‘আরবাব’ যেখানে সোনার হরিণ by কামরুজ্জামান মিলু
চাকরি
সংকট, দেরিতে বেতন- এমন সব অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই প্রবাসজীবন বেছে
নিতে পছন্দ করেন। ওমানের বিভিন্ন জায়গায় বর্তমানে প্রায় ৮ লাখ বাংলাদেশি
বসবাস করছেন। শ্রমশক্তির বড় একটি বাজার এখন ওমানে। ‘সালালাহ’, ‘সোহার’, ‘আল
খায়ের’ ও ‘মাস্কাট’-এলাকাগুলোতে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক বাস করে।
এখানে বেশিরভাগ শ্রমিক ফ্রি ভিসায় এসে চাকুরী করে। ওমানের রাজধানী
মাস্কাটের রুয়িতে অবস্থিত এক জায়গার নাম হামরিয়া।
এখানে বেশিরভাগই বাংলাদেশি। অনেকে কাজের সন্ধানে ভিসা নিয়ে এলেও পুলিশের চেকিংয়ে পড়তে হয়। বিশেষ করে শুক্রবার দিন পুলিশ বেশি চেকিং করে থাকে। গত ২০শে ফেব্রুয়ারি ওমানের রুইতে অবস্থানকালে মোবাইল ব্যবসায়ী ফরহাদের সঙ্গে কথা হলো তিনি বলেন, আগে সিঙ্গাপুর ছিলাম। সেখান থেকে দুই বছরের বেশি সময় ধরে বর্তমানে ওমানে আছি। প্রথমে চাকরি এরপর ব্যবসা করছি। বর্তমানে এ ব্যবসা থেকে যা আয় হচ্ছে তা আগের তুলনায় কম। কোনোরকম দিন চলে যাচ্ছে। এখানে ব্যবসা করতে হলে যাদের আরবাব (ওমানি স্পন্সরকে আরবাব বলে) ভালো, তাদের আরবাব থানায় গিয়ে টাকা পয়সা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আসতে হয়। এক কথায় আরবাব ভালো হলে সব ভালো, নইলে প্রবাস ছেড়ে দেশে ফিরে আসতে হয়। তাই বলতে গেলে আরবাবের হাতেই থাকে অনেকের ভাগ্য। তবে সব আরবাব খারাপ না বলেও জানান ফরহাদ। তিনি বলেন, আমার আরবাব যথেষ্ট ভালো। অনেকে তো কর্মী হিসেবে এখানে এসে এখন বিরাট ব্যবসায়ীও হয়েছেন। তেমন এক ব্যবসায়ীর নাম তৌফিকুজ্জামান পলাশ। বর্তমানে তার নামে তৌফিক ইউনাইটেড আরাব কোম্পানি আছে এখানে। ট্র্যাভেলস এবং ট্যুরিজম ব্যবসায় তিনি বেশ নাম করেছেন। দুবাই, কাতারেও তার শাখা অফিস রয়েছে। এসব বলার সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক বাংলাদেশি ড্রাইভার শাহীন বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ওমানে এসেছি সাত বছর। এখানে ট্রাফিক নিয়ম বেশ কড়া। আমার নিজের তিনটি গাড়ি রয়েছে। গাড়ি চালিয়ে প্রতিদিনই ১৫ রিয়াল (৩০০০ টাকার বেশি) আয় করছি। কথা বলার পর শাহীন তার নিজ গাড়িতে করে সুলতান কাবুস গ্র্যান্ড মসজিদে ঘুরতে নিয়ে গেলেন। এই মসজিদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ভেতরের মূল প্রার্থনা কক্ষের কার্পেট। ওমানের সুলতান ২০০১ সালের ৪ঠা মে মসজিদটি উদ্বোধন করেন। সুলতান কাবুসের নামেই মসজিদটির নামকরণ করা হয় সুলতান কাবুস গ্র্যান্ড মসজিদ। প্রধান মুসালায় একসঙ্গে সাড়ে ছয় হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদটিতে মহিলাদের জন্যও একটি মুসালা রয়েছে যেখানে ৭৫০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। এছাড়া বাইরের খোলা অংশে নামাজ আদায় করতে পারেন আট হাজার মুসল্লি। সীমানার ভেতরের অতিরিক্ত স্থান এবং করিডরসহ মসজিদটিতে মোট ২০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদটি নির্মাণে দায়িত্ব পালন করেন কার্লিয়ন আলাওই এলএলসি। ফেরার পথে মাস্কাট বিমানবন্দরে হাসান ও চন্দ্র নামে দু’যুবকের সঙ্গে দেখা। তারা সেখানের ‘সিল অ্যান্ড কোম্পানি’-তে ২০০ রিয়ালে চাকরি করে। তাদের যাত্রীদের ব্যাগ প্যাকিংয়ের কাজ করতে হয়। পরিবহন অভাবে বড় ধরনের অসুবিধায় পরতে হয় ওমানে পর্যটকদের। কারণ সেখানে রেলপথ নেই ভরসা, তেমন কোনো লোকাল বাসও নেই। যাতায়াতের জন্য পর্যটকদের একমাত্র ট্যাক্সিই ভরসা।
এখানে বেশিরভাগই বাংলাদেশি। অনেকে কাজের সন্ধানে ভিসা নিয়ে এলেও পুলিশের চেকিংয়ে পড়তে হয়। বিশেষ করে শুক্রবার দিন পুলিশ বেশি চেকিং করে থাকে। গত ২০শে ফেব্রুয়ারি ওমানের রুইতে অবস্থানকালে মোবাইল ব্যবসায়ী ফরহাদের সঙ্গে কথা হলো তিনি বলেন, আগে সিঙ্গাপুর ছিলাম। সেখান থেকে দুই বছরের বেশি সময় ধরে বর্তমানে ওমানে আছি। প্রথমে চাকরি এরপর ব্যবসা করছি। বর্তমানে এ ব্যবসা থেকে যা আয় হচ্ছে তা আগের তুলনায় কম। কোনোরকম দিন চলে যাচ্ছে। এখানে ব্যবসা করতে হলে যাদের আরবাব (ওমানি স্পন্সরকে আরবাব বলে) ভালো, তাদের আরবাব থানায় গিয়ে টাকা পয়সা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আসতে হয়। এক কথায় আরবাব ভালো হলে সব ভালো, নইলে প্রবাস ছেড়ে দেশে ফিরে আসতে হয়। তাই বলতে গেলে আরবাবের হাতেই থাকে অনেকের ভাগ্য। তবে সব আরবাব খারাপ না বলেও জানান ফরহাদ। তিনি বলেন, আমার আরবাব যথেষ্ট ভালো। অনেকে তো কর্মী হিসেবে এখানে এসে এখন বিরাট ব্যবসায়ীও হয়েছেন। তেমন এক ব্যবসায়ীর নাম তৌফিকুজ্জামান পলাশ। বর্তমানে তার নামে তৌফিক ইউনাইটেড আরাব কোম্পানি আছে এখানে। ট্র্যাভেলস এবং ট্যুরিজম ব্যবসায় তিনি বেশ নাম করেছেন। দুবাই, কাতারেও তার শাখা অফিস রয়েছে। এসব বলার সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক বাংলাদেশি ড্রাইভার শাহীন বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ওমানে এসেছি সাত বছর। এখানে ট্রাফিক নিয়ম বেশ কড়া। আমার নিজের তিনটি গাড়ি রয়েছে। গাড়ি চালিয়ে প্রতিদিনই ১৫ রিয়াল (৩০০০ টাকার বেশি) আয় করছি। কথা বলার পর শাহীন তার নিজ গাড়িতে করে সুলতান কাবুস গ্র্যান্ড মসজিদে ঘুরতে নিয়ে গেলেন। এই মসজিদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ভেতরের মূল প্রার্থনা কক্ষের কার্পেট। ওমানের সুলতান ২০০১ সালের ৪ঠা মে মসজিদটি উদ্বোধন করেন। সুলতান কাবুসের নামেই মসজিদটির নামকরণ করা হয় সুলতান কাবুস গ্র্যান্ড মসজিদ। প্রধান মুসালায় একসঙ্গে সাড়ে ছয় হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদটিতে মহিলাদের জন্যও একটি মুসালা রয়েছে যেখানে ৭৫০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। এছাড়া বাইরের খোলা অংশে নামাজ আদায় করতে পারেন আট হাজার মুসল্লি। সীমানার ভেতরের অতিরিক্ত স্থান এবং করিডরসহ মসজিদটিতে মোট ২০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদটি নির্মাণে দায়িত্ব পালন করেন কার্লিয়ন আলাওই এলএলসি। ফেরার পথে মাস্কাট বিমানবন্দরে হাসান ও চন্দ্র নামে দু’যুবকের সঙ্গে দেখা। তারা সেখানের ‘সিল অ্যান্ড কোম্পানি’-তে ২০০ রিয়ালে চাকরি করে। তাদের যাত্রীদের ব্যাগ প্যাকিংয়ের কাজ করতে হয়। পরিবহন অভাবে বড় ধরনের অসুবিধায় পরতে হয় ওমানে পর্যটকদের। কারণ সেখানে রেলপথ নেই ভরসা, তেমন কোনো লোকাল বাসও নেই। যাতায়াতের জন্য পর্যটকদের একমাত্র ট্যাক্সিই ভরসা।
No comments