই এগোতে চেয়েছেন। রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও হোয়াইট হাউসের নীতি-নির্ধারকদেরও অনেক সময় গুরুত্ব দিতে চাননি। তার এ উদ্যোগ জনপ্রিয়তা হ্রাস এবং অসন্তোষ বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার জন্য। হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টারাও ব্যাপারটি নিয়ে মুখ খুলেছেন। যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করেন তারা। এক সাক্ষাৎকারে ওবামা দুই সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করেছেন। পূর্বসূরি বিল ক্লিনটন প্রসঙ্গে বলেছেন, তার এমন কিছু বন্ধু ছিল, যারা তার প্রেসিডেন্সির সময়কার সংকট কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। জিমি কার্টারও তার এক মেয়াদের শাসনামল ভালোভাবে পার করেছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের তরুণ সিনেটর হিসেবে ওবামা যেভাবে প্রথমে বিল ক্লিনটনের পরে হিলারির শক্তিশালী বন্ধু-বান্ধব, সমর্থক ও অর্থদাতা চক্রকে মোকাবেলা করেছিলেন_ অনেকের কাছে সেটা ছিল বিস্ময়ের ব্যাপার। ব্যাপক সমর্থকগোষ্ঠী গড়ে তুলতে সমর্থ হন, তরুণ স্বেচ্ছাসেবী ও ক্ষুদ্র অর্থদাতাদের তিনি রাজনীতিতে উৎসাহিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বেশ দাপট নিয়েই পা রেখেছিলেন হোয়াইট হাউসে। প্রতি সপ্তাহে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সদস্যদের জন্য ককটেল পার্টির আয়োজন এবং রোববার হোয়াইট হাউসে ফুটবল খেলা দেখার আমন্ত্রণের মাধ্যমে ওবামা তার কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে একটা বার্তা সবাইকে দিয়েছেন। তবে এতে সমস্যা ঘুচে যায়নি। দেশের নাজুক অর্থনীতিকে নিয়ে শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে নয়, রাজনৈতিক মিত্রদের সঙ্গেও টানাপড়েন দেখা দেয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত মনঃপূত হয়নি অনেকের। হোয়াইট হাউস কর্মকর্তাদের মতে, বৈঠকে ওবামা সবার বক্তব্য শোনেন; কিন্তু সিদ্ধান্ত নেন হাতেগোনা কয়েকজনের সঙ্গে মিলে। খুব কম সময় তা হোয়াইট হাউসের গণ্ডি অতিক্রম করেছে। তার সিনিয়র উপদেষ্টা ডেভিড অ্যাক্সলরড ২০১০ সালের জানুয়ারির দিকে মন্তব্য করেন, ওবামা অন্যের কাছ থেকে বেশি একটা ছবক নেন না। তিনি নিজের মতের ওপর নির্ভর করেই এগিয়ে যান। বর্তমান অবস্থা দেখেই গত মাসে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এক অনুষ্ঠানে রিপাবলিকানদের কী করে পরাজিত করতে হবে_ সেটা দেখাতে গিয়ে ওবামার প্রতি পরামর্শ দেন, কীভাবে সরকারবিরোধী অভিযোগকে খণ্ডন করতে হবে। কাজের অবসরে রাষ্ট্রীয় বিষয়ের বদলে বইয়ের ব্রিফিং ও ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পছন্দ করেন ওবামা। দুই মেয়ে শাশা ও মালিয়াকে বিছানায় পাঠানোর পর রাতেই কাজটি করেন। ডোনার বা অর্থ দাতাদের ওবামা যেখানে মাত্র কিছু মিনিট সময় দিয়ে থাকেন, সেখানে ক্লিনটনকে দেখা গেছে, রাতে তার বেডরুমেও তাদের উপস্থিতি বরণ করে নিতে। ওবামার জীবন এবং পটভূমি তাকে জনপ্রিয় ব্যক্তি হতে সাহায্য করেছে। অনেক ডেমোক্র্যাট পর্যন্ত অবাক না হয়ে পারেন না, জনগণের সমস্যা নিয়ে প্রেসিডেন্ট মোটেই বিচলিত নন। অথচ ওই সমস্যা বিরূপ অর্থনীতিতে জনগণের অবস্থাকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে। বিদেশ সফরে গেলে ওবামা নিজেকে একাধারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও বিশ্ব নাগরিক হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বর্ণ, জাতি এবং জনসংখ্যা তত্ত্ব সংশ্লিষ্ট স্বার্থের প্রতি বড় একটা আগ্রহ দেখাতেন না। নির্বাচনী ফলাফল ও ভোট ব্লকের ক্ষেত্রে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে ইদানীং মনোভাব পাল্টে ফেলেছেন। গত মাসে কৃষ্ণাঙ্গ কংগ্রেস সদস্য গোষ্ঠীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন নিজের ও স্ত্রী মিশেলের কৃষ্ণাঙ্গ ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা। তবে কৃষ্ণাঙ্গদের একজন হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখলেও প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান হিসেবে ওবামা জানান, তার নীতিতে বর্ণের কোনো প্রভাব নেই। তিনি কখনও কৃষ্ণাঙ্গ রাজনীতিক হিসেবে নিজেকে পরিচিত করেন না। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তিনি শুধু কৃষ্ণাঙ্গদের অনুষ্ঠানে নয়, ডেমোক্র্যাটদের পুরনো মিত্র সমকামীদের মানবাধিকার গ্রুপ, হিস্পানিসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী নিয়েও বক্তব্য রেখেছেন_ যারা ২০১২ সালে নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠবেন। নির্বাচনের মাত্র এক বছর আগে, ওবামা সত্যিই উপলব্ধি করতে পেরেছেন, জনগণের আসল সমস্যাটা কোথায়? এ কারণেই কর্মসংস্থান ও পেশাজীবীদের আয় বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন; কিন্তু এক সিনিয়র ডেমোক্রেটিক নীতিনির্ধারক বলেছেন, ওবামা এমন এক ব্যক্তি, যিনি খুব দ্রুত হাঁটেন; কিন্তু হোঁচট খেলে তাকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসার লোক বেশি নেই। এদিকে নির্বাচনের এক বছর আগেই সিনেটররা নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়েই বেশি মনোযোগী। প্রেসিডেন্টকে দেওয়ার মতো তাদের যথেষ্ট শক্তি কিংবা রাজনৈতিক জায়গা নেই। তাই ওবামাকে একাই চলতে হবে। সূত্র : দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ও রয়টার্স।
No comments