কোনো দল নয়, দেশের মালিক জনগণ
গণফোরাম
সভাপতি ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এই দেশের মালিক জনগণ। এক
দল বা এক নেত্রী নয়। তাই এদেশে একদলীয় শাসন বা রাজতন্ত্র হতে পারে না।
মেনে নেয়া যায় না। আমরা এক নেত্রীর শাসনে বিশ্বাস করি না। জনগণকে ভোটের
অধিকার থেকে বঞ্চিত করার ক্ষমতা কারো নেই।
জনগণের এই মালিকানা ১৯৭২ সালের সংবিধানে উল্লেখ করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন বলতে কী বোঝায় তা সংবিধানে ভেঙে ভেঙে উল্লেখ করা হয়েছে। জনগণকে দেশের মালিকানা ও ভোটের অধিকার ভোগ করার জন্য কর্তব্য পালনের অংশ হিসেবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের আহ্বানও জানান তিনি।
গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস জাতীয় উদযাপন কমিটি আয়োজিত সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এই প্রবীণ আইনজীবী।
এ সময় তিনি আরো বলেন, অতীতে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আন্দোলন করেছিলেন। কিন্তু এখন সুষ্ঠু নির্বাচনই হুমকির মুখে। নিরপেক্ষতা কী তা আমরা সবাই জানি। বিচারক নিরপেক্ষ না হলে সুষ্ঠু বিচার হয় না। বাঙালি অনেক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে, প্রতিটি পরিবার কাউকে না কাউকে হারিয়ে এই সচেতনতা অর্জন করেছে। কিন্তু আমাদের একটা স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। স্বাধীনতা এসেছে। অনেক স্বপ্ন পূরণ হয়নি। নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত হয়নি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায়নি। আমরা আর ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন চাই না।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রফেসর ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। স্বাধীনতার দাবিতে ১৯৭১ সালে পতাকা উত্তোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়কার চার খলিফা স্বাধীন দেশের পরবর্তী সরকারগুলোর কাছে যোগ্য সম্মান পায়নি। পাকিস্তান আমলে গণতন্ত্র অবাধ বিচরণের অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করেছিল বলেই আমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু এখন এ কী গণতন্ত্র? মন্ত্রী, এমপির পদে থেকে সরকারি গাড়ি ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করে মিছিল-সমাবেশ ও ভোট করবেন। আর অন্যদের মিটিং-মিছিল করতে দেবেন না, তা হয় না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে নির্বাচন দিন।
বর্তমান সরকার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে ভোট দেয়ার সুযোগ করে দেবে তা আমি বিশ্বাস করি না। জনগণও বিশ্বাস করে না।
বর্তমান রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির দিক তুলে ধরে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসলে জিয়াউর রহমানকে ঘৃণা করতে হবে। আর জিয়াউর রহমানকে ভালোবাসলে বঙ্গবন্ধুকে ঘৃণা করতে হবে। এসব রং আইডিয়া। রং রাজনীতি। আমি নিজে যেমন কথা বলবো। তেমনি অন্যের কথাও শুনবো। দেশ কতই ডিজিটাল হয়েছে দেখুন, রায়ের সার্টিফাইড কপি পেতে এতদিন লেগে যায়। আপনাদের ডিজিটালের ধারণা একটু আদালতেও পৌঁছে দিন।
প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন ছুড়ে তিনি বলেন, আপনি এমন একটা মন্ত্রণালয় দেখান যেখানে ঘুষ-দুর্নীতি চলছে না। শিক্ষামন্ত্রী বলেন- ঘুষ খান, তবে সহনীয় পর্যায়ে খান। প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করতে পারছেন না। এখন দেড় কোটি শিক্ষার্থীর মেধা ও যোগ্যতাই যাচাই করা যাচ্ছে না। এখন ভালো ও মন্দ ছাত্রের বিভেদ তৈরি করা যাচ্ছে না। এখন দেশ ও জাতি দুর্নীতিতে ভাসমান। পথভ্রষ্ট জাতি। গুম, খুন, আতঙ্ক, অন্যায়-জুলুমের মধ্যে মানুষ কিভাবে বাঁচবে।
অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের স্মৃতিচারণ করেন তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা ও বর্তমানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আসম আবদুর রব। তিনি সে সময়কার স্মৃতিচারণ করে বলেন, একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে অনেক মানুষ জড়িত থাকেন। প্রকাশ্য নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু অপ্রকাশ্য নেতারা সমস্ত ঘটনাই ঘটিয়ে গেছেন। ১৯৬৭, ৭০ ও ৭১-এ সিরাজুল আলম খানসহ অনেকেই সেসব ঘটনা ঘটিয়ে গেছেন।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা। কিন্তু এখন একজনের হাতেই সব ক্ষমতা। মন্ত্রিপরিষদের হাতেও ক্ষমতা নেই। সাংবাদিকের স্বাধীনতা নেই। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। এরই নাম স্বৈরাচার! একজন হেলিকপ্টারে ঘুরে বেড়াবে। অন্যজনকে রাস্তায় নামতে দেবে না।
আওয়ামী লীগ একা নির্বাচন করতে চায় উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, নির্বাচন একা করতে চাইলে হবে না। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে জিতলে থাকবেন। নয়তো নয়। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে না। ভারত বাংলাদেশে তল্পিবাহক সরকার চায়। তা হতে দেয়া হবে না।
দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২ কোটি টাকার জন্য একজনকে সাজা দেয়া হয়েছে। কিন্তু হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির কোনো খবর নেই। আগের নিজের গায়ের ময়লা পরিষ্কার করুন। উন্নয়নের গণতন্ত্র মানে বড় প্রকল্প বানিয়ে কমিশন খাওয়া। সেই উন্নয়ন আমরা চাই না।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১লা মার্চ পাকিস্তান সরকার তৎকালীন সংসদের অধিবেশন বন্ধ করে দেয়ার পর জাতি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিল। তখন ২রা মার্চ এক তরুণ (আসম আবদুর রব) জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। এখনো জাতি বিভ্রান্তিতে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা সেই সংকট তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার জন্য নির্বাচন করলে কী দেশে শান্তি আসবে? সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তিনি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, গতবার নির্বাচনের নামে ফোরটুয়েন্টি করা হয়েছে। বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে দেয়া হয়নি। দেশে এখন সবচেয়ে বিপদে আছে গণতন্ত্র। আমরা একটা অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই।
তিনি খালেদা জিয়ার জেল প্রসঙ্গে বলেন, একটি মামলা দিয়ে খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠানো হয়েছে। দেবতাদের লীলাখেলা, পাপ শুধু একজনের বেলা। নথি পেতে এত দেরি কেন? এখন দেশের প্রধান সমস্যা একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন। দেশ এখন এমন সংকটের দিকে যাচ্ছে, যা থেকে উঠতে পারবে না। ৫, ৬ দফা নয়। এক দফা, এক দাবি দিন। অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচন। সরকার চেয়েছিল খালেদা জিয়াকে জেলে পুরলে নেতাকর্মীরা আন্দোলন-ভাঙচুর করবে। সরকার তাদের জেলে পুরবে। আর বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন করে সুন্দরভাবে ক্ষমতায় যাবে। কিন্তু খালেদা জিয়া শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে সে সুযোগ দেয়নি। খালেদা জিয়াকে মামলায় সাজা দিয়ে তার নাম মানুষের মুখে মুখে নিয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে তিনি জাতীয় ঐক্যের ডাক দেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, এমএ মান্নান, জেএসডি নেতা আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোটেক সুব্রত চৌধুরী।
জনগণের এই মালিকানা ১৯৭২ সালের সংবিধানে উল্লেখ করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন বলতে কী বোঝায় তা সংবিধানে ভেঙে ভেঙে উল্লেখ করা হয়েছে। জনগণকে দেশের মালিকানা ও ভোটের অধিকার ভোগ করার জন্য কর্তব্য পালনের অংশ হিসেবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের আহ্বানও জানান তিনি।
গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস জাতীয় উদযাপন কমিটি আয়োজিত সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এই প্রবীণ আইনজীবী।
এ সময় তিনি আরো বলেন, অতীতে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আন্দোলন করেছিলেন। কিন্তু এখন সুষ্ঠু নির্বাচনই হুমকির মুখে। নিরপেক্ষতা কী তা আমরা সবাই জানি। বিচারক নিরপেক্ষ না হলে সুষ্ঠু বিচার হয় না। বাঙালি অনেক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে, প্রতিটি পরিবার কাউকে না কাউকে হারিয়ে এই সচেতনতা অর্জন করেছে। কিন্তু আমাদের একটা স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। স্বাধীনতা এসেছে। অনেক স্বপ্ন পূরণ হয়নি। নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত হয়নি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায়নি। আমরা আর ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন চাই না।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রফেসর ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। স্বাধীনতার দাবিতে ১৯৭১ সালে পতাকা উত্তোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়কার চার খলিফা স্বাধীন দেশের পরবর্তী সরকারগুলোর কাছে যোগ্য সম্মান পায়নি। পাকিস্তান আমলে গণতন্ত্র অবাধ বিচরণের অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করেছিল বলেই আমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু এখন এ কী গণতন্ত্র? মন্ত্রী, এমপির পদে থেকে সরকারি গাড়ি ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করে মিছিল-সমাবেশ ও ভোট করবেন। আর অন্যদের মিটিং-মিছিল করতে দেবেন না, তা হয় না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে নির্বাচন দিন।
বর্তমান সরকার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে ভোট দেয়ার সুযোগ করে দেবে তা আমি বিশ্বাস করি না। জনগণও বিশ্বাস করে না।
বর্তমান রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির দিক তুলে ধরে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসলে জিয়াউর রহমানকে ঘৃণা করতে হবে। আর জিয়াউর রহমানকে ভালোবাসলে বঙ্গবন্ধুকে ঘৃণা করতে হবে। এসব রং আইডিয়া। রং রাজনীতি। আমি নিজে যেমন কথা বলবো। তেমনি অন্যের কথাও শুনবো। দেশ কতই ডিজিটাল হয়েছে দেখুন, রায়ের সার্টিফাইড কপি পেতে এতদিন লেগে যায়। আপনাদের ডিজিটালের ধারণা একটু আদালতেও পৌঁছে দিন।
প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন ছুড়ে তিনি বলেন, আপনি এমন একটা মন্ত্রণালয় দেখান যেখানে ঘুষ-দুর্নীতি চলছে না। শিক্ষামন্ত্রী বলেন- ঘুষ খান, তবে সহনীয় পর্যায়ে খান। প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করতে পারছেন না। এখন দেড় কোটি শিক্ষার্থীর মেধা ও যোগ্যতাই যাচাই করা যাচ্ছে না। এখন ভালো ও মন্দ ছাত্রের বিভেদ তৈরি করা যাচ্ছে না। এখন দেশ ও জাতি দুর্নীতিতে ভাসমান। পথভ্রষ্ট জাতি। গুম, খুন, আতঙ্ক, অন্যায়-জুলুমের মধ্যে মানুষ কিভাবে বাঁচবে।
অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের স্মৃতিচারণ করেন তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা ও বর্তমানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আসম আবদুর রব। তিনি সে সময়কার স্মৃতিচারণ করে বলেন, একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে অনেক মানুষ জড়িত থাকেন। প্রকাশ্য নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু অপ্রকাশ্য নেতারা সমস্ত ঘটনাই ঘটিয়ে গেছেন। ১৯৬৭, ৭০ ও ৭১-এ সিরাজুল আলম খানসহ অনেকেই সেসব ঘটনা ঘটিয়ে গেছেন।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা। কিন্তু এখন একজনের হাতেই সব ক্ষমতা। মন্ত্রিপরিষদের হাতেও ক্ষমতা নেই। সাংবাদিকের স্বাধীনতা নেই। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। এরই নাম স্বৈরাচার! একজন হেলিকপ্টারে ঘুরে বেড়াবে। অন্যজনকে রাস্তায় নামতে দেবে না।
আওয়ামী লীগ একা নির্বাচন করতে চায় উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, নির্বাচন একা করতে চাইলে হবে না। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে জিতলে থাকবেন। নয়তো নয়। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে না। ভারত বাংলাদেশে তল্পিবাহক সরকার চায়। তা হতে দেয়া হবে না।
দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২ কোটি টাকার জন্য একজনকে সাজা দেয়া হয়েছে। কিন্তু হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির কোনো খবর নেই। আগের নিজের গায়ের ময়লা পরিষ্কার করুন। উন্নয়নের গণতন্ত্র মানে বড় প্রকল্প বানিয়ে কমিশন খাওয়া। সেই উন্নয়ন আমরা চাই না।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১লা মার্চ পাকিস্তান সরকার তৎকালীন সংসদের অধিবেশন বন্ধ করে দেয়ার পর জাতি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিল। তখন ২রা মার্চ এক তরুণ (আসম আবদুর রব) জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। এখনো জাতি বিভ্রান্তিতে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা সেই সংকট তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার জন্য নির্বাচন করলে কী দেশে শান্তি আসবে? সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তিনি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, গতবার নির্বাচনের নামে ফোরটুয়েন্টি করা হয়েছে। বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে দেয়া হয়নি। দেশে এখন সবচেয়ে বিপদে আছে গণতন্ত্র। আমরা একটা অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই।
তিনি খালেদা জিয়ার জেল প্রসঙ্গে বলেন, একটি মামলা দিয়ে খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠানো হয়েছে। দেবতাদের লীলাখেলা, পাপ শুধু একজনের বেলা। নথি পেতে এত দেরি কেন? এখন দেশের প্রধান সমস্যা একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন। দেশ এখন এমন সংকটের দিকে যাচ্ছে, যা থেকে উঠতে পারবে না। ৫, ৬ দফা নয়। এক দফা, এক দাবি দিন। অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচন। সরকার চেয়েছিল খালেদা জিয়াকে জেলে পুরলে নেতাকর্মীরা আন্দোলন-ভাঙচুর করবে। সরকার তাদের জেলে পুরবে। আর বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন করে সুন্দরভাবে ক্ষমতায় যাবে। কিন্তু খালেদা জিয়া শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে সে সুযোগ দেয়নি। খালেদা জিয়াকে মামলায় সাজা দিয়ে তার নাম মানুষের মুখে মুখে নিয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে তিনি জাতীয় ঐক্যের ডাক দেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, এমএ মান্নান, জেএসডি নেতা আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোটেক সুব্রত চৌধুরী।
No comments