অপ্রতিরোধ্য পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে আসছেন পুতিন
পারমাণবিক
অস্ত্রে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে রাশিয়া। তাদের হাতে আসছে অত্যাধুনিক
সুপারসনিক গতির পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র। বিশ্ববাসীকে এ বিষয়ে দেশটির
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র পশ্চিমা প্রতিরক্ষা
ব্যবস্থা (ডিফেন্স সিস্টেম) দিয়েও সনাক্ত করা যাবে না। ফলে অপ্রতিরোধ হবে
এই ক্ষেপণাস্ত্র। পুতিন নিজেই এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়া
ধারাবাহিকভাবে কয়েক রকমের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে।
এর মধ্যে রয়েছে সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। তার দেশের ফেডারেল কর্মকর্তাদের সামনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে পুতিন বলেন, এসব ক্ষেপণাস্ত্র একাধারে নতুন। অন্যদিকে তা শুধু রাশিয়ায়ই পাওয়া যাবে। এরই মধ্যে নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম), যার কোড নাম হলো স¤্রাট, তার পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। এর ওজন ২০০ টনেরও বেশি। এর আগে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হয়েছিল তার চেয়ে এর পাল্লা অনেক বেশি। যতটা সম্ভব কম উচ্চতা দিয়ে তা উড়ে যেতে সক্ষম। পুতিন বলেছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রকে সনাক্ত করা কোনো এন্টি মিসাইল সিস্টেম দিয়ে করা সম্ভব নয়। এমন কি ভবিষ্যতেও তাকে সনাক্ত করা যাবে না। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও তার পারমাণবিক অস্ত্রের পরিধি এবং তার সক্ষমতার বিষয়ে কথা বলেছেন। তার চেয়ে পুতিনের এমন বক্তব্যকে কেউ খাটো করে দেখছে না। ট্রাম্প প্রশাসন যখন সম্প্রতি নতুন প্রযুক্তিতে তৈরি পারমাণবিক অস্ত্রের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন, তখন পুতিনের এমন ঘোষণাকে ওয়াশিংটনের জন্য একটি বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এতে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে সম্পাদিত অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তির ভবিষ্যত নিয়ে। এ বিষয়ে পেন্টাগনের মুখপাত্র ডানা হোয়াইট বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা দেখে আসছি রাশিয়াকে। তাদের এমন ঘোষণায় আমরা বিস্মিত নই। অন্যদিকে পুতিনের এমন মন্তব্যকে উড়িয়ে দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স বলেছেন, সম্পদিত চুক্তিতে যে বাধ্যবাধকতা আছে তা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে লঙ্ঘন করে আসছে রাশিয়া। তাদের উদ্দেশ্য অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে এমন অস্ত্র ব্যবস্থার উন্নয়ন। কিন্তু রাশিয়া এমন কথা অস্বীকার করে। তবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার যা জানে, সে বিষয়টিই নিশ্চিত করলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। পুতিন বলেছেন, পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম পানির নিচে চলতে পারে এমন নতুন একটি ড্রোন উদ্ভাবন করেছে রাশিয়া। এর নাম দেয়া হয়েছে স্ট্যাটাস-৬। এই ড্রোনটি গভীর পানির নিচ দিয়ে চলাচল করতে পারে। বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব সাবমেরিন আছে, অধ্যাধুনিক যেসব টর্পেডো আছে, এমনকি পানির উপরিতলে চলাচল করে যেসব সর্বোচ্চ গতির বোট তা চেয়ে বহুগুন বেশি গতি এই ড্রোনের। একটি এনিমেশনে দেখানো হয়েছে, ন্যাটোর একটি বিমানবাহী বাহিনীতে ও সমুদ্রপাড়ের একটি শহরে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে নতুন একটি সাবমেরিন। এ অবস্থায় সারাহ স্যান্ডার্সের মতো একই রকম মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট। তিনি বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে রাশিয়া দেখিয়ে দিচ্ছে তারা ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। পুতিনের বক্তব্যের সময়ে দেখানো এনিমেশন করা একটি ভিডিওরও সমালোচনা করেছেন হিদার নুয়ার্ট। তিনি বলেছেন, এর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে হামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই ভিডিওতে এনিমেশনের মাধ্যমে যেন দেখানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক হামলা করা হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে দুর্ভাগ্যজনক। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দায়িত্বশীল একজন নেতার কাছ থেকে আমরা এমন আচরণ প্রত্যাশা করি না। লন্ডন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক থিংকট্যাংক
রয়েল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইন্সটিটিউটের সামরিক বিশেষজ্ঞ ইগোর সুতাগিন। তিনি পুতিনের মন্তব্যকে ‘হরর’ কাহিনীর চেয়ে কিছুটা বেশি বলে মনে করেন। তিনি মনে করেন, উৎপাদন রেখা, আর্থিক ও বিজ্ঞান এসবই প্রযুক্তিগত অনেক দাবিকেই সংশয়ে ফেলে। কারণ, বেশির ভাগ প্রযুক্তিই নতুন নয়। এটা হলো সস্তা মার্কেটিং। পুরনো পণ্য, নতুন প্যাকেজ আকারে বাজারে ছাড়া। আর গায়ে লাগিয়ে দেয়া হয় নতুন দামের লেবেল। ইগোর সুতাগিন বলেন, পুতিন অনুচ্চ উচ্চতা বলতে কি বোঝাতে চেয়েছেন সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। তবে আন্তঃমহাদেশীয় বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র সেই ১৯৮০র দশক থেকে কম উচ্চতায়ই উড়ে থাকে। অন্যদিকে স্ট্যাটাস-৬ ড্রোনটি রাশিয়ার সামরিক পরিকল্পনার দর্শনের বিরুদ্ধে যায়। এ ক্ষেত্রে রাশিয়া যা বলেছে, তাতে এ অস্ত্রের ওপর মোটামুটি এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবে রাশিয়া।
এর মধ্যে রয়েছে সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। তার দেশের ফেডারেল কর্মকর্তাদের সামনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে পুতিন বলেন, এসব ক্ষেপণাস্ত্র একাধারে নতুন। অন্যদিকে তা শুধু রাশিয়ায়ই পাওয়া যাবে। এরই মধ্যে নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম), যার কোড নাম হলো স¤্রাট, তার পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। এর ওজন ২০০ টনেরও বেশি। এর আগে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হয়েছিল তার চেয়ে এর পাল্লা অনেক বেশি। যতটা সম্ভব কম উচ্চতা দিয়ে তা উড়ে যেতে সক্ষম। পুতিন বলেছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রকে সনাক্ত করা কোনো এন্টি মিসাইল সিস্টেম দিয়ে করা সম্ভব নয়। এমন কি ভবিষ্যতেও তাকে সনাক্ত করা যাবে না। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও তার পারমাণবিক অস্ত্রের পরিধি এবং তার সক্ষমতার বিষয়ে কথা বলেছেন। তার চেয়ে পুতিনের এমন বক্তব্যকে কেউ খাটো করে দেখছে না। ট্রাম্প প্রশাসন যখন সম্প্রতি নতুন প্রযুক্তিতে তৈরি পারমাণবিক অস্ত্রের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন, তখন পুতিনের এমন ঘোষণাকে ওয়াশিংটনের জন্য একটি বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এতে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে সম্পাদিত অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তির ভবিষ্যত নিয়ে। এ বিষয়ে পেন্টাগনের মুখপাত্র ডানা হোয়াইট বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা দেখে আসছি রাশিয়াকে। তাদের এমন ঘোষণায় আমরা বিস্মিত নই। অন্যদিকে পুতিনের এমন মন্তব্যকে উড়িয়ে দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স বলেছেন, সম্পদিত চুক্তিতে যে বাধ্যবাধকতা আছে তা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে লঙ্ঘন করে আসছে রাশিয়া। তাদের উদ্দেশ্য অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে এমন অস্ত্র ব্যবস্থার উন্নয়ন। কিন্তু রাশিয়া এমন কথা অস্বীকার করে। তবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার যা জানে, সে বিষয়টিই নিশ্চিত করলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। পুতিন বলেছেন, পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম পানির নিচে চলতে পারে এমন নতুন একটি ড্রোন উদ্ভাবন করেছে রাশিয়া। এর নাম দেয়া হয়েছে স্ট্যাটাস-৬। এই ড্রোনটি গভীর পানির নিচ দিয়ে চলাচল করতে পারে। বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব সাবমেরিন আছে, অধ্যাধুনিক যেসব টর্পেডো আছে, এমনকি পানির উপরিতলে চলাচল করে যেসব সর্বোচ্চ গতির বোট তা চেয়ে বহুগুন বেশি গতি এই ড্রোনের। একটি এনিমেশনে দেখানো হয়েছে, ন্যাটোর একটি বিমানবাহী বাহিনীতে ও সমুদ্রপাড়ের একটি শহরে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে নতুন একটি সাবমেরিন। এ অবস্থায় সারাহ স্যান্ডার্সের মতো একই রকম মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট। তিনি বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে রাশিয়া দেখিয়ে দিচ্ছে তারা ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। পুতিনের বক্তব্যের সময়ে দেখানো এনিমেশন করা একটি ভিডিওরও সমালোচনা করেছেন হিদার নুয়ার্ট। তিনি বলেছেন, এর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে হামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই ভিডিওতে এনিমেশনের মাধ্যমে যেন দেখানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক হামলা করা হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে দুর্ভাগ্যজনক। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দায়িত্বশীল একজন নেতার কাছ থেকে আমরা এমন আচরণ প্রত্যাশা করি না। লন্ডন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক থিংকট্যাংক
রয়েল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইন্সটিটিউটের সামরিক বিশেষজ্ঞ ইগোর সুতাগিন। তিনি পুতিনের মন্তব্যকে ‘হরর’ কাহিনীর চেয়ে কিছুটা বেশি বলে মনে করেন। তিনি মনে করেন, উৎপাদন রেখা, আর্থিক ও বিজ্ঞান এসবই প্রযুক্তিগত অনেক দাবিকেই সংশয়ে ফেলে। কারণ, বেশির ভাগ প্রযুক্তিই নতুন নয়। এটা হলো সস্তা মার্কেটিং। পুরনো পণ্য, নতুন প্যাকেজ আকারে বাজারে ছাড়া। আর গায়ে লাগিয়ে দেয়া হয় নতুন দামের লেবেল। ইগোর সুতাগিন বলেন, পুতিন অনুচ্চ উচ্চতা বলতে কি বোঝাতে চেয়েছেন সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। তবে আন্তঃমহাদেশীয় বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র সেই ১৯৮০র দশক থেকে কম উচ্চতায়ই উড়ে থাকে। অন্যদিকে স্ট্যাটাস-৬ ড্রোনটি রাশিয়ার সামরিক পরিকল্পনার দর্শনের বিরুদ্ধে যায়। এ ক্ষেত্রে রাশিয়া যা বলেছে, তাতে এ অস্ত্রের ওপর মোটামুটি এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবে রাশিয়া।
No comments